আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-ইঙ্গিতার্থ তত্ত্ব
ইঙ্গিতার্থ তত্ত্ব
এইচ. পি. প্রাইস (১৯৭৫, ১৯৮১) মানুষ কিভাবে ভাষা ব্যবহার করে তার ব্যাখাস্বরূপ ইঙ্গিতার্থ তত্ত্ব প্রগঠন করেন। তিনি বলেন যে কথোপথনের সময় মানুষ একটি অলিখিত মৌলিক নীতি মেনে চলে যা কার্যকরীভাবে ভাষা ব্যবহারের নির্দেশিকা হিসাবে কাজ করে । তিনি এর নাম দেন সহযোগিতা নীতি সহযোগিতা নীতিটি न :
“কথোপথনের উদ্দেশ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে তুমি এর যে পর্যায়ে আছো সে প্রয়োজন অনুযায়ী তাতে অবদান রাখো।” (Make your contribution such as is required at the stage at which it occurs, by the accepted purpose or direction of the talk exchange in which you are engaged.)
এই সহযোগিতা নীতিকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি দেখান যে এর অভ্যন্তরে চারটি নীতিসূত্র রয়েছে । এই চারটি নীতিসূত্র পালন বা লঙ্ঘনের উপর যোগাযোগের সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ভর করে। এগুলো নীচে উল্লেখ করা হলো :
১. গুণের নীতিসুন :
তোমার অবদান যেন সত্য হয়, বিশেষ করে ক. এমন কিছু বলো না যা তুমি মিথ্যা বলে বিশ্বাস করো খ. এমন কিছু বলো না যার পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমান নেই
২. পরিমানের নীতিসুর :
ক. কথোপকথনের বর্তমান উদ্দেশ্যে যতটুকু প্রয়োজন তোমার অবদানকে ততটুকু তথ্যবহুল করো ব, তোমার অবদানকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত তথ্যবহুল করো না
৩. প্রাসঙ্গিকতার নীতি
তোমার অবদান যেন প্রাসঙ্গিক হয়
৪. কৌশলের নীতিসূত্র :
প্রাভালভাবে বলো এবং বিশেষ করে
ক. অম্লতা এড়িয়ে চলো
হু স্বার্থকতা এড়িয়ে চলো
গু সংক্ষেপে বলো
এ গুছিয়ে বলো
কথোপকথনে অংশগ্রহণকারীগণ আশা করে যে উভয় পক্ষ এই নীতিসুরের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে । আপাতদৃষ্টিতে কোন নীতিসূত্রের লঙ্ঘন দৃস্পিগোচর হলেও শ্রোতা ধরে নিয়ে গভীর পর্যায়ে বক্তা নীতিসুর পালন করেছে। নীতিসুরগুলি কিভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য আমরা নিম্নলিখিত উদাহরণগুলি বিবেচনা করতে পারি :
ক: আপনি সুচিত্রা সেনকে পছন্দ করেন ?
খ: আমি তার সব ছবি দেখেছি।
২.ক বিয়ে করেছেন ?
খ: আমার দুই ছেলে এক মেয়ে।
৩.ক: চলো কক্সবাজার বেড়িয়ে আসি ।
পকেট একদম খালি ।
উদাহরণ ১ -এ আমরা দেখি যে খ ক -এর প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেয়নি। যেখানে তার উত্তর হ্যাঁ বা না হওয়া উচিত ছিল সেখানে সে বলছে আমি তার সব ছবি দেখেছি। এখানে সহযোগিতা নীতির আপাত লঙ্ঘন ঘটেছে । য গুণ, পরিমান, প্রাসঙ্গিকতা ও কৌশলের নীতিসূত্র মানেনি বলে মনে হয়। কিন্তু যোগাযোগ সফল হতে হলে সহযোগিতা নীতি মানতেই হবে।
এই প্রতায় থেকে ক ধরে নেয় যে খ এর উত্তর সত্য, কোন না কোনভাবে প্রাসঙ্গিক এবং সঠিক পরিমান ও কৌশলে প্রদত্ত। ফলে সে ব -এর উক্তির বাইরের অবয়ব থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয় এর অভ্যন্তরে, বাহ্যিক অর্থের বদলে খুঁজে বের করে এর অন্তর্গত অর্থ উত্তরকে – সহযোগিতা নীতির মাধ্যমে সঠিকভাবে সম্পর্কিত করে প্রশ্নের সাথে।
ফলে ক বুঝতে পারে যে বলছে সে সুচিত্রা সেনকে খুবই পছন্দ করে। উদাহরণ ২ ও ৩ এর ব্যাপারেও একই ব্যাখ্যা প্রযোজ্য । ২ -এ ক এর প্রশ্নের জবাবে আমার দুই ছেলে এক মেয়ে খ এর এই উত্তর এবং ৩-এ ক এর প্রশ্নের জবাবে পকেট একদম খালি ব-এর এই উত্তর পরোক্ষ ।
এই পরোক্ষ উত্তরকে প্রশ্নের সাথে প্রত্যক্ষ সম্পর্কে সম্পর্কিত করতে হলে তার উপর সহযোগিতা নীতি আরোপ করতে হবে। ক যদি তা সফলভাবে করতে সক্ষম হয় তাহলে সে এর উক্তির সঠিক অর্থ অনুধাবন করতে পারবে। বিষয়টি যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাস্তবে ভাষা ব্যবহারকারীরা প্রায়ই পরোক্ষ উক্তি করে থাকে এবং শ্রোতাকে তার সঠিক অর্থ খুজে বের করতে হয় । কথোপকথনে ব্যবহৃত পরোক্ষ উক্তির অন্তর্নিহিত অর্থকেই প্রাইস বলেন ইঙ্গিতার্থ এবং এর থেকেই তার তত্ত্বের নাম হয়েছে ইঙ্গিতার্থ তত্ত্ব ।
গ্রাইস বলেন যে প্রতিটি উক্তিরই একটি শব্দগত অর্থ আছে যা থেকে নির্ধারিতভাবে কিছু ইঙ্গিতমূলক অর্থ আবিস্কার করা যেতে পারে। এ ধরনের অর্থকে বলা যেতে পারে প্রচলনির্ভর ইঙ্গিতার্থ। যেমন হ্যাবলা পরীক্ষায় পাস করেছে – শব্দগুণে এর ইঙ্গিতার্থ হলো অন্যেরা পাস করেছে এবং হ্যাবলাও তাদের সাথে কোনরকমে উৎরে গেছে।
গ্রাইসের তত্ত্বের ইঙ্গিতার্থ প্রচলনির্ভর বা প্রথাগত নয়। এ ধরনের ইঙ্গিতার্থের ব্যবহার কেবল কথোপকথনেই পরিলক্ষিত হয় যা আছো সহযোগিতা নীতির প্রতিশ্রুতিতে । এজন্যই গ্রাইসের ইঙ্গিতার্থকে বলা হয় কথোপকথনমূলক ইঙ্গিতার্থ। তবে কথোপকথনমূলক ইঙ্গিতাদেঁর স্বতন্ত্র কোন অস্তিত্ব নেই, ।
একে তার অস্তিত্বের জন্য আংশিকভাবে প্রচলনির্ভর অর্থের উপর নির্ভর করতে হয় । প্রচলনির্ভর অর্থ যেখানে অপ্রযোজ্য, সেখাইে ইঙ্গিতার্থ প্রযোজ্য হয়। ব্রাউন ও ইউল (১৯৮৩ : ৩৩) বলেন :
ইঙ্গিতার্থ হচ্ছে অর্থের প্রায়োগিক দিক এবং তার কিছু সনাক্তযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এটি অংশত উক্তির প্রচলনির্ভর বা আক্ষরিক অর্থ থেকে আহরিত হয়, যে উক্তি উৎপন্ন কোন বিশেষ প্রসঙ্গে যেখানে থাকে বক্তা ও শ্রোতা যারা সহযোগিতা নীতি ও তার নীতিসূত্রসমূহ মেনে চলে ।
বক্তার পক্ষ থেকে কোন নীতিসূত্রে লঙ্ঘন এবং শ্রোতার পক্ষ থেকে তার ব্যাখ্যা কিভাবে হয় তা বোঝার জন্য আমরা এখানে আরো কিছু কথোপকথন বিবেচনা করবো :
ক (পথিককে) : গাড়ীর তেল ফুরিয়ে গেছে। : সামনেই একটি তেলের ডিপো আছে ।
খ -এর উক্তিতে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় প্রাসঙ্গিকতা মূলসূত্রের লঙ্ঘন ঘটেছে। কারণ ক তাকে জিজ্ঞেস করেনি। কোথায় তেলের ডিপো আছে। কিছু খ ক এর উক্তি থেকে তার অন্তর্নিহিত বক্তব্যকর্ম আবিস্কার করেছে এবং সে অনুযায়ী মন্তব্য করেছে।
আবার সহযোগিতা নীতি অনুযায়ী ক ধরে নিবে যে খ এর উক্তিটি প্রাসঙ্গিক এবং সে সত্য কথা বলছে। তেলের ডিপোটি বেশি দূরে নয়, সেটি এখন খোলা আছে এবং কেনার মতো পর্যাপ্ত তেল সেখানে আছে। এসব যদি সত্য না হয় তবে খ একজন প্রতারক অথবা সে ক এর সাথে মশকরা করছে ।
সহযোগিতা নীতিতে প্রতারণা বা মশকরার স্থান নেই। যদি ক এর সহযোগিতা নীতিতে বিশ্বাস থাকে তবে সে ও কে ধন্যবাদ জানিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে তেলের ডিপোর সন্ধানে যেখানে খ এর উক্তির সত্যসত্য বিচার হবে ।
ক: চলো বাচ্চাদের কিছু কিনে নেই ।
খ: হ্যাঁ দেয়া যায়, তবে আই.সি.ই.সি আর-আই-এম-ই নয় ।
এখানে দেখা যায় খ কৌশলের নীতিসূত্র লঙ্ঘন করেছে যে উক্তিকে প্রাঞ্চল হওয়া উচিত (খ শব্দ উচ্চারণ না করে ইংরেজী ভাষায় বানান উচ্চারণ করেছে ।) এখানে প্রসঙ্গের ব্যাপারটি স্পষ্ট। দুজন স্বামীনী তাদের
বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছে মার্কেটে অথবা পার্কে এবং এটাও স্পষ্ট যে বাচ্চাগুলো ইংরেজী বোঝে না। খ -এর কৌশল মূলসূত্র লঙ্ঘন থেকে ক ধরে নিবে যে সেখানে তার জন্য কিছু জরুরী তথ্য আছে। যেমন চা ক বাচ্চাদের আইসক্রিম কিনে না দিক কারণ তাতে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগতে পারে অথবা খ সরাসরি আইসক্রিম শব্দটি উচ্চারণ করেনি কারণ তাতে হয়তো বাচ্চারা ঐ জিনিসটি খাওয়ার জন্যই গোঁ ধরবে। এভাবেই ক খ – এর উক্তির কৌশলগত বিচ্যুতির ব্যাখ্যা খুঁজে বের করে।
ক: এখন কয়টা বাজে বলতো ।
: ঐ তো দুধওয়ালা এসেছে।
উপরের কথোপকথনটির ব্যাখ্যা কি ? কি বোঝাতে চাইছে ক তা কি করে জানতে পারে ? আপাতদৃষ্টিতে -এর উক্তিটি অপ্রাসঙ্গিক মনে হলেও ক সহযোগিতা নীতির ফলে ধরে নিবে এটি কোন না কোনভাবে প্রাসঙ্গিক । প্রথমত, দুধওয়ালা একটি নির্দিষ্ট সময়ে আসে ক এবং খ উভয়েই তা জানে, সেটি হতে পারে সকাল সাতটা অথবা বিকাল পাঁচটা।
দ্বিতীয়ত, খ দড়ি দেখার ঝামেলা এড়াতে চাইছে এবং সে ধরে নিয়েছে ক এর একেবারে সঠিক সময়টি (ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড উল্লেখসহ) দরকার নেই। তাই সে চাক্ষুষ ঘটনা থেকেই খ-কে প্রয়োজনীয় তথ্যটি সরবরাহ করেছে।
ক: তার সাথে লাগতে যেয়ো না, চাকরি খোয়াবে।
: হ্যাঁ, সে অফিসের বড় বস্ তো !
এখানে খ যা বলছে তা বোঝাচ্ছে না। সে যাকে বড় বস্ বলেছে সে যে আসলে তা নয় এটি ক ও খ উভয়ের জানা আছে। তাহলে বলতে হয় খ মিথ্যা বলেছে এবং গুণের নীতিসূত্র লঙ্ঘন করেছে । এবং স্ব -এর এই আপাত মিথ্যা বলা ক এর জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। ক সহযোগিতা নীতিতে বিশ্বাসী এবং সে ধরে নিবে যে খ এর মিথ্যায় কোন সত্য লুকিয়ে আছে।
জাগতিক জ্ঞান থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং সহযোগিতা নীতির ভিত্তিতে ক এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যে খ ব্যঙ্গ করছে এবং সে মনে করে না অফিসের বড় বস্ বলে উল্লেখিত ব্যক্তি তার চাকুরির ক্ষতি করতে সক্ষম। আমরা অনুসন্ধান করলে দেখবো ব্যাঙ্গোক্তিও সৃষ্টি হয় গুণের নীতিসূত্র লঙ্ঘন করার ফলে । যেমন :
ক: আমি পরীক্ষায় ফেল করেছি ।
খ খুব ভালো করেছো ।
এখানে স্পষ্টতই ব ভালো বলে তার উল্টোটাই বোঝাতে চাইছে । এবং ক এরও তা বুঝতে খুব অসুবিধা হয় বলে মনে হয় না ।
এবার পরিমানের নীতিসূত্র লঙ্ঘনের একটি দৃস্টান্ত বিবেচনা করতে পারি। নীচের দৃষ্টান্তগুলি সংলাপ আকারে উপস্থাপিত নয়, এখানে কেবল সেই বিশেষ উক্তিটি উল্লেখ করা হয়েছে যা কোন ইঙ্গিতার্থ প্রকাশ করে।
খেলা খেলাই । হয় সে আসবে, নয়তো না আসবে । যদি সে টাকা নিয়ে থাকে তো নিয়েছে।
এ উক্তিগুলো স্পষ্টতঃই তথ্যবহুল নয়, অর্থাৎ এগুলো পরিমানের নীতিসূত্র লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু এর তাৎপর্য কি ? তাৎপর্য হলো উক্তিগুলো ইঙ্গিতে অনেক তথ্য প্রকাশ করে। যেমন ফেলা ফেলাই এর ইঙ্গিতার্থ হলো খেলা নিয়ে কোন্দল বা তর্কাতর্কির কিছু নেই কিংবা খেলায় হারজিত আছেই তাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়া উচিত ।
হয় সে আসবে নয়তো না আসবে এর ইঙ্গিতার্থ হলো সে আসলে ভালো না আসলে আফসোস করার কিছু নেই অথবা সে এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নয় যে তার আসাটা অতি জরুরি। একইভাবে যদি সে টাকা নিয়ে থাকে তো নিয়েছে এর ইঙ্গিতার্থ হলো তার টাকা নেয়াটা বড় কোন অপরাধ হিসাবে গণ্য নয় এবং তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। এখানে কিছুটা লাই দেয়ার মনোভাবও মনে হয় ব্যক্ত হয়েছে।
আমরা দেখেছি যে গ্রাইসের ইঙ্গিতার্থ শব্দগত অর্থ থেকে ভিন্ন । ইঙ্গিতার্থ পাওয়ার জন্য উক্তির শব্দগত অর্থকে পুনর্ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়। সেই পুনব্যাখ্যা প্রাইসের নীতেসূত্র লঙ্ঘন থেকে হতে পারে। কিন্তু পুনর্ব্যাখ্যার জন্য শ্রোতা কি ধরনের নিয়ম ব্যবহার করেন ।
হফম্যান (১৯৯৩ : ২৭৭) এ ধরনের কিছু নিয়ম প্রণয়নের চেষ্টা করেন। তিনি এদের নাম দেন পুনর্ব্যাখ্যা নিয়ম। নীচে আমরা ব্যাজোকি ও অতিশয়োক্তির পুনব্যাখ্যা নিয়ম উল্লেখ করছি ।
বাদোক্তি পুনর্ব্যাখ্যা নিয়ম : যদি কোনকিছু সম্পর্কে প্রীতিকর কিছু অবিশ্বাস্য কিছু বলা হয়, তবে তাকে বিপরীত অর্থে অর্থাৎ অপ্রীতিকর অর্থে গ্রহণ করো ।
অতিশয়োক্তি পুনর্ব্যাখ্যা নিয়ম : যদি কোনকিছুতে অসম্ভব পরিমান বা মাত্রা আরোপিত হয় তবে তা কমাতে
থাকো যে পর্যন্ত না তা যুক্তিগ্রাহ্য হয় ।গ্রাইসের ইঙ্গিতার্থ তত্ত্ব নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রায়োগিক তত্ত্ব। কিন্তু এরও রয়েছে অনেক সমস্যা।
কুলখাণ্ড (১৯৮৫ : ৩২) এর বিবিধ সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন। প্রথমত, শ্রোতা কেন বক্তার উক্তি ব্যাখ্যায় বিশেষ ধরনের লঙ্ঘনের দিকে মনোযোগী হবে প্রাইসের তত্ত্বে তার কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই দ্বিতীয়ত, একটি উক্তির নানারকম ইঙ্গিতার্থ থাকতে পারে, গ্রাইসের তত্ত্ব তাদের সুনির্দিষ্টতা সম্পর্কে কিছু বলে না।
আরও দেখুন: