গবেষণার উদ্দেশ্য

আজকে আমাদের আলোচনার  বিষয়-গবেষণার উদ্দেশ্য

গবেষণার উদ্দেশ্য

বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার ভাষার স্বতন্ত্র গঠনগত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। পৃথিবীর যেকোনো দেশের বা জাতির ভাষার ইতিহাস আলোচনা করলে ভাষা ও উপভাষার বিভিন্নমুখী বৈশিষ্ট্যের পরিচয় পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত ভাষাভাষীদের ভাষাগত পার্থক্য বিদ্যমান। তার পাশাপাশি শহর ও গ্রাম, শিক্ষিত ও অশিক্ষিত, ধর্ম ও বর্ণ ইত্যাদি ভেদে পার্থক্য দৃশ্যমান।

বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে স্থান ভেদে ও সমাজের উঁচু-নিচু স্তরভেদে বাংলা উপভাষার মৌখিকরূপেও পার্থক্য বিদ্যমান। এ ছাড়াও উপভাষার শব্দের অর্থ ও উচ্চারণগত বৈষম্যেও বিভিন্ন শ্রেণির জীবন-জীবিকা, সমাজ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি সম্পর্কেও পাওয়া যায় বিভিন্ন তথ্য।

 

গবেষণার উদ্দেশ্য

 

গ্রাম থেকে আগত শিক্ষিত শ্রেণির মানুষ সবসময় তাঁদের আঞ্চলিক ভাষা ও সেই সঙ্গে সাধু ও চলিত এই দুই ভাষাগত রূপ সামাজিক মর্যাদার জন্যে সংরক্ষণ করে থাকেন। শিক্ষিত শ্রেণির মানুষ সাধারণত অফিস আদালতে প্রমিত ভাষায় কথা বলে থাকেন। আর বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারি মানুষ সাধারণত আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করেন।

তাই সমাজের অঞ্চল বিশেষের ভাষাভাষীর মুখের ভাষায় আঞ্চলিক রূপবৈচিত্র্য অধিকতর বিদ্যমান। কেননা, তাদের ভাষায় পরিবর্তনের ধারা কম বলে এই শ্রেণির ভাষার মাঝেই ভাষার জীবন্তরূপ নিহিত। ভাষার ইতিহাস পুনর্গঠনে আঞ্চলিক রূপ বা উপভাষার প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহ বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

 

গবেষণার উদ্দেশ্য

ঢাকার ডেমরা এলাকায় মূলত কলকারখানা ইত্যাদি অবস্থিত। তাই এ অঞ্চলে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা বেশি। এজন্য ঢাকার প্রচলিত ভাষার সঙ্গে ঢাকা জেলার ডেমরা থানার প্রচলিত ভাষার ধ্বনিতাত্ত্বিক

রূপতাত্ত্বিক ও বাক্যগঠনগত দিক থেকে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। ডেমরা থানার আঞ্চলিক ভাষার বিভিন্ন দিক এখন পর্যন্ত অনুদঘাটিত। আঞ্চলিক ভাষা থেকে ভাষার অতীত ইতিহাসের উপাদান সংগ্রহ করার লক্ষে গবেষণার জন্য ঢাকার পূর্ব উপকণ্ঠে অবস্থিত ডেমরা থানার শ্রমিকশ্রেণির ভাষা বিশ্লেষণ গবেষণার বিষয় হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

 

ভাষার সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ডেমরা এলাকার শ্রমিকশ্রেণির ভাষার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নির্ণয় ও বিশ্লেষণ বর্তমান গবেষণার মূল উদ্দেশ্য।

আরও দেখুন:

 

Leave a Comment