দাপ্তরিক নমুনা পাওয়ারপর বিশ্লেষণ

দাপ্তরিক শ্রেণির নমুনা দাওয়াতপত্র বিশ্লেষণের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসক কর্তৃক জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দাওয়াতসমটি নির্বাচন করা হয়েছে। বিশ্লেষণের সুবিধার্থে দাওয়াতপত্রটি নিচে সংযোজিত হলো।

 

দাপ্তরিক নমুনা পাওয়ারপর বিশ্লেষণ-১

 

 

 

ক. সার্পের বাককৃতি তন্তু অনুসারে দাপ্তরিক নমুনা দাওয়াতপত্রের বাককৃতি বিশ্লেষণ
বিশ্লেষিত দাপ্তরিক দাওয়াতপত্রটির (দেশের মরা জাতীয় দিবস উদযাপন সংক্রান্ত) উক্তিমালা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এখানে মোট ৫টি অংশ রয়েছে, যথা-

1) সম্বোধন 11 ) তথ্য বা বিষয়বস্তু বর্ণনা ii) আমন্ত্রণ জানানো iv) আমন্ত্রণকারীর পদবিসহ নাম এবং v) যোগাযোগের জন্য টেলিফোন নম্বর। দাপ্তরিক দাওয়াতপত্রের এই পাঁচটি অংশে কোন ধরনের ভাষাগত উপাদান থাকে তা নিচের সারণিতে প্রদত্ত ।

সারণি: ১৪ দাপ্তরিক (মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন) নমুনা দাওয়াতপত্রের কাঠামোগত
অংশ

 

দাপ্তরিক নমুনা পাওয়ারপর বিশ্লেষণ-১

 

বিশ্লেষিত পাওয়াতপত্রটির বিভিন্ন ভাষিক উপাদানসমূহ ( সানশি ১১) তে (Seale 1969) অনুসারে প্রস্তাব কৃতি নামে পরিচিত তার শুরুতেই আমলকারী আমরণগ্রহিতাকে সম্বোধন করেছেন। ‘সুধী’। আমাদের সংস্কৃতিতে আনুষ্ঠানিক বা বিধিগত পরিবেশে কাউকে আমন্ত্রণ জানানোর ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারীকে সম্বোধনের জন্য এ ধরনের সম্মানসূচক শব্দাবলি ব্যবহার করা হয়। দাওয়াতপত্রের পরবর্তী অংশে রয়েছে বর্ণনা দাওয়াতপত্রের এই অংশটি সবচেয়ে

 

কেননা এ অংশে আমন্ত্রণকারী আমন্ত্রিত অতিথিকে অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রদান করেন, যেমন- কী উপলক্ষে, কবে, কখন, কোথায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কে হবেন প্রভৃতি। তৃতীয় কাঠামোগত অংশে আমন্ত্রণকারী আমন্ত্রণগ্রহিতাকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পরবর্তী অংশে দপ্তর প্রধান হিসেবে আমন্ত্রণকারী নিজের নাম, পদবি উল্লেখ করেছেন এবং সবশেষে কয়েকটি ফোন নাম্বার রয়েছে কোনো প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য ।

দাওয়াতপত্রটির কাঠামোগত অংশসমূহের মধ্যে দ্বিতীয় অংশটি সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে। কেননা এর মাধ্যমে আমন্ত্রিত অতিথি অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। সার্নের তত্ত্ব অনুসারে (Searle, 1969) আমাদের উক্তির মধ্য দিয়ে কাজ নির্দেশিত হয়। সে হিসেবে দাওয়াতপত্রটির লিখিত বক্তব্যের মধ্য দিয়েও কাজ নির্দেশিত হয়েছে যাতে লেখকের মনোগত অভিপ্রায় পাঠকের নিকট প্রকাশিত হয়েছে।

সার্লের মতে (Searle, 1969) এই মনোগত অভিপ্রায় হলো ‘নিবেদন কৃতি। এই দাওয়াতপত্রের নিবেদন কৃতি হলো আমন্ত্রণগ্রহণকারী যেন উল্লিখিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। প্রস্তাব কৃতির ‘মহান স্বাধীনতা সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন” অংশটুকু বিবৃতিমূলক নিবেদন কৃতি। এ অংশে আমন্ত্রণকারী অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে কিছু বিবৃতি দিয়েছেন।

পরবর্তী অংশ ‘আপনি … আমন্ত্রিত’ এই প্রস্তাব কৃতির অন্তরালে আমন্ত্রণকারীর মনোগত অভিপ্রায় প্রকাশ পেয়েছে। এখানে দাওয়াতকারী আমন্ত্রিত অতিথিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন। পার্ল (Searle, 1969) অনুসারে এই অংশটুকু আদেশমূলক নিবেদন কৃতি। কেননা এখানে অনুরোধের মাধ্যমে আদেশমূলক নিবেদন কৃতি প্রকাশ পেয়েছে। ‘সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপন’ অঙ্গীকারমূলক নিবেদন কৃতি, কারণ এই অংশের মাধ্যমে প্রতিজ্ঞা করা নির্দেশ করছে।

বক্তা শ্রোতা, লেখক-পাঠক বা আমন্ত্রণকারী আমন্ত্রণগ্রহিতার সমন্বিত প্রয়াসে কোন সংজ্ঞাপন সাফল্য লাভ করে। আমন্ত্রণগ্রহিতা যদি আমন্ত্রণকারীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন বা থাকতে না পারলে তা জানিয়ে দেন তাহলে সার্নের (Searle, 1969 ) মতে প্রতিক্রিয়া কৃতি সুসম্পন্ন হয়।

সার্ল এর বাককৃতি তত্ত্ব (Searle, 1969) অনুসারে বলা যায়, এই দাওয়াতপত্র প্রণয়নকারী বা আমন্ত্রণকারী দাওয়াতপত্রে বিদ্ৰতাসূচক বিভিন্ন শব্দ বা বাক্যাংশ ব্যবহার করেছেন মূলত আমন্ত্রণগ্রহিতা যেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন, এই উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ আমন্ত্রণকারী দাওয়াতপত্রে বিনম্রতাসূচক শব্দ/বাক্যাংশ প্রয়োগের মাধ্যমে অতিথিকে অনুরোধ করেছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য।

প্রস্তাব কৃতির মাধ্যমে আদেশমূলক নিবেদন কৃতি অর্থাৎ আমন্ত্রণকারীর ‘অনুরোধ’ প্রকাশ পেয়েছে । এই দাওয়াতপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, যদি আমন্ত্রণকারীর লিখিত আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমন্ত্রণগ্রহিতা দাওয়াতে অংশগ্রহণ করেন তাহলে প্রতিক্রিয়া কৃতি সম্পন্ন হবে।

খ. ব্রাউন ও লেভিনসনের বিনম্রতার তত্ত্ব অনুসারে দাপ্তরিক নমুনা দাওয়াতপত্রের বিনম্রতা বিশ্লেষণ
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। ফলে এই দাওয়াতপত্রে আমন্ত্রণকারী দপ্তর প্রধান হিসেবে নির্বাচিত অতিথিবৃন্দকে দাওয়াতপত্র প্রেরণ করে থাকেন।

আলোচ্য দাওয়াতপত্রটিতে আমন্ত্রণকারী কিছু সংখ্যক বিনম্রতাসূচক শব্দ/বাক্যাংশ ব্যবহার করেছেন আমন্ত্রণগ্রহিতাদের উদ্দেশ্য করে, যেমন- ‘সুধী’, ‘মাননীয়’, ‘সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপন, ‘সাদরে আমন্ত্রিত’ প্রভৃতি। আমাদের সমাজে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে আনুষ্ঠানিক পরিবেশে কাউকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে তাঁকে সম্মান জানিয়ে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করা হয়।

এতে করে আমন্ত্রণকারীর বিনম্রতা যেমন প্রকাশ পায়, তেমনিভাবে আমন্ত্রণগ্রহিতাও সম্মানিতবোধ করেন। তাই আলোচ্য দাপ্তরিক দাওয়াতপত্রটিতে আমন্ত্রণকারী আমন্ত্রিত অতিথিকে উদ্দেশ্য করে ‘সুধী’ বিনম্রতাসূচক শব্দ ব্যবহার করেছেন। ‘সুধী’ ব্যিতাসূচক শব্দটি ব্রাউন ও লেভিনসনের (Brown and Levinson, 1987 ) ধারণাসূচকে ইতিবাচক বিনম্রতাসূচক শব্দ।

দাপ্তরিক নমুনা দাওয়াতপত্রে ব্যবহৃত কৃতি অনুসারে বিনম্রতার স্বরূপ বিশ্লেষণ

মূলত ‘সুধী’ সম্বোধনের মাধ্যমে আমন্ত্রিত অতিথির মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন আমন্ত্রণকারী। এর মাধ্যমে তিনি নিজের অভিব্যক্তিও (face) বৃদ্ধি করেছেন আমন্ত্রিত অতিথির নিকট (Brown and Levinson, 1987)।
দাপ্তরিক শ্রেণির দাওয়াতপত্রে বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রম বা বিশেষ কোন দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে সমাজ বা রাষ্ট্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকেন। ফলে মহান স্বাধীনতা ও

জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলে উল্লেখ করা হয়। এ কারণে তাঁকে সম্মান জানিয়ে রীতি অনুসারে ‘প্রধানমন্ত্রী- এর পূর্বে ‘মাননীয়’ বিনম্রতাসূচক শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। ‘মাননীয়’ শব্দটি খুব বিশিষ্ট ব্যক্তির পদবির পূর্বে ব্যবহার করে রীতি অনুসারে ‘পদবি কে সম্মান প্রদর্শন করেছেন আমন্ত্রণকারী।

‘সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপন’, বিনম্রতাসূচক শব্দ/বাক্যাংশের ব্যবহার লক্ষ করলে দেখা যায়, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী’, এ কারণে তাকে সম্মান জানিয়ে ‘সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন’ বিনম্রতাসূচক বাক্যাংশটি ব্যবহার করা হয়েছে।

এছাড়া ‘সাদরে আমন্ত্রিত বিনম্রতাসূচক বাক্যাংশের মাধ্যমে আমন্ত্রণকারী, আমন্ত্রিত অতিথিকে অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত থাকার জন্য ‘অনুরোধ’ করেছেন। দাওয়াতপত্রে উল্লিখিত ‘মাননীয়’, ‘সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপন’, ‘সাদরে আমন্ত্রিত শব্দ/বাক্যাংশ ব্রাউন ও লেভিনসনের বিনম্রতার তত্ত্বমতে (Brown and Levinson, 1987) নেতিবাচক বিনম্রতা নির্দেশ করে।

কেননা নেতিবাচক বিনম্রতাসূচক শব্দ/বাক্যাংশের ব্যবহারে আমন্ত্রণ গ্রহণকারীর সম্মান বৃদ্ধি পায় একইসাথে আমন্ত্রণকারীর ‘অভিব্যক্তির ভীতিকারী কর্ম’ (অভীক) হ্রাস পায়। কারণ আমন্ত্রণকারী আমন্ত্রগ্রহিতাকে অপ্রত্যক্ষরূপ বা অনুরোধের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তিনি অতিথিকে জোর করছেন না। দাপ্তরিক দাওয়াতপত্রে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ধরনের শব্দ/বাক্যাংশের প্রয়োগই গুরুত্বপূর্ণ।

গ. লিচের বিনম্রতার রীতি অনুসারে দাপ্তরিক নমুনা দাওয়াতপত্রের বিনম্রতা বিশ্লেষণ
দাপ্তরিক শ্রেণির নমুনা দাওয়াতপত্রসমূহের উক্তিমালা বা ডিসকোর্স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় আমন্ত্রণকারী কিছু সংখ্যক বিনম্রতাসূচক শব্দ/বাক্যাংশ ব্যবহার করেছেন আমন্ত্রিত অতিথির উদ্দেশ্যে, যেমন- ‘সুধী’, ‘মাননীয়’, ‘সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপন’, ‘সদয় সম্মতি জ্ঞাপন’, ‘সাদরে আমন্ত্রিত’, *আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করছি’, ‘গভীর শ্রদ্ধা’, ‘ধন্যবাদসহ ইত্যাদি।

আমাদের সামাজিক প্রথা অনুসারে আনুষ্ঠানিক পরিবেশে অতিথিকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এর মাধ্যমে আমন্ত্রণকারীর বিনম্রতা যেমন প্রকাশ পায়, আমন্ত্রণগ্রহিতাকেও তেমনি সম্মান জানানো হয়।
দাপ্তরিক নমুনা দাওয়াতপত্রে আমন্ত্রণকারী, আমন্ত্রিত অতিথিকে সম্মান জানিয়ে ‘সুধী’ সম্বোধন করেছেন। নিচের বিনম্রতার রীতি অনুসারে ‘সুধী’ বিনম্রতাসূচক শব্দটি অনুমোদিত রীতি’।

এর মাধ্যমে আমন্ত্রণকারী আমন্ত্রিত অতিথিকে সম্মান প্রদর্শন করেছেন। দাপ্তরিক নমুনা দাওয়াপত্রে ‘মাননীয়’ বিনম্রতাসূচক শব্দটি আমন্ত্রণকারী উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি/বিশেষ অতিথির উদ্দেশ্য প্রথা অনুসারে ব্যবহার করেছেন।

 

দাপ্তরিক নমুনা পাওয়ারপর বিশ্লেষণ-১

 

বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের পূর্বে ‘মাননীয়’ শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে রীতি অনুসারে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। লিচের বিনম্রতার রীতি অনুসারে ‘মাননীয়’ বিনম্রতাসূচক শব্দটি ‘অনুমোদিত রীতি’র অন্তর্ভুক্ত। ‘সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপন’, ‘সদয় সম্মতি জ্ঞাপন’ বিনম্রতাসূচক বাক্যাংশসমূহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি বা বিশেষ অতিথিকে উদ্দেশ্য করে ব্যবহার করা হয়েছে।

তাঁরা যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে সম্মত হয়েছেন সেই বিষয়টিই ‘সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপন’, ‘সদয় সম্মতি জ্ঞাপন এর মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন আমন্ত্রণকারী। লিচের বিনম্রতার রীতি অনুসারে এ দুটি বাক্যাংশই ‘মিতচারিতা রীতি’। কারণ উভয়ক্ষেত্রেই আমন্ত্রণকারী নিজেকে তুচ্ছ করেছেন অনুষ্ঠানের প্রধান/বিশেষ অতিথিকে সম্মান জানানোর জন্য।

নমুনা দাওয়াতপত্রে ‘গভীর শ্রদ্ধা’, ‘মহান’ বিনম্রতাসূচক বাক্যাংশ দুইটি আমন্ত্রণপত্রে প্রয়োগ করা হয়েছে ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলনের ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান জানিয়ে। লিচের বিনম্রতার রীতি অনুসারে এর মাধ্যমেও ‘অনুমোদিত রীতি’ প্রকাশ পেয়েছে।

ধন্যবাদসহ বিনম্রতাসূচক শব্দটি আমন্ত্রণকারী আমন্ত্রিত অতিথিকে উদ্দেশ্য করে দাওয়াতপত্রে ব্যবহার করেছেন। ধন্যবাদসহ নিচের বিনম্রতার রীতি অনুসারে ‘সহানুভূতি রীতি’। এর মাধ্যমে আমন্ত্রণকারী আমন্ত্রণগ্রহিতার মধ্যকার পারস্পরিক সহানুভূতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

Leave a Comment