আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ডেমরার আভ্যন্তরীণ ভাষা-বৈচিত্র্য
ডেমরার আভ্যন্তরীণ ভাষা-বৈচিত্র্য
ডেমরা থানার অন্তর্গত সব অঞ্চলের মানুষের ভাষার উপর গবেষণা চালানো হয়েছে। গবেষণার জন্য উপভাষার রূপমূল সংগ্রহ করে রূপমূলের সাধারণ বৈশিষ্ট্য নির্ণয় ও প্রমিত ভাষার সঙ্গে এর সম্পর্ক উদ্ঘাটন করা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি গবেষণা অঞ্চলের ভাষা-গবেষণা করে দেখা গেছে, ডেমরা থানার অন্তর্গত কিছু কিছু এলাকার ভাষায় রয়েছে স্বতন্ত্র ভাষাগত বৈশিষ্ট্য।
একই ভাষা ব্যবহারকারী জনসমষ্টির মধ্যে ভৌগোলিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে অবস্থানের জন্য একপ্রান্তের মানুষের সঙ্গে অন্যপ্রান্তের মানুষের যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান তুলনামূলকভাবে কম হয়। ফলে তাদের কথাবার্তায় ভাষাগত পার্থক্য বা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
যেমন-আমুলিয়া, নড়াইল এলাকা ডেমরা থানার অধীন হওয়া সত্ত্বেও এ থানার অন্তর্গত অন্যান্য এলাকা থেকে ভাষাগত দিক থেকে স্বাতন্ত্র্যের অধিকারী। নড়াইল ও আমুলিয়া এলাকার ভাষায় ব্যবহৃত বাক্যের শেষ রূপমূলে একটা অতিরিক্ত ‘টান’ লক্ষ করা যায়, যা ডেমরা থানার অন্য কোথাও ব্যবহৃত হতে দেখা যায় না।
এসব অঞ্চলে ধ্বনির উচ্চারণ, রূপমূলের প্রয়োগ, বাক্যের বিন্যাস প্রভৃতি ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য সুস্পষ্ট। কেননা ভৌগোলিক অবস্থান ও পেশাগত কারণে ডেমরার অন্যত্র থেকে বসতি স্থাপন করছে বহু বহিরাগত মানুষ। বহিরাগত মানুষের সঙ্গে সহাবস্থানের কারণে স্থানীয় ভাষা এবং বহিরাগতদের ভাষার কিছুটা সংমিশ্রণ ঘটেছে।
যেমন- ‘আগুগো এই রূপমূলটি চাঁদপুর অঞ্চলের। ঢাকায় এর রূপমূল ‘আমগো। কিন্তু বর্তমানে মাতুয়াইল, ডগাইর, আমুলিয়া এলাকার মানুষের ভেতর চাঁদপুর অঞ্চলের ভাষার সংমিশ্রণ ঘটায় এসব এলাকার কথোপকথনে “আওগো’ রূপমূলের ব্যবহার দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ-
ডেমরার আমুলিয়া এলাকায় একই রূপমূলের দুটি রূপ প্রচলিত। প্রথম রূপটি স্থানীয়। দীর্ঘদিন ধরে যারা বসবাস করছে এই অঞ্চলে তারা ‘আমাদের’ রূপমূলটি ‘আমগো’ রূপে উচ্চারণ করে। ‘আমাদের রূপমূলের দ্বিতীয় রূপ ‘আঙগো’ রূপে উচ্চারণ করে। আমাদের রূপমূলের দ্বিতীয় রূপ ‘আগুগো -উচ্চারণ করছে, যারা বহিরাগত অত্র এলাকায় বসবাস করছে বর্তমানে।
বহিরাগতদের সঙ্গে স্থানীয়দের বসবাস ও কথোপকথনের ফলে স্থানীয় রূপমূল ‘আমগো’ রূপের পরিবর্তন দেখা যায়। আমুলিয়া এলাকায় ‘কুমিল্লা’ চাঁদপুর অঞ্চলের লোক বেশি বসবাস করার ফলে কুমিল্লা অঞ্চলের ভাষার কিছুটা প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। তদ্রুপ সারুলিয়া এলাকায় বরিশালের লোক বেশি থাকায় ‘আমরা’ রূপমূলের দুটি রূপ ‘আমরা’ ‘মোরা’ প্রচলিত।
ডেমরা অঞ্চলে শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনী-দরিদ্র এবং বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের বসবাস। তবে ডেমরা অঞ্চল যেহেতু শিল্পপ্রধান এলাকা, তাই এ অঞ্চলে শ্রমজীবী মানুষের আধিক্যই বেশি। এই উৎকৃষ্ট শ্রেণির
শ্রমিকেরা যে ভাষায় কথা বলে সে ভাষাটাই ডেমরার আঞ্চলিক ও প্রকৃত ভাষা। ডেমরার আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের দিক থেকে সমাজের শিক্ষিত-অশিক্ষিত, স্ত্রী-পুরুষ ভেদে ভাষায় পার্থক্য দেখা যায়। শিক্ষিত শ্রেণির ধ্বনির উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য প্রমিত বাংলার ন্যায়। আর স্বল্পশিক্ষিত ও অশিক্ষিত শ্রেণির ভাষায় আঞ্চলিক উচ্চারণভঙ্গি লক্ষ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ-
স্বল্পশিক্ষিত বা নিরক্ষর শ্রেণি যখন শিক্ষিত শ্রেণির সঙ্গে কথা বলে তখন কিছুটা সচেতন হয়ে কথা বলতে গিয়ে আঞ্চলিক রূপমূলটি প্রমিত ভাষার আদলে বিকৃতরূপে উচ্চারণ করে।
ডেমরার থানায় প্রচলিত সম্বোধনবাচক রূপমূল
সম্বোধন পদ দ্বারা কাউকে আহ্বান করা বোঝায়। ডেমরা থানায় প্রচলিত ভাষায় সম্বোধনবাচক অব্যয় ব্যবহারের ক্ষেত্রে বৈচিত্র পরিলক্ষিত হয়। প্রমিত বাংলায় সর্বনামের ক্ষেত্রে আপনি/ তুমি/ তুই ব্যবহৃত হয়। ডেমরার উপভাষায় ‘আপনি’র ব্যবহার আছে। তবে কথা প্রসঙ্গে ছেলেমেয়ে পিতা বা মাতাকে ‘হেয়’ বলে সম্বোধন করে। অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন বা নিরক্ষর সবাই সম্বোধনের ক্ষেত্রে ‘হেয়’, ‘হ্যায়’, ‘উইয়ে’, “উয়ে” উচ্চারণ করে থাকে।
সামাজিক সম্পর্কের দিক থেকে তিনি বয়স্ক ব্যক্তি হলেও তার ক্ষেত্রে ‘হেয়’ মুরুব্বি বলে সম্বোধন করে। গ্রামের স্ত্রীরা স্বামীকে সাধারণত আমনে (আপনি), তুমি সম্বোধন করে। ডেমরা থানার শ্রমিক শ্রেণিদের কথোপকথনে সম্বোধনের ক্ষেত্রে স্থানীয় সম্বোধনবাচক অব্যয় ছাড়াও এলাকাগত বৈচিত্র্যের কারণে বহিরাগত শ্রমিকদের আঞ্চলিক সম্বোধনবাচক অব্যয়ও ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। নিচে তা বর্ণনা করা হল
ডেমরার স্থানীয় সম্বোধনবাচক অব্যয়
হেহে গেছেগা (তিনি চলে গিয়েছেন)।
উইয়ে-উইয়ে কতা কয় না। (সে কথা বলে না)
অরা-অরা আমগর বাই (তারা আমাদের ভাই) ওরে ওরে লইয়া যামু
(ওকে নিয়ে যাবো অই অই কি কও (এই কি বল)
ওগো ওগো মা আহ না (ওমা আস না)
নারীদের সম্বোধনে ব্যবহৃত অব্যয়
লো-ছেরি লো কতা কম ক
গুলো গুলো তোর বাফের বাড়ি পাইছত
গো আয় গো যাই-গা (আস তো চলে যাই)
তাই তাইতো কইবোই তুচ্ছার্থে (কুমিল্লা)
হ্যাতি-হ্যাতি এমুন কামই করে (নোয়াখালী)
ডেমরার আঞ্চলিক ভাষায় সম্বোধনে কিছু কিছু রূপমূল ব্যবহৃত হয়, যার অর্থ জানা না থাকলে রূপমূল
বোঝা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
যেমন – হে হ্যায়, উইয়ে, অরা, হ্যারা ।
নাম পুরুষে প্রমিত ভাষায় সে, তিনি ব্যবহৃত হয়, কিন্তু ডেমরা থানার কথ্যভাষায় ‘সে’ বা ‘তিনি’র পরিবর্তে হ্যায়, হে, উইয়ে, অরা, হ্যারা ইত্যাদি রূপমূল প্রচলিত।
ডেমরা থানায় সম্মানীয় ব্যক্তির সম্বোধনে, ‘পুত্র’ তার ‘পিতা’কে সম্বোধনের ক্ষেত্রে ‘হেয়’, ‘হ্যারা’ রূপমূলটি প্রয়োগ করে।
যেমন: হ্যায় না গেলে কি অইবো (সে না গেলে কি হবে)। হ্যায় তো কইয়াই শেষ (সে/তিনিতো বলেই শেষ)। বয়স্কদের মুরুব্বি বলে সম্বোধন করে। মুরুব্বি আয়েন এনো’। বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শ্রমিকদের মধ্যে ‘হ্যায়’, ‘তুই’ সম্বোধন সর্বাধিক প্রচলিত। শ্রমিকশ্রেণি পারিবারিক পরিবেশে স্ত্রী বা স্বামী পরস্পরকে সরাসরি সম্বোধন না করে প্রতিশব্দ ব্যবহার করে। স্বামী স্ত্রীকে ‘পরিবার’ বলে সম্বোধন করে। স্ত্রী স্বামীকে সন্তানের বাবা বলে সম্বোধন করে। যেমন: ও ময়নার বাপ’।
সম্বোধনের ক্ষেত্রে নামের বিভিন্নতা একই ব্যক্তির নাম সম্বোধনের ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষে বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন : একজনের নাম ‘হাসিব’। মা, বাবা, বন্ধুর সম্বোধনের ক্ষেত্রে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। শিক্ষক সম্বোধন করেন ‘হাসিব’, বন্ধু ‘হাছিব্যা’, মা-বাবা হাসু’ বলে সম্বোধন করে।
জবাব দেবার রীতি/সাড়াদানের রীতি (Form of responce) ডেমরা অঞ্চলে কাউকে সম্বোধনের পর জবাব দেওয়ার রীতিতে বিভিন্নতা দেখা যায়, এখানে ‘কেরে’, ‘কেগো’, ‘গো’, ‘লো’, ‘কি’, ‘হু’ ইত্যাদি রূপমূল ব্যবহৃত হয়। যেমন: ডাকতাছো কেরে (ডাকো কেন), কেডায় মায়গো (কে মাগো), আহি লো (আসি)-‘লো বন্ধরূপমূলটি সচরাচর মহিলারা ব্যবহার করে থাকে।
বয়সগত ব্যবধান
বয়সের তারতম্যেও আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার ভিন্ন হয়। শিশু, বৃদ্ধ, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মুখের ভাষার মধ্যে ধ্বনিগত, শব্দগত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। বৃদ্ধদের ভাষা অস্পষ্ট, এলোমেলো ও জড়তাপূর্ণ তাই তুলনামূলকভাবে উচ্চারণ আনুনাসিক হতে দেখা যায়।
তুলনামূলকভাবে উচ্চারণ সহজবোধ্য বিধায় স্বরধ্বনি উচ্চারণের প্রবণতা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। শিশুরা তালব্য এবং ওষ্ঠ্যধ্বনির ব্যবহার বেশি করে। অপরিণত জিহ্বার আড়ষ্টতার জন্য শিশুরা মহাপ্রাণ ধ্বনির উচ্চারণ করে না। শিশুরা খেলার সময় কিছু সাংকেতিক রূপমূল ব্যবহার করে। যেমন—তুককু, আলাবু, টুক পলান্তি ইত্যাদি ।
পেশাভিত্তিক ভাষা
নগরায়ণের ফলে মানুষজন সকলে শহরমুখি। দূর-দূরান্ত থেকে চাকরির প্রয়োজনে নিজেদের পৈতৃক এলাকা ছেড়ে ঢাকায় বসবাস করতে এসেছে। ঢাকার ডেমরা অঞ্চলেও বহিরাগত বিভিন্ন পেশার শ্রমিকদের বসবাস লক্ষ করা যায়। ডেমরা থানার অন্তর্গত প্রতিটি এলাকায় রয়েছে বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবী মানুষের বসবাস।
যেমন-কলকারখানার কর্মচারী, কামার, কুমার, জেলে, স্বর্ণকার, ধোপা, নাপিত, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, নৌকার মাঝি, ইট ভাঙার শ্রমিক, রিকশাচালক, অকৃষি শ্রমিক, রাজমিস্ত্রি ইত্যাদি।
