ধর্মীয় নমুনা দাওয়াপত্র বিশ্লেষণ

আজকে আমাদের আলোচনার  বিষয়-ধর্মীয় নমুনা দাওয়াপত্র বিশ্লেষণ

ধর্মীয় নমুনা দাওয়াপত্র বিশ্লেষণ

এই গবেষণায় উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য ধর্মীয় নমুনা পাওয়াতপত্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল কর্তৃক আয়োজিত ‘সরস্বতী পূজা’ অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র নির্বাচন করা হয়েছে। বিশ্লেষণের সুবিধার্থে দাওয়াতপত্রটি নিচে উপস্থাপন করা হলো।

 

ধর্মীয় নমুনা দাওয়াপত্র বিশ্লেষণ

 

ক. সার্লের বাককৃতি তত্ত্ব অনুসারে ধর্মীয় নমুনা দাওয়াতপত্রের বাককৃতি বিশ্লেষণ
ধর্মীয় নমুনা দাওয়াতপত্রটির (সরস্বতী পূজা) কাঠামো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এখানে মোট ৬ অংশ রয়েছে, যথা- 1) ধর্মীয় রীতি অনুসারে দেবীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন ii) সম্বোধন iii) তথ্য বা বিষয়ের বর্ণনা iv) আন্তরিকতার সাথে আমন্ত্রণ জানানো v) বিনম্রতা প্রকাশ করে আমন্ত্রণকারীবৃন্দের নাম এবং vi) উদযাপন কমিটি ও আয়োজক প্রতিষ্ঠানের নাম। একটি ধর্মীয় দাওয়াতপত্রের ছয়টি অংশে কোন ধরনের ভাষাগত উপাদান থাকে তা নিচের সারণিতে উল্লেখ করা হলো।
সারণি: ৯ ধর্মীয় (সরস্বতী পূজা) নমুনা দাওয়াতপত্রের কাঠামোগত অংশ

 

ধর্মীয় নমুনা দাওয়াপত্র বিশ্লেষণ

 

সালের তত্ত্ব অনুসারে (Searle, 1969) এই দাওয়াতপত্রের লিখিত প্রস্তাব কৃতির শুরুতেই আমন্ত্রণকারী সনাতন ধর্মের প্রচলিত রীতি অনুসারে দেবীর প্রতি সম্মান জানিয়ে অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পরবর্তী অংশে বিধিগত পরিবেশের রীতি অনুসারে আমন্ত্রণগ্রহিতাকে সম্বোধন করেছেন।

তৃতীয় অংশে দেখা যাচ্ছে, আমন্ত্রণকারী বেশ কিছু তথ্য আমন্ত্রিত অতিথির অবগতির জন্য উল্লেখ করেছেন, যেমন- কবে, কখন, কোথায়, কী উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে প্রভৃতি। চতুর্থ অংশে আমন্ত্রণকারী আন্তরিকতার সাথে অতিথিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন। ধর্মীয় অনুষ্ঠানটিতে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী সবার উপস্থিতি কামনা করে আমন্ত্রণকারীবৃন্দ আমন্ত্রণ করেছেন।

আমন্ত্রণকারীবৃন্দ বিনয়ের সাথে নিজেদের নাম উল্লেখ করেছেন পরবর্তী অংশে। প্রস্তাব কৃতির সর্বশেষ অংশে উদযাপক কমিটি ও আয়োজক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। দাওয়াতপত্রের উল্লেখিত ছয়টি অংশের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ তৃতীয় অংশ অর্থাৎ তথ্য বা বিষয়ের বর্ণনা। কারণ এই অংশটির মাধ্যমে আমন্ত্রণগ্রহিতা সমগ্র অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে অবগত হতে পারেন।

সালের তত্ত্বমতে (Searle, 1969), আমাদের কথা বা লেখনির মাধ্যমেও কাজ নির্দেশিত হয়। এখানে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে লেখকের মনোগত অভিপ্রায় পাঠকের নিকট প্রকাশ পায়। এই ‘মনোগত অভিপ্রায়’কে সার্ল (Searle, 1969) বলেছেন “নিবেদন কৃতি। এই দাওয়াতপত্রের প্রস্তাব কৃতির অন্তরালে এখানে নিবেদন কৃতিই প্রকাশ করা হয়েছে।

