Site icon Language Gurukul [ ভাষা গুরুকুল ] GOLN

আরবি উচ্চারণ শিক্ষণ পদ্ধতি

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় আরবি উচ্চারণ শিক্ষণ পদ্ধতি – যা আরবি ভাষার দক্ষতা শিক্ষাদান পদ্ধতি এর অন্তর্ভুক্ত।

আরবি উচ্চারণ শিক্ষণ পদ্ধতি

 

 

ভূমিকা

ভাষা বিজ্ঞানীদের মতে ভাষা এমন এক ধ্বনিগত বা উচ্চারণগত সুশৃঙ্খল মাধ্যম, যা সুচারুরূপে আদান-প্ৰদান এবং সাবলীল ভাববিনিময়ের মাধ্যমে মানুষের মাঝে পরস্পর অকৃত্রিম সেতুবন্ধন রচনা করে। আর এজন্যই ভাষার অন্যান্য সকল দিকের দক্ষতা অর্জনের পূর্বে ধ্বনি বা উচ্চারণ শিক্ষা দেয়ার গুরুত্ব অনেক বেশী ।

আবার ধ্বনির প্রক্রিয়া শিক্ষা দেয়া শুরু করতে হবে উচ্চারণ পদ্ধতি শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে। এখানে উচ্চারণ বলতে ছাত্রদেরকে প্রতিটি আরবি হরফের উচ্চারণ শিক্ষা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কেননা তারা উচ্চারণের ব্যাপারে শিক্ষককে অনুকরণ করবে।

অর্থাৎ শিক্ষক হরফগুলোকে যেভাবে উচ্চারণ করবে ছাত্ররাও ঠিক সেভাবেই আরবি ভাষার ধ্বনি উচ্চারণ এবং বাংলা ভাষার ধ্বনি উচ্চারণের মাঝে মিলগুলো খুঁজে বের করতে হবে। কেননা ভাষা দু’টির মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ শব্দগুলোর উচ্চারণ শিক্ষা দেয়া যতটা সহজ অসামঞ্জস্যপূর্ণ শব্দগুলোর উচ্চারণ শিক্ষা দেয়া ততটা সহজ নয়। শিক্ষক ছাত্রদের মাঝে পরিচিত ছোট ছোট বাক্য প্রথমে উপস্থাপন করবেন। যেমন:

 

 

এখানে শিক্ষক শব্দের শুরুতে এবং মাঝখানে (س ) অক্ষরের উচ্চারণ শিখাবে। এরূপভাবে শিক্ষক অন্যান্য অক্ষরগুলির উচ্চারণও শিখাবেন।

১. শিক্ষক উপরোক্ত কথোপকথন বা সংলাপটি ব্লাকবোর্ডে লিখবেন।

২. অতঃপর শিক্ষক স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করবেন এবং ছাত্রদেরকে প্রথমত দলগতভাবে এবং পরবর্তীতে পৃথক পৃথকভাবে পুনরাবৃত্তি করাবেন।

৩. কিছু কিছু শব্দের ধ্বনি বা উচ্চারণকে শব্দ থেকে আলাদার করে গুরুত্বের সাথে সে শব্দসমূহের উচ্চারণ শিখাবেন। তারপর সে শব্দসমূহ ব্যবহারের মাধ্যমে বাক্য তৈরি করে তা উচ্চারণ করতে শিখাবেন। যেমন: শুধুমাত্র “ر ” অক্ষরটির উচ্চারণ শিক্ষা দেয়ার জন্য শিক্ষক  وريح ورمح ريشة  ইত্যাদি শব্দসমূহ বোর্ডে লিখবেন।

৪. সাধারণত: জীবন পরিক্রমার সাথে সংশ্লিষ্ট এবং কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় ডায়ালগ বা কথোপকথনসমূহ যা নাকি পূর্ণ অর্থবোধক এবং সুপরিকল্পিতভাবে সহজ ও সাবলীল ভাষায় তৈরি করা হয়েছে সেগুলো শিক্ষার্থীর জন্য শুরু থেকেই গভীর মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা অপরিহার্য। যদি এসব কর্মকাণ্ডের সাথে একজন শিক্ষার্থী ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত হতে পারে তবে সে আপনা আপনি প্রশ্নোত্তর করা ও কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী সাধারণ ডায়ালগ ব কথোপকথনসমূহ পরিচালনা করতে শিখবে। এভাবেই একজন শিক্ষার্থী ধ্বনি বা ধ্বনি সংক্রান্ত নিত্যনতুন সুশৃঙ্খল উচ্চারণ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্টসমূহ সম্পর্কে অবগত হতে পারে।

৫. শিক্ষার্থীকে শব্দের উচ্চারণ ভঙ্গি বা ধ্বনি শিক্ষা দেয়ার জন্য একজন শিক্ষকের উচিত হল, ধ্বনিগুলোকে বিভিন্ন উচ্চারণস্থল থেকে উচ্চারণ করে দেখিয়ে দেয়া এরপর এভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া, যাতে করে একজন শিক্ষার্থী একটি ধ্বনিকে বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্নভাবে উচ্চারণ করতে শিখে। শব্দটি বাক্যের শুরুতে মধ্যখানে অথবা শেষেই হোক না কেন- শিক্ষার্থী যাতে সর্বস্থান থেকেই স্বতন্ত্রভাবে নিজের মত করে ধ্বনি
উচ্চারণ করতে শেখে এমনভাবেই তাকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

৭. একজন শিক্ষকের উপর ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া উচিৎ যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি এ বিষয়ের উপর নিশ্চিত হন যে, শিক্ষার্থী তাদের কাঙ্ক্ষিত ধ্বনিগুলো বিশুদ্ধভাবে জেনেছে এবং উদ্দেশ্য মাফিক সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে সক্ষম হচ্ছে। এজন্য অবশ্য শিক্ষককে সেই নির্ধারিত অক্ষর সমন্বয়ে গঠিত যে কোনো একটি শব্দ বোর্ডে শিখতে হবে। তারপর অক্ষরটির প্রতি ইশারা করে দেখিয়ে দিতে হবে। এরপর উক্ত অক্ষরের সমন্বয়ে গঠিত শব্দ অথবা বাক্য উচ্চারণ করে বুঝিয়ে দিতে হবে।

 

 

৮. তাশদীদযুক্ত হরফসমূহের উচ্চারণ এবং পাঠের মধ্যে তার ব্যবহার শেখাবেন ।

৯. তাশদীদ যুক্ত অক্ষর উদাহরণের মাধ্যমে উচ্চারণ করতে শেখাবেন। যেমন: এই সমস্ত শব্দ উচ্চারণ করতে তার মধ্যে তাশদীদ যুক্ত অক্ষরের প্রতি ইশারা করতে হবে।

১০. সাদৃশ্যপূর্ণ অক্ষরগুলোর উচ্চারণ শিক্ষা দেয়া ।

আরও দেখুনঃ

 

Exit mobile version