Site icon Language Gurukul [ ভাষা গুরুকুল ] GOLN

ইলমে সরফ শিক্ষাদানের অনুসরণীয় সাধারণ কৌশলসমূহ

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ইলমে সরফ শিক্ষাদানের অনুসরণীয় সাধারণ কৌশলসমূহ – যা শিক্ষার্থীর আরবি ভাষার কাওয়ায়েদ এর অন্তর্ভুক্ত।

ইলমে সরফ শিক্ষাদানের অনুসরণীয় সাধারণ কৌশলসমূহ

 

 

সরফ শিক্ষার সহজ পদ্ধতিসমূহ নিম্নরূপ:

ইলমে সরফকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

১. ক্রিয়ার পরিমাপসমূহ
২. ক্রিয়ার বাবসমূহ
৩. ক্রিয়ার জটিলতা দূরীকরণ

ইলমে সরফ-এর এই তিনটি বিষয়শিক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষকগণ নিম্নলিখিত সহজ পদ্ধতিসমূহ অনুসরণ করবেন। যথা:

প্রথমত: শিক্ষকগণ সহজ নিয়ম-কানুনের মাধ্যমে শিক্ষাদান শুরু করবেন। প্রথমে অতীতকালের ক্রিয়াসমূহ শিক্ষা দেবেন। কেননা, অতীতকাল ক্রিয়া পরিমাপের প্রথম এবং সহজ ধাপ। এক্ষেত্রে বর্তমান— ভবিষ্যতকাল, নির্দেশসূচক ও নিষেধজ্ঞাপক ক্রিয়াসমূহ শিক্ষা দেওয়া যাবে না।

দ্বিতীয়ত: ক্রিয়ার বাব (بابالفعل) শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে তিন বর্ণ বিশিষ্ট ক্রিয়াসমূহ (الفعاللثالثي)শিক্ষা দেবে । যেমন- نصرـضربفتح প্রভৃতি। কেননা, তিন বর্ণ বিশিষ্ট ক্রিয়া চার বর্ণ বিশিষ্ট ক্রিয়া الفعاللرباعي বা পাঁচ বর্ণ বিশিষ্ট ক্রিয়া (الفعاللخماسي)-এর চেয়ে সহজ।

তৃতীয়ত: ক্রিয়ার জটিলতা বা দূর্বোধ্যতা দূরীকরণ (التعليل)-এর ক্ষেত্রে প্রথমে সহজীকরণ التسهيل , অতঃপর পরিবর্তন (لتبديل) আর (التقليب) ইত্যাদি। এরপর শিক্ষকশিক্ষার্থীদেরকে কিছু নিয়ম শিক্ষা দেবেন, নিয়মগুলো নির্ধারিত স্থানে ব্যবহার করে ক্রিয়ার বিভিন্নরূপ নিরূপণ করতে পারবে। যথা:

পরিমাপের বিভিন্নরূপের ক্ষেত্রে

১. দ্বি-বচনের চিহ্ন হিসেবে একবচন ক্রিয়ার শেষে বা ل কালেমা (শেষ বর্ণ)-এর পর (ا) ব্যবহৃত হয়েথাকে । যেমন:  فتحا نصراـضرب ইত্যাদি।
২. বহু-বচন পুং লিঙ্গের চিহ্ন হিসেবে একবচন ক্রিয়ার শেষে ( وا ) ব্যবহৃত হয়েথাকে। যেমন: واـفتحواُنصرواـضرب ইত্যাদি।
৩. বহু-বচন স্ত্রীলিঙ্গের চিহ্ন হিসেবে- একবচন ক্রিয়ার শেষে (تْ) ব্যবহৃত হয়েথাকে। (ت এ সাকিন)।

 

 

তা’লীলের ক্ষেত্রে

তা’লীল-হরফে ‘ইল্লতকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েথাকে।
عالل চার প্রকার। নিচে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো;

১. إعاللبالتسكين হরফে ইল্লতকে সাকিন করা। যেমন: يُ يجر শব্দের ي-কে সাকিন করে يْ رِجْ َي করা হয়েছে।

২. إعاللبالنقل: হরকতযুক্ত হরফে ইলতের হরকতকে পূর্বের সহিহ সাকিন হরফে স্থানান্তর করা।

৩. إعاللبالحذف হরফে ইল্লতকে বিলোপ করা। যেমন – دُ عِ وْ َي হতে واو-কে বিলোপ করে এ করা

হয়েছে।

৪. إعاللبالقلب এক হরফে ‘ইল্লতকে অন্য হরফে ‘ইল্লত দ্বারা পরিবর্তন করা। যেমন- قول  শব্দের হরফে ইল্লত (واو)-কে ألف দ্বারা পরিবর্তন করে قال করা হয়েছে।

শ্রেণিকক্ষে ইলমে সরফ পাঠদান পদ্ধতি

শিক্ষার্থীকে আরবি ভাষার পাণ্ডিত্য অর্জন করতে হলে অবশ্যই তাঁকে ‘ইলমে সরফ (iwalaka) শিখতে হবে। শেখানোর পদ্ধতিটি এমন হতে হবে, যাতে করে শিক্ষার্থী পাঠটি সহজেই উপলব্ধি করে, তা প্রয়োগের মাধ্যমে আরবি ভাষায় কথা বলা ও লেখার কাজ সম্পাদন করতে পারে। বাংলাদেশে সরফ পাঠদান পদ্ধতি সনাতন পদ্ধতির ওপর চলমান। বিধায়, শিক্ষার্থীরা ইলমে সরফ-এর পাঠদানের অনেক বিধান মুখস্থ করে, কিন্তু তা প্রয়োগ করতে পারে না। এজন্য প্রয়োগ নির্ভর পদ্ধতির বাস্তবায়ন হওয়া প্রয়োজন। নিচেপ্রয়োগ নির্ভর পদ্ধতির কিছু দিক তুলে ধরা হলো: ”

প্রথমতঃ

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক পাঠদানের সাধারণ কৌশল অবলম্বন করবেন। প্রথমে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর শ্রেণিবিন্যাস করা, বাড়ির কাজ বা অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ, বোর্ড সংরক্ষণ, মনোযোগ আকর্ষণ, পূর্বজ্ঞান যাচাই ও নুতন পাঠ ঘোষণার কাজ সম্পাদন করবেন। এরপর ইলমুস-সরফ-এর আলোচ্য বিষয়েবর্ণিত পদ্ধতির আলোকে সম্পাদন করবেন।

দ্বিতীয়তঃ

শিক্ষক প্রথম দিন সাধারণ অতীতকালের ক্রিয়াররূপ (ماضيمطلق) শিক্ষা দেবেন। এক্ষেত্রে শিক্ষক সরফের যে বিষয়টির বর্ণনা শিক্ষার্থীদের সামনে পেশ করতে চান তার ওপর ভিত্তি করে, কোনো একটি আরবি ইবারত (বাক্য সমষ্টি) বাছাই করবেন কিংবা নিজে তৈরি করে শ্রেণিকক্ষে নিয়েআসবেন এবং তা বোর্ডে লিখবেন। আর অতীতকালের ক্রিয়ার শব্দের প্রতি ইঙ্গিত করবেন। যেমন- শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাধারণ অতীতকাল (ماضيمطلق) সম্পর্কে ধারণা দিতে চান তবে একটি ইবারত এভাবে বলতে পারেন।

 

 

এভাবে বোর্ডে কথাগুলো লিখতে হবে এবং ..ذهبدخلقعدوقفسلم ; শব্দগুলোর নিচে দাগ দিতে হবে। আর শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসা করতে হবে যে, তারা শব্দাবলির মধ্যে কী কী মিল দেখতে পাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে দেখার পর বলতে চেষ্টা করবে:

অনুরূপভাবে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শব্দমূল (bilall) শেখাবেন। যথা:

আর শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ক্রিয়ামূল (المصدر) শেখাবেন। যেমন: النصر থেকে نصر

আরও দেখুনঃ

 

Exit mobile version