দাওয়াতপত্রের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারীর মনোগত অভিপ্রায় উল্লিখিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণগ্রহিতাকে আমন্ত্রণ জানানো। সার্লের তত্ত্বানুসারে (Searle, 1969 ) “আগামী ১৬ মাঘ আয়োজন করা হয়েছে” বিবৃতিমূলক নিবেদন কৃতি। কারণ এ অংশে আমন্ত্রণকারী আমন্ত্রণগ্রহিতাকে কিছু তথ্য প্রদান করেছেন।

পরবর্তী অংশ উক্ত অনুষ্ঠানে কামনা করি এর মাধ্যমে আমন্ত্রণকারীর মনোগত অভিপ্রায় বা ইচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি এই প্রস্তাব কৃতির মাধ্যমে অতিথিকে আন্তরিকভাবে ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন। সার্গ এই অংশটুকুকে বলেছেন ‘আদেশমূলক নিবেদন কৃতি”। এখানে আমন্ত্রণকারী ‘অনুরোধের’ মাধ্যমে আদেশমূলক নিবেদন কৃতি প্রকাশ করেছেন।

যে কোনো সংজ্ঞাপন লেখক/পাঠক, আমন্ত্রণকারী/আমন্ত্রণগ্রহিতার অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয়। আমন্ত্রণগ্রহিতা যদি আমন্ত্রণকারীর অনুরোধে সাড়া দিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন বা কোনো কারণে উপস্থিত থাকতে না পারলে জানিয়ে নেন তাহলে প্রতিক্রিয়া কৃতি সম্পন্ন হবে (Searle, 1969)। এভাবেই সফল সংজ্ঞাপন সম্পন্ন হয়ে থাকে।

এই দাওয়াতপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যদি আমন্ত্রণকারীর লিখিত আহ্বানে সাড়া নিয়ে আমন্ত্রণগ্রহিতা দাওয়াতে অংশগ্রহণ করেন তাহলে প্রতিক্রিয়া কৃতি সম্পন্ন হবে।

খ. ব্রাউন ও লেভিনসনের বিনম্রতার তত্ত্ব অনুসারে ধর্মীয় নমুনা দাওয়াতপত্রের বিনম্রতা বিশ্লেষণ
আমাদের সংস্কৃতিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে পূজার অনুষ্ঠানটি সুশৃঙ্খলভাবে উদ্‌যাপনের জন্য সাধারণত পূজা উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়। তাঁরা সমগ্র অনুষ্ঠানটি যথাযথভাবে পালনের অংশ হিসেবে আমন্ত্রিত অতিথিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করে দাওয়াতপত্র তৈরি করেন।

আমন্ত্রণকারী হিসেবে এই দাওয়াতপত্রটিতে কিছু সংখ্যক বিনম্রতাসূচক শব্দ বা বাক্যাংশের ব্যবহার করেছেন, যেমন- ‘ওঁ শ্রী শ্রী সরস্বত্যৈ নমঃ’, ‘সুধী’, ‘পুণ্যতিথি’, ‘বাগদেবী’, ‘উপস্থিতি একান্তভাবে কামনা করি”, “নিবেশক’ ইত্যাদি।

বিদ্ৰতাসূচক শব্দ/বাক্যাংশের প্রয়োগ লক্ষ করলে দেখা যায় কয়েকটি বিনম্রতাসূচক শব্দ বা বাক্যাংশ ‘সরস্বতী দেবী’ কে উদ্দেশ্য করে বা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন- সনাতন ধর্মের রীতি অনুসারে যেকোনো পূজা অনুষ্ঠানের পূর্বে সংশ্লিষ্ট দেবীকে নমস্কার জানিয়ে বা তাঁকে সম্মান প্রদর্শন করা। তাই বিশ্লেষিত দাওয়াতপত্রে আমন্ত্রণকারী বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে সম্মান জানিয়ে ‘ও শ্রী শ্রী সরস্বত্যৈ নমঃ’ বিনম্রতাসূচক বাক্যাংশ ব্যবহার করেছেন।

ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমূহ তিথি বা চান্দ্রমাস অনুসারে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যে তিথি বা চান্দ্রমাসে পূজা অনুষ্ঠিত হয় সেই সময় বা তিথিকেও সম্মান জানিয়ে পুণ্য বা পবিত্র বলা হয়েছে। সনাতন ধর্মমতে সরস্বতী বিদ্যা, বুদ্ধি ও জ্ঞানের দেবী। এ কারণে আমন্ত্রণকারী দেবীকে সম্মান / শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘বাগদেবী’ বিনম্রতাসূচক শব্দটি ব্যবহার করেছেন দাওয়াতপত্রে।

এছাড়া আমন্ত্রণকারী আমন্ত্রণপত্রে আমন্ত্রিত অতিথিকে উদ্দেশ্য করে ব্যবহৃত অন্যান্য বিনম্রতাসূচক শব্দ/বাক্যাংশের প্রয়োগ করেছেন, যেমন- আমাদের সামাজিক রীতি অনুসারে বিধিগত পরিবেশে কাউকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করা হয়। আলোচ্য দাওয়াতপত্রটিতে আমন্ত্রণকারী আমন্ত্রণগ্রহিতাকে সম্মান প্রদর্শন করে ‘সুধী’ বিনম্রতাসূচক শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

উপস্থিতি একান্তভাবে কামনা করি’, ‘নিবেদক’ এই বিনম্রতাসূচক বাক্যংাশ বা শব্দও আমন্ত্রণকারী ব্যবহার করেছেন আমন্ত্রিত অতিথির প্রতি বিনম্রতা প্রকাশের জন্য।  ব্রাউন ও লেভিনসনের তত্ত্ব (Brown and Levinson, 1987) অনুসারে বিদ্রতাসূচক শব্দ বা বাক্যাংশসমূহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ও শ্রী শ্রী সরস্বত্যৈ নমঃ’, ‘পুণ্যতিথি’, ‘বাগদেবী’, ‘উপস্থিতি একান্তভাবে কামনা করছি’, ‘নিকে’ নেতিবাচক কিম্রতাসূচক শব্দ/বাক্যাংশ।

কেননা, ও শ্র সরস্বত্যৈ নমঃ’, ‘পুণ্যতিথি’, ‘বাগদেবী’ কিম্রতাসূচক শব্দ বা বাক্যাংশসমূহ দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশে আমন্ত্রণকারী ব্যবহার করেছেন, যেন শুভ কাজে দেবীর আর্শীবাদ সাথে থাকে।

এছাড়া অতিথি আমন্ত্রিত হয়ে যেন সম্মানিত বোধ করেন এ কারণে ‘উপস্থিতি একান্তভাবে কামনা করছি- এই নেতিবাচক বিনম্র বাক্যাংশ আমন্ত্রণকারী ব্যবহার করেছেন এবং সবশেষে ‘নিবেদক’ নেতিবাচক বিনম্রতাসূচক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে আমন্ত্রণকারী ব্রাউন ও লেভিনসনের তত্ত্বমতে (Brown and Levinson, 1987) নিজে অকিঞ্চিৎকর হয়ে আমন্ত্রণগ্রহিতাকে সম্মানিত করেছেন।

ধর্মীয় নমুনা দাওয়াপত্র বিশ্লেষণ

নেতিবাচক বিনম্রতাসূচক শব্দ/বাক্যাংশ ব্যবহারে এখানে দেবীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি আমন্ত্রণকারীর ‘অভিব্যক্তি ভীতিকারী কর্ম” (অভীক) হ্রাস করেছে। কারণ আমন্ত্রণ জানানোর ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারী অপ্রত্যক্ষরূপ ব্যবহার করেছেন অর্থাৎ আমন্ত্রণগ্রহিতাকে তিনি জোর করছেন না।

পক্ষান্তরে, দাওয়াতপত্রে উল্লিখিত ‘সুধী’ শব্দটি ইতিবাচক বিদ্ৰতাসূচক শব্দ (Brown and Levinson, 1987)। আমাদের সমাজে প্রচলিত রীতি অনুসারে বিধিগত পরিবেশে আমন্ত্রিত অতিথিকে সম্মান জানিয়ে ‘সুধী’ সম্বোধন করা হয়। এই ইতিবাচক বিনম্রতাসূচক শব্দটি ব্যবহার করে আমন্ত্রকারী নিজের অভিব্যক্তি (face) বৃদ্ধি করেছেন আমন্ত্রিত অতিথির নিকট।

ব্রাউন ও লেভিনসনের মতে (Brown and Levinson, 1987) পারস্পরিক যোগাযোগে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় ধরনের বিনম্রতাসূচক শব্দ/বাক্যাংশের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।

