আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ” তিত্তির জাতক “। যা “জাতক” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
তিত্তির জাতক
তিত্তির জাতক
অতীতে হিমবস্তুপসে এবং মহানিগ্রোবং উপনি সায তথো সহাযা বিহরিংসু “ভিত্তিরো মক্কটো হথীতি। তে অজ্ঞমঞঞং অগরবা অপতিস্সা অসভাগবুত্তিনো অহেসুং। অথ নেসং এতদহোসি; ন যুক্তং অম্হাকং এবং বিহরিতং যনুনময্হং যো নো মহলকতরো তস অভিবাদনানি করোস্তা বিহরেয্যামাতি। “কো পন, নো মতুলকভরো’ ভি চিন্তেড়া একদিবসং “অখি এস উপাযো”তি তযো পি জনা নিগ্রোধমূলে নিসীদিতা ভিত্তিরো চ মক্কটো চ হখিং পুচছিংসু। সম্ম হখি, তুং ইমং নিগ্রোধরুদ্ধং কীবপূপমাণকালতো পঠায় জানাসী”তি।
সো আহ: ‘সম্ম অহং তরুণপোতক-কালে ইমং নিগ্রোধ গচ্ছং অন্তরাস ঠেসু কড়া গচ্ছামি, অন্তভরিতা ঠিতকালে চ পন মে এতস্স অপসাখা নাভিং ঘটতি, এবাহং ইমং গচ্ছকালতো পঠায় জানামী’তি। পুন উড়ো জনা পুরিম নযেনের মক্কটং পুচ্ছিংসু। সো আহ: “অহং সম্ম মক্কটচ্ছাপক। সমানো ভূমিয়ং নিসিদিত্বা গিব অনুক্খিপিতা ব ইমস নিগ্রোধ পোতকস অগ্রগঙ্কুরে খাদামি, এবং অহং ইমং খুদ্দক কালতো পঠা জানামীতি। “
অথ ইতরে উত্তো পুরিম নযেনের ভিত্তিরং পুচ্হিংসু। সো আহ: “সম্ম, পুব্বে অমুকস্মিং নাম ঠানে মহানিগ্রোধ রুখো অহোসি, অহং তস ফলানি খাদিতা এতসিং ঠানে বচ্চং পাতেসিং, ততো এস রুখো জাতো, এবাহং ইমং অজাতকালেতো পঠায় জানামি, তমা অহং তুমহেহি জাতিয়া মহলকতরো তি।
এবং বুত্তে মক্কটো চ হখী চ তিত্তির পণ্ডিতং আহংসু: “সম্ম, তুং অমূহেহি মহলকতরো; ইতো পঠায় ময়ং তব সকার গরুকার মান-বন্দন পূজনানি চেব অভিবাদন পচ্চুঠান— অঞ্জলি কৰ্ম্ম সামীচি কম্পানি চ করিসাম, ওবাদে চ তে ঠস্সাম তুং পন ইতো পঠায় অম্হাকং ওবাদানুসাসনীয়ং দদেয্যাসী “তি। ততো পঠায় ভিত্তিরো তেসং ওৰাদং অদাসি, সীলেসু পতিষ্ঠাপেসি, সযং পি সীলানি সমাদিতিয়ি। তে তযো পি জনা পঞ্চ সীলসু পতিষ্ঠায় অঞম ঞং সগারবা সম্পত্তিস্সা সভাগবুত্তিনো হুড়া জীবিতপরিযোসানে দেবলোক পরাযণ অহেসুং ।
এবং সখা ইয়ং ধম্মদেসনং আহরিতা অভিসম্বুদেধা হুড়া ইমং গাথং আহ :
যে বড়ঢং অপচার্যস্তি নরা ধম্মস্স কোবিদা, দিঠের ধম্মে পসংসা সম্পরাযে চ সুগগতী’।
শব্দার্থ – ১
মহানিগ্রোধং – বিরাট বটবৃক্ষ; উপনিসা – অবলম্বন করে; তযো- তিন জন; সহাযা – বন্ধুগণ; – বিহরিংসু – বাস করত; ভিত্তিরো – তিতির পক্ষী; মক্কটো – বানর; হথী – হস্তী; তে – – তারা; অঞমঞঞং – পরপর; অগারবা – গৌরব না করে; অম্পতিস্সা – সম্মান না করে; – – অসভাগবুত্তিনো — বড় ছোট মান্য না করে; অহেসুং – হয়েছিল ; অর্থ – অতঃপর, নেসং – তাদের; – এতদ – এই, অহোসি হয়েছিল; ন না; যুক্তং – উচিত; অম্হাকং – আমাদের; এবং এভাবে; – বিহরিতুং চলাফেরা করা;
যনুন– যেহেতু মাহং আমাদের মধ্যে যো- যে মহলতবো- জ্যেষ্ঠ; তসস তাকে অভিবাদনানি – নমস্কার; করোস্তা করে; চিন্তেড়া-চিন্তা করে; বিহরেয্যাম তি—বিচরণ করব; কো–কে; নো- আমাদের মধ্যে; একদিবসং— একদিন; অধি— আছে; যোপি জনা—তিনজনেই; নিগ্রোধমূলে – বটগাছের তলায়, নির্মীনিতা –বসে; হথিং- হস্তীকে পুচ্ছিংসু – জিজ্ঞাসা করল; সম্ম— মহাশয় ত্বং-ভূমি; ইমং-এই কীব পমাণকালতো কোন বয়স থেকে; পঠায় – হতে; জানাসি – জান।
শব্দার্থ – ২
তরুণপোতক কালে বাল্যকালে, নির্ঘোষ গচ্ছ- বটবৃক্ষকে; অন্তরাস ঠেসু-পেটের তলা; কড়া-করে; গচ্ছামি – যেতাম; অন্ততরিতা— এর ওপর ঠিতকালে দাঁড়ালে মে- আমার এতসস-এর অগণসাথা- অগ্রভাগ; নান্ডিং– নাভি, ঘতি—স্পর্শ করত; এবাহং আমি এভাবে, গচ্ছকালতো চারা গাছ অব পাঠায়— হতে;
জানামি জানি; পুন–আবার; উতো দুই; জনা ব্যক্তি; পুরিমনদেনের আগের নিয়মানুসারে, মঞ্চটং— বানরকে পুচ্ছিসু-জিজ্ঞেস করেছিল; মরুটস্থাপকো – বাচ্চা অবস্থায় ভূমিয়া- মাটিতে; নিসীদিতা বসে, গীবত-গ্রীবা, অনুকস্থিপিতা- প্রসারিত করে, ইসসস-এর নিগ্রোধ পোতকস- বটের চারার অপাঙ্কুরে আগার কচি পাতাগুলো; বাদামি-যেতাম ঘুদক কালতো একেবারে ছোট অবস্থা হতে; জানামি –জানি।
শব্দার্থ – ৩
ইউরে- অপর, অন্য; পুচ্ছিসু-জিজ্ঞোস করলেন; অমুকসিং অমুক, ঠানে—সানে মহানিগ্রোধো-বিরাট বটবৃক্ষ; অহোসি—ছিল; ফলানি ফলগুলো খাদিয়া খেয়ে এতসিং- এই বছং বিষ্টা; পাভেসিং- ত্যাগ করেছিলাম; ততো তা হতে এস- এই জাতো উৎপন্ন হয়েছে; অজ্ঞাত কালতো জন্মের পূর্ব হতে; তুমহেহি — তোমাদের হতে;
জাতিয়া জন্মের দিক দিয়ে; মহলকতরো ছোট; এবং এরূপ; বুঝে — বলা হলে; পণ্ডিতং-পণ্ডিতকে; আহংসু – বলেছিলাম; মযং- আমরা; সকার সৎকার; গরুকার — গৌরব; মান— সম্মান; বন্দন–বন্দনা, পুজনানি পূজা পইঠান – আসন হতে ওঠা; অালিকা – হাতজোড় করে নমস্কার; সামীটি কম্পানি অনান্য সম্মানজনক কার্যাবলি; করিস্সাম– করব; ওবাদে – উপদেশে, ঠসাম- বাধ্য থাকা; তৎ- আপনি।
মর্মার্থ
হিমালয়ের একটি বট বৃক্ষে একটি ভিতির পাখি, একটি বানর ও একটি হাতি বাস করত। তাদের তিনজনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। তারা কেউ কাউকে সম্মান করত না। একদিন তারা পরস্পরকে সম্মান প্রদর্শনের কথা চিন্তা করল। তাদের মধ্যে কে বড় তার উপায় বের করল। বানর হাতিকে জিজ্ঞেস করল— বন্ধু, তুমি কতদিন থেকে এ বটবৃক্ষকে দেখছ? সে উত্তর দিল- বৃক্ষটা আমি চারা গাছ থেকে দেখে আসছি।
আবার অন্য দুজন বানরকে জিজ্ঞেস করল। সে উত্তর দিল, চারাগাছ অবস্থায় সে যখন বাচ্চা ছিল ত গাছের কচিপাতা খেত। একইভাবে তিতির পাখিকে বলা হল। ভিত্তির উত্তর দিল- বন্ধুগণ, অমুকস্থানে একটি বড় বট বৃক্ষ ছিল। আমি তার ফল খেয়ে এখানে বিষ্ঠা ত্যাগ করেছিলাম। কাজেই আমি একে জন্মের পূর্ব থেকেই আমি। সুতরাং, আমি বয়সে তোমাদের বড়।তখন থেকে বানর ও হাতি তিতির পাখিকে সম্মান ও গৌরব করত। বন্দনা করত। তিনজনে পঞ্চশীলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুখে বাস করতে লাগল।
উপদেশঃ
জোটকে সমান করলে ইহ-পরকালে সুখ লাভ হয়।
টীকা
জাতক
জাতক হল বুদ্ধের পূর্বজন্মবৃত্তান্ত। বৃদ্ধ সুমেধ তাপস অবস্থায় বৃদ্ধি লাভের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। তখন থেকে তিনি বিভিন্ন জনো পারমীসমূহ পূরণ করেন। প্রত্যেক জনের এক একটি কাহিনী আছে। এ কাহিনীগুলোকে জাতক বলা হয়। যে জাত বা জন্মগ্রহণ করেছে তা-ই জাতক।
মোট জাতকের সংখ্যা ৫৫০টি। কিন্তু বর্তমান জাতকের সংখ্যা ৫৪৭টি। জাতকের তিনটি অংশ। যথা- অতীতবস্তু বা মূল জাতক, বর্তমান বস্তু ও সমাধান। সুত্ত পিটকের অন্তর্গত জাতক গ্রন্থে এগুলো সংগৃহীত আছে। জাতকের মূল্য অপরিসীম। প্রত্যেকটি জাতকই উপদেশপূর্ণ। জাতকের ওপর ভিত্তি করে গল্প, রূপকথা উপন্যাস গড়ে উঠেছে।
অনুশীলনী
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১।তিত্তির জাতকটি উপদেশসহ তোমার নিজের ভাষায় লেখ।
২।ভিত্তিন্ন জাতকে তিন বন্ধু কে কে? তাদের প্রোষ্ঠাতা কিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছিল?
(খ) সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১। তিনি পাখির বুদ্ধির পরিচয় উল্লেখ কর।
২।তিত্তিন্ন জাতকের তিন বন্ধু তাদের অবশিষ্ট জীবন কিভাবে অতিবাহিত করেছিল?
७। জাতক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ ।
(গ) শূন্যস্থান পুরণ কর :
যো বড়ং – নরা কোবিদো,
দিঠে — পসংসা সম্পরাধে চ সুগতী “তি।
(ঘ) সঠিক উত্তরে টিক (/) চিহ্ন দাও :
১।ভিত্তির জাতকে তিন বন্ধুর মধ্যে কে জ্যেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিল?
ক. ভিত্তির
খ. হাতি
খ. বানর
ঘ. শৃগাল
২।তিন বন্ধু কোথায় বাস করত?
ক. নাগেষর বৃক্ষে
খ. সেগুন বৃক্ষে
গ. আম বৃক্ষে
ঘ. বটবৃক্ষে
৩। বুদ্ধের পূর্বজন্ম বৃত্তান্তকে কী বলা হয়?
ক. পারমী
খ. সমাধান
গ. জাতক
ঘ. নাটক
8। জাতকের মোট সংখ্যা কয়টি?
ক. ৫০০
খ. ৫৫০
গ. ৫৭৫
ঘ. ৫৮৫
৫। জাতক সুত্ত পিটকের কোন্ গ্রন্থে সংগৃহীত আছে?
ক. সুত্ত নিপাত
খ. অপদান
গ. বিমান বন্ধু
ঘ. জাতক
আরও দেখুনঃ