Site icon Language Gurukul [ ভাষা গুরুকুল ] GOLN

আধুনিক বাগর্থবিদ্যার গতিপ্রকৃতি : তত্ত্বায়নের সমস্যা ও মূলনীতি-সূচিপত্র

আজকে আমাদের আলোচনার  বিষয়-আধুনিক বাগর্থবিদ্যার গতিপ্রকৃতি ঃ তত্ত্বায়নের সমস্যা ও মূলনীতি-সূচিপত্র

আধুনিক বাগর্থবিদ্যার গতিপ্রকৃতি ঃ তত্ত্বায়নের সমস্যা ও মূলনীতি-সূচিপত্র

সূচীপত্র

 

প্রথম অধ্যায়

দ্বিতীয় অধ্যায়

তৃতীয় অধ্যায়

চতুর্থ অধ্যায়

পঞ্চম অধ্যায়

ষষ্ঠ অধ্যায়

সপ্তম অধ্যায়

অষ্টম অধ্যায়

 

উপসংহার

কাজেই আমরা দেখলাম বাগর্থবিদ্যার গতিপ্রকৃতি অত্যন্ত বিচিত্র । বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাষার অর্থকে বিশ্লেষণের চেষ্টা করা হয়েছে যারফলে জন্মলাভ করেছে বিভিন্ন অভিক্রম ও তত্ত্ব। আমরা কাার্বিক তত্ত্বায়নের প্রবনতাকে ছয়টি অভিক্রমে বিভক্ত করে ছয়টি পৃথক অধ্যায়ে তা আলোচনা করেছি।

উপসংহারে তাদের সার্বিক মূল্যানের পালা। আমরা এখানে তত্ত্বায়নের সমস্যা ও মূলনীতি প্রসঙ্গটির পুনরালোচনায় ব্যাপৃত হবো। এখানে আরো বিবেচনা করবো বাগর্থবিদ্যার অতিসাম্প্রতিক হালচাল। তারপর শেষকথায় আমরা বর্তমান অভিসন্দর্ভের যবনিকাপাত করবো ।

শেষকথা

গুলো ও চক্রবাকী

তোমারে খুঁজিয়া অন্ধ হলো যে চক্রবাকের আদি ।

চক্রবাকীকে খুঁজে চক্রবাক যেমন হয়রান, আমাদের অবস্থাও হয়েছে তদ্রূপ । ভাষার অর্থ সম্পর্কে প্রায় ২০০ পৃষ্ঠার তত্ত্বালোচনার পরও কি আমাদের মনে হচ্ছে না যে আমরা এখনো অর্থের স্বরূপের সন্ধান পাইনি ? এরকম অতৃপ্তিই মনে হয় যে কোন তত্ত্বালোচনার শেষ পরিণতি এবং তা-ই হওয়া উচিত আমাদের শেষ কথা ।

ভাষার অর্থ ভেদ করার জন্য রচিত হয়েছে অসংখ্য তত্ত্ব এবং সাফল্যও এসেছেও সুপ্রচুর। কিন্তু একথা স্বীকার করতেই হবে যে সাফল্যের সাথে আমাদের ব্যর্থতাও পর্বতপ্রমাণ। সহজে অর্থের নাগাল পাওয়া যায় না ।

হুমায়ুন আজাদ (১৯৯৯)-এর ভাষায়, অর্থ সবচেয়ে অধরা, সবচেয়ে রহস্যময়, সবচেয়ে বিমূর্ত । এ যেন মরমি কবির সেই পরমার্থ (যা দিয়ে আমরা ভূমিকায় অর্থের অর্থ -এর আলোচনা শুরু করেছিলাম)। বলিঙ্গার (১৯৭৫ : ২০৫) একটু রস মিশিয়ে বলেন, “অর্থ স্নানঘরের ভেজা সাবানের টুকরোর মতো ফাঁকিবাজ ।”

এটি সহজে হাতের মুঠোয় আসতে চায় না। শুধু পালিয়ে বেড়ায়। থাকতে চায় আড়ালে, অন্ধকারে ব্যাখ্যাতীত রহস্য হয়ে। আমরা কালিদাস রচিত কবিতার রবীন্দ্রনাথের অনুবাদ দিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম এবং শেষও করবো কবিগুরুর কবিতা দিয়ে। কবিকে শ্রদ্ধা জানাই তার গভীর অন্তর্দৃষ্টির জন্য :

বাইরে থেকে দেখি একটা

নিয়ম ঘেরা মানে, ভিতরে তা রহস্য কি কেউ তা নাহি জানে ।

 

আরও দেখুন:

Exit mobile version