গ. লিচের বিনম্রতার রীতি অনুসারে ধর্মীয় নমুনা দাওয়াতপত্রের বিনম্রতা বিশ্লেষণ
ধর্মীয় নমুনা দাওয়াতপত্রের ডিসকোর্স বিশ্লেষণ করে ও শ্রী শ্রী সরস্বত্যৈ নমঃ’, ‘সুধী’, ‘পুণ্যতিথি’, ‘বাগদেবী’, ‘উপস্থিতি একান্তভাবে কামনা করি’, ‘নিবেদক ইত্যাদি বিনম্রতাসূচক শব্দ/বাক্যাংশ পাওয়া যায়।
সারণি: ১০ লিচের বিনম্রতার রীতি অনুসারে ধর্মীয় নমুনা পাওয়াতপত্রে ব্যবহৃত বিদ্রতাসূচক শব্দ/বাক্যাংশ

 

ধর্মীয় নমুনা দাওয়াপত্র বিশ্লেষণ

 

ধর্মীয় নমুনা দাওয়াতপত্রে ব্যবহৃত বিনম্রতাসূচক শব্দ/বাক্যাংশসমূহ লিচের বিনম্রতার রীতি (Leech, 1983) অনুসারে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ধর্মীয় রীতি অনুসারে দাওয়াতপত্রের শুরুতেই আমন্ত্রণকারী ‘ওঁ শ্রী শ্রী সরস্বত্যৈ নমঃ’ কিম্রতাসূচক বাক্যাংশটি ব্যবহার করেছেন দেবী সরস্বতীকে উদ্দেশ্য করে।

সনাতন ধর্মের রীতি অনুসারে যেকোনো পূজা আয়োজনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট দেবীকে সম্মান করে নমস্কার জানানো হয়। লিচের বিনম্রতার রীতি অনুসারে ঐ শ্রী শ্রী সরস্বত্যৈ নমঃ’ বাক্যাংশটি দিয়ে দেবীকে সম্মান প্রদর্শন করা হচ্ছে, এ কারণে এটি অনুমোদিত রীতি’। ‘সুধী’ বিশ্রতাসূচক শব্দটি আমন্ত্রণকারী দাওয়াতপত্রে ব্যবহার করেছেন আমন্ত্রণগ্রহিতাকে সম্বোধন করে। ‘

সুধী’ ব্যবহারের মাধ্যমে আমন্ত্রিত অতিথিকে সম্মানিত করা হয়েছে। লিচের কিন্তুতার রীতি অনুসারে ‘সুধী’ ‘অনুমোদিত রীতি। নমুনা দাওয়াতপত্রের পরবর্তী অংশে রয়েছে ‘পুণ্যতিথি’। ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমূহ সাধারণত তিথি বা চান্দ্রমাস অনুসারে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

যে চান্দ্রমাস বা তিথিতে পূজা অনুষ্ঠিত হয়, সেই তিথি বা সময়কে সম্মান জানিয়ে সনাতন ধর্মে পুণ্য বা পবিত্র বলা হয়। ‘পুণ্যতিথি’ শব্দটিও অনুমোদিত রীতির অংশ। সনাতন ধর্মমতে দেবী সরস্বতী বিদ্যা, বুদ্ধি ও জ্ঞানের দেবী। এ কারণে দেবীকে সম্মান প্রদর্শন করে ‘বাগদেবী’ বিনম্রতাসূচক শব্দটি আমন্ত্রণকারী দাওয়াতপত্রে ব্যবহার করেছেন। ‘বাগদেবী” শব্দটিও লিচের রীতি অনুসারে ‘অনুমোদিত রীতি’।

‘উপস্থিতি একান্তভাবে কামনা করছি বাক্যাংশটি আমন্ত্রণকারী, আমন্ত্রিত অতিথির প্রতি বিনম্রতা প্রকাশের জন্য ব্যবহার করেছেন। এ বাক্যাংশের মাধ্যমেও আমন্ত্রণকারী অতিথিকে সম্মানিত করেছেন।

লিচের বিনম্রতার রীতি অনুসারে এটি অনুমোদিত রীতির’ অংশ। ‘নিবেদক’ বিন্যতাসূচক শব্দটি লিচের রীতি অনুসারে ‘মিতচারিতা রীতি। মিতচারিতা রীতি প্রয়োগের মাধ্যমে আমন্ত্রণকারী, আমন্ত্রণগ্রহিতার নিকট নিবেদন করছেন তার বার্তাটি। এখানে আমন্ত্রণকারী নিজেকে তুচ্ছ করে বিনয় প্রকাশ করেছেন আমন্ত্রণগ্রহিতার নিকট।

আরও দেখুন:

 

Leave a Comment