পেশাগত ভিন্নতার জন্য পেশাজীবীদের ভাষায়ও বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়। কৃষক, কারখানা শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শ্রমিকের ব্যবহৃত ভাষায় তারতম্য ঘটে। প্রত্যেক পেশার শ্রমিকের নিজস্ব পেশা সম্পৃক্ত কিছু স্বতন্ত্র রূপমূল প্রচলিত আছে, যা শ্রমিকদের নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
পেশাগত ভিন্নতার কারণে ধ্বনি ব্যবহার ও উচ্চারণেও কিছু স্বাতন্ত্র্য পরিলক্ষিত হয়। নিচে ডেমরার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত বিভিন্ন পেশার শ্রমিকদের ভাষা বৈচিত্র্য উল্লেখ করা হল :
কল-কারখানার শ্রমিকের ভাষা ডেমরার স্থানীয় শ্রমিক ও বহিরাগত শ্রমিকদের মধ্যে পারিবারিক আঞ্চলিক ভাষাসহ তাদের নিজস্ব পেশার অনুগামী কিছু ভাষা প্রচলিত তা নিম্নরূপ :
- শ্রমিকের ভাষা
- প্রমিত ভাষা
- মেইল
- মিল
- ইশটাপ
- স্টাফ
- পেনছন/ পেশন
- পেনশন
- পোরমোশোন
- প্রমোশন
- কোয়ারটার
- কোয়ার্টার
- ওপিশ
- অফিস
- বড় স্যার
- বর ছার
- ইশটর কিপা
- স্টোর কিপার
মাছ ও সবজি বিক্রেতার ভাষা
- টাকটা
- টাটকা/তাজা
- ভ্যানগাড়ি
- বেনগাড়ি
- টুকরি
- টুরহি
- বালা
- ভাল
- মেগনার মার্চ
- মেঘনার মাছ
- খ্যাত
- ক্ষেত
- মুট
- আঁটি
- হস্তা
- কাটতি
- সন্তা
- বিক্রি
- দর
- দাম
- হাবড়া
- সবগুলো
- ৰাগা
- ভাগ (মাছ, সবজির ক্ষেত্রে)
পরিবহন শ্রমিকের ভাষা
- বাচ
- ৰাস
- টিরাক/টেরাক
- প্রাইভেট
- ড্রাইভার
- পিরাইবোট
- ডিরাইবার
- কনটাকটার
- কন্ট্রাক্টর
- হেলপার
- হেলপার
- লাইচেন
- লাইসেন্স
- মারা/লাগা
- ধাক্কা দেওয়া
- বারা
- ভাড়া
- বারা কাটা
- ভাড়া নেওয়া
- বানতি
- ভাংতি
- টেকা/টেহা
- টাকা
- বর লোট
- ৫০০/১০০০ টাকার নোট
- অছতাদ
- ওস্তাদ
রিকশা শ্রমিকের ভাষা
- বদলি
- আধাবেলা রিকশাচালনা
- পারছ
- পার্টস
- চেন
- চেইন
- গদি
- সিট
- ইসকুরুব
- ৰাভাস
- হাওয়া
- লাগাইচে
- দুই রিকশার চাকা আটকে যাওয়া
- হুড
- হুক
- ব্যাল
- পেডল
- পেডেল
- ফরদা
- রিকশার পর্দা (বৃষ্টির জন্য ব্যবহৃত)
পরিবহন শ্রমিকদের বেশিরভাগই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শহরের ছিন্নমূল পর্যায়ে বসবাসরত পরিবারের ছেলেরা। তারা কেউ অল্পশিক্ষিত ও নিরক্ষর বিধায় তাদের ভাষায় অশ্লীল শব্দের আধিক্য বেশি। কথায় কথায় গালি অশ্লীল শব্দের প্রয়োগ যেন তাদের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার। যেমন- মাদারচোত, মাগির পোলা, খানকির পোলা, বাইনচুত, হালার পো ইত্যাদি।
নিরক্ষর, অর্ধশিক্ষিত কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের মধ্যে অপশব্দ বা অশ্লীল শব্দের প্রবণতা বেশি। তাদের উচ্চারণভঙ্গি হালকা ও অমার্জিত এবং ব্যবহৃত ভাষাও প্রমিত থেকে আলাদা। নারী-পুরুষের ভাষা ব্যবহারেও বেশ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়
আরও দেখুন: