আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় “কারিত ক্রিয়া”। যা “ব্যাকরণ” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
কারিত ক্রিয়া
কারিত ক্রিয়া (Cousative)
নিজন্ত ক্রিয়া
ণে, পায়, পাপে এবং ণা,পয়- এ চারটি প্রত্যয়কে কারিত প্রত্যয় বলে। হেতুর্থে ধাতুর উত্তর কারিত প্রত্যয় হয়। তৎপর তি, অস্তি প্রভৃতি ক্রিয়া বিভক্তি হয় ।
২। কারিত প্রত্যয়ের ণ কারের লোপ হয়।
৩। কারিত প্রত্যয় পরে থাকলে অসংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের পূর্বস্থিত ধাতুর উপধা লঘুঘরের বৃদ্ধি হয়। যথা- পচ = পাচেতি, পাচেতি, পাচাপেতি, পাচাপযতি ।
~ ভিদ = ভেদ্যুতি, ভেদাপযতি, ভেদাপোত, ভেদেতি ।
/ মর = মারেতি, মরযতি, মারাপেতি, মারাপযতি।
ইচ্ছার্থ -ক্রিয়া (Desiderative)
১। ইচ্ছা অর্থে ধাতুর উত্তর খ, ছ এবং স প্রত্যয় হয়। তৎপর তি, অন্তি প্রভৃতি ক্রিয়া বিভক্তি হয়।
ইচ্ছার্থ প্রত্যয়ান্ত ধাতু অভ্যস্ত হয় ও যাবতীয় অভ্যস্ত কার্য প্রাপ্ত হয় ।
২। ছ প্রত্যয় পরে থাকলে ধাতুর অন্ত্য ব্যঞ্জনবর্ণের স্থানে ‘চ’ কার আদেশ হয়। যথা- জি – ঘচ + ছ + তি = জিঘচ্ছতি।
৩। খ প্রত্যয় পরে থাকলে ধাতুর অন্ত্য ব্যঞ্জনবর্ণের স্থানে ক-কার আদেশ হয়। যথা- বুভূজ + খ + তি =বুভূক্থতি। তিতিজ + খ + তি = তিতিক্থতি ।
৪। স প্রত্যয় পরে থাকলে হর ধাতু স্থানে গিং আদেশ হয়। যথা- হম্ + সন্ + তি = গিগিংসতি । উদাহরণ : √ ভুজ = বুভূক্থতি; = ভোতুমিচ্ছতি; ঘস্ = জিঘচ্চতি = ঘসিতুমিচ্ছতি ।
যস্ত ক্রিয়া (Intensive)
১। আতিশয্য অর্থে যঙন্ত ধাতুর প্রয়োগ হয় এবং ঐ সকল ধাতু দ্বিত্ত হয়।
যথা- গম্ = জঙ্গমতি = ওপরে নিচে ভ্রমণ করে।
গম = চঞ্চমতি = ইতস্তত ভ্রমণ করে।
অনুশীলনী
(ক) নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কর্মবাচ্য কিভাবে গঠিত হয়? কয়েকটি নিয়ম উল্লেখ কর।
নিম্নলিখিত ধাতুগুলোর প্রথম পুরুষের একবচনে বর্তমান কালের কর্মবাচ্যে পরিণত কর : √বচ, √সু: হঁস; Vজি; Vভূঃ পুচ্ছ; বিপ।
নিম্নলিখিত পালি বাক্যগুলোর কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তন কর :
ক. সো চন্দং পস্সতি ।
লুলধ মিগং হনতি।
গ. দাসো ভারং গামং নযতি।
অহং পোখকং পঠামি ।
আচররিযো মং ওরাদিতি ।
গ) সঠিক উত্তরে টিক (/) চিহ্ন দাও :
১। কর্তৃবাচ্যের কর্তায় কোন্ বিভক্তি যুক্ত হয়?
ক. প্ৰথমা
খ. দ্বিতীয়া
গ. তৃতীয়া
ঘ. চতুৰ্থী
২।কর্মবাচ্যে ধাতুর উত্তর ‘য’ প্রত্যয় কোটিতে যুক্ত হয়েছে?
ক. পঠতি
খ. আসিং
ঘ.দিব্বতে
গ. গমিস্সতি
১।সংজ্ঞা সহ উদাহরণ দাও :
নিজন্ত ক্রিয়া; ইচ্ছার্থ ক্রিয়া এবং যঙন্ত ক্রিয়া ।
আরও দেখুনঃ