অর্থতত্ত্ব ভূমিকা

আজকে আমাদের আলোচনার  বিষয়-অর্থতত্ত্ব ভূমিকা

অর্থতত্ত্ব ভূমিকা

ভাষার দু’টি দিক। একটি তার বাইরের প্রকাশ রূপ এবং অন্যটি তার ভেতরের ভাব বা অর্থ। ভাষার প্রকাশ রূপের তিনটি দিকধ্বনি, শব্দ ও বাক্য। এই তিনটি দিক নিয়ে ভাষাবিজ্ঞানের তিনটি প্রধান বিভাগ-ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্ব ।একটি ধ্বনি বা একাধিক ধ্বনি সমন্বয়ে যে শব্দ বা রূপমূল গঠিত হয় তা কোনো একটি বস্তু বা ভাবকে বুঝিয়ে থাকে।

 

অর্থতত্ত্ব ভূমিকা

 

রূপমূলের মূল রূপ নিহিত আছে তার অর্থে। ভাষার পরিবর্তন শুধু ধ্বনি এবং রূপমূলের পরিবর্তনেই শেষ হয় না। রূপমূলের অর্থের পরিবর্তনও ঘটায়। তাই বাক্যে ব্যবহৃত রূপমূলের অর্থগত দিক ভাষার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রূপমূলের অর্থগত দিক নিয়ে ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা করা হয় তা হল অর্থতত্ত্ব বা শব্দার্থতত্ত্ব।
রূপমূলের অর্থই হলো ভাষার প্রাণ।

তাই ভাষাবিজ্ঞানের একটি অপরিহার্য অঙ্গ হলো অর্থতত্ত্ব। অর্থতত্ত্বে বাক্যে ব্যবহৃত রূপমূলের অর্থ নিরূপণ করে। আর এই অর্থ পরিবর্তন মানুষের চিন্তাধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত। দৈনন্দিন জীবনে কথোপকথনের ফলে রূপমূল নানাভাবে পরিবর্তিত হয়। বাক্যে ব্যবহৃত রূপমূলসমূহের অর্থ নির্ধারণ এবং অর্থগত পরিবর্তনের কারণ ও প্রকৃতি পর্যালোচনাই করা হয় অর্থতত্ত্বে।

 

অর্থতত্ত্ব ভূমিকা

 

ভাষাবিজ্ঞানী স্টিপেন উলম্যান তাঁর গ্রন্থে (শব্দার্থ বিজ্ঞানের মূলসূত্র, অনুবাদ জাহাঙ্গীর তারেক ১৯৯৩:22) শব্দের অর্থের ভূমিকার গুরুত্ব অনুধাবন করে শব্দার্থ বিজ্ঞানকে ভাষাবিজ্ঞানের প্রধান বিভাগগুলোর অন্যতম হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব করেছেন।

অর্থতত্ত্ব সাধারণভাবে অর্থ সমীক্ষারূপে গৃহীত হয়ে থাকে। অর্থের প্রকৃতি বিশ্লেষণ অর্থতত্ত্ববিদদের মধ্যে মতভেদ বিদ্যমান। রূপমূলের অর্থগত দিক সম্পর্কে বলা যায়, মানুষই নির্ধারণ করে রূপমূলের সাহায্যে বক্তব্য কিভাবে প্রকাশিত হবে, রূপমূল নয়।

 

অর্থতত্ত্ব ভূমিকা

 

অর্থাৎ রূপমূল অর্থ প্রকাশ করে না, মানুষ রূপমূলের মাধ্যমে অর্থ প্রকাশ করে। রূপমূলের দিক থেকে অর্থবিচারে লক্ষ্য করা যায়, বিভিন্ন পর্যায়ে রূপমূলের অর্থের বিশেষ ভূমিকা বিদ্যমান। তাছাড়া, অর্থগত বিমূর্ততাও এ ক্ষেত্রে লক্ষণীয়।

আরও দেখুন:

Leave a Comment