ফল জাতক

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ” ফল জাতক”। যা “জাতক” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।

ফল জাতক

 

ফল জাতক

ফল জাতক

অতীতে বারাণসিযং ব্রহ্মাদত্তে রজ্জং কারেস্তে বোধিসত্তো সেঠিকুলে নিক্তিতা ব্যপপত্তো পঞ্চহি সকটসতেহি বণিং করোস্তো একসিং কালে মহাবত্তনি অটবিং পড়া অটবিমুখে ঠতা সর্ব্বে মনুসে সন্নিপাতেত্বা; “ইমিস অটবিয়া বিসরুদ্ধা নাম হোপ্তি যেব, পু েতুমহেহি অপরিভুতং যং কিঞ্চি পশুং বা ফলং বা মং অপরিপুচ্ছিতা মা খাদিঘা’হি আহ।

তে সাধৃতি সমৃপটিচ্ছিত্বা অটবিং শুভরিংসু। অটবিমুখে চ একসিং গামঘারে কিফলরুখো নাম অমি। তস

খন্ধ-সাখা-পলাস-পুপৃফ-ফলানিসানি অসদিসেনের হোস্তি; ন কেবলং বৎসষ্ঠানতো বা গন্ধরসেহি পি’স-

আম্বপক্কানি ফলানি অম্বল সদিসানি এব, খাদিতানি পন হলাহলবিসং বিষ তং খং যে জীবিতথ্যং

পাপেতি। পুরতো গচ্ছন্তা একছে লোল-পুরিসা ‘অস্বরুখো অযংত সঞঞায় ফলানি খাদিংসু, একছে

সখবাহং পুচ্ছিতা বা খাদিস্সামা’ সি হচ্ছেন পহেড়া অট্ঠহসু। তে সথবাহে আগতে ‘অয্য, ইমানি ফলানি

খোদামাতি পুচ্ছিংসু।

বোধিসত্তো “নায়ং অন্বরুখো” তি “কিম্‌ফলরুখো নাম এস অম্বরুক্‌খো, মা খাদিখা”তি, বারেতা যে খাদিংসু তে পি বমাপেতা চতুমধুরং পাযেতা আরোগে অকাসি।

পুরে পন ইমসিং রুদ্ধমূলে মনুস্য নিবাসং কপেড়া অম্বফলানীতি, ইমানি বিসফলানি খদিতা জীবিতং পাপুণন্তি, পুনদিবসে গামবাসিনো নিমিতা মতমনুসে দিয়া পাদে গণহিতা পটিচ্ছনুঠানে হুভূভেত্বা সকটেহি সম্পিং এর সবং তেসং সফটং পহেড়া গচ্ছস্তি।

তে তং দিবসং পি অরুণ-উদ্‌গমনকালে যেসব ময়হং বলিবদ্ধা ভবিস্সপ্তি, মযহং সফটং, মাহং সফটং, ম ‘ভণ্ডন’ তি বেগেন তং রুদ্ধমূলং গত্বা মনুসে নিরোগে দিয়া কতং তুমহে ইমং রুখং নাযং অস্বরুখো তি জানথাতি পুচ্ছিংসু।

তে ‘মযংন জানাম, সাবাহ জোকো নো জানী তি আহংসু। মনুসা বোধিসত্তং পুচ্ছিংসু, পণ্ডিত কিংতি কড়া ইমস রুখস ন অমরুকৃষ্ণভাবং অজ্ঞাসী তি। সো দ্বীহি কারণেহি অজ্ঞাসিং “তি বত্না ইমং গাথং আহঃ

নাযং বুদ্ধো দুরারোহো নপি গামতা আরকা,

আকারেন জানামি নায়ং সাধুফল দুমোতি।

মহাজনস ধম্মং সোথিগমনংগতো।

 

ফল জাতক

 

শব্দার্থ

সেট্‌ঠিকুলে—শ্ৰেষ্ঠীকুলে; নিত্তিত্বা- জন্মগ্রহ করে; বয়পতো বয়ঃপ্রাপ্ত হয়ে; পঞ্চহি — পাঁচটি দ্বারা; সকট – – সতেহি -শত গাড়ি নিয়ে; বণিজং বাণিজ্য, করোস্তো করতে করতে মহাবন্তনীয় — দুর্গম; অটবিং- – অরণ্য : পত্না – পেয়ে ; অটবিমুখে বনের প্রবেশ পথে;

ঠত্বা দাঁড়িয়ে সব্বে সকল; মনুসসে – – – লোকজনকে; সন্নিপাতেড়া – একত্রিত করে; অটবিয়া – বনে; বিসরুখো – বিষবৃক্ষ; হোস্তি এর – আছে; তুমহেহি – তোমাদের দ্বারা; অপরিভুত্তং – খাওয়া হয় নি; এরূপ; পত্তং- পাত্র; বা – অথবা, পুষ্পষ– পুষ্প; ফলং – ফল; মং – আমাকে; অপরিপুচ্ছিতা জিজ্ঞাসা না করে; খাদিখাতিযাবে; আহ – বললেন।

তে— তারা; সাধুতি- আচ্ছা বলে সম্পটিচ্ছিতা – সম্মতি প্রদান করে; অটবিং – বনের মধ্যে ওতরিংসু- প্রবেশ করল ; একসিং- এক গামদ্বারে গ্রামের নিকট; কিম্‌ফলরুকখো কিষ্ফল নামক বৃক্ষ; অখি— আছে; খন্দ – কাণ্ড; পলাস – পত্র; পুপৃষ্ণ – পুষ্প ফানি – ফলগুলো; সব্বানি – সকল; অসদিসানে ব- আম গাছের ন্যায় হোস্তি – হয়; বগ্নসন্তানতো বর্ণসংস্থানে পশুরসেহি গন্ধে ও রসে;

আম পক্কানি আম ঈষৎ পাকা; অম্বফল সদিসানি – আমের ন্যায়; খাদিতানি খাওয়া মাত্র হলাহলবিসং – হলাহলবিষ; – – বিষ মত; তখনং এর সেই মুহূর্তেই জীবিতং মৃত্যু ; পাপেতি ঘটায়; পুরতো- সম্মুখভাগে; – গচ্ছন্ত – যারা যাচ্ছিল তারা; একচ্চে কয়েকজন;

গোলপুরিসা – লোভী ব্যক্তি; অথং’তি – এই ; সঞঞায় – মনে করে; খাদিংসু খেয়ে ছিল; সম্ববাহং দলপতিকে পুচ্ছিতা জিজ্ঞাসা করে; খাদিসামাতি – খাব; – – হচ্ছেন — হাতে; গহেড়া – নিয়ে অংসু – অপেক্ষা করে রইল; আগতে আসলে; অথ্য – মহাশয়; ইমানি – – এগুলো; থানামাতি- খাব কিনা; পুচ্ছিংসু -জিজ্ঞাসা করেছিল।

নাযং- এ নয়; অম্বরুক্‌খো তি— আমগাছ; জ্ঞাতা – জেনে, মা খানিখাতি – খেও না বলে বারো বারণ করে; যে – যারা; খাদিসুং খেয়েছিল; তেপি – তাদেরকে; ব্যাগেত্বা বমন করে, চতুমধুরং- চার প্রকার মিষ্ট দ্রব্য; পায়েতা পান করিয়ে; আরোগে সুস্থ; অকাসি করেছিলেন। <-

ইমসিং – এই; রুদ্ধমূলে – বৃক্ষমূলে, মনুসা লোকেরা; নিবাসং আশ্রয়, কপেতা – গ্রহণ করে; = অম্বফলানীতি – আম মনে করে; জীবিতযং – মৃত্যু; পাপুণন্তি – লাভ করত; পুনদিবসে – পরদিন; – – নিক্খামিতা — বের হয়ে; যত মনুসে মৃতলোকদেরকে; দিয়া দেখে; পাদে পায়ে, গগৃহিতা – ধরে; – পটিচ্ছনঠানে গোপন স্থানে।

সারাংশ :

বারাণসীরাজ ব্রহ্মদত্তের সময় বোধিসত্ত্ব শ্রেষ্ঠীকুলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি পাঁচশত শকট নিয়ে বাণিজ্য করতেন। একদিন এক বনের প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে সঙ্গীদের বললেন- এখানে বিষবৃক্ষ আছে। তোমরা আমাকে জিজ্ঞেস না করে কোন ফল খেও না। দেখতে ঠিক আমের মত। সঙ্গীদের মধ্যে যারা আগে ছিল তাদের মধ্যে যারা লোভী কিম্পফল খেয়ে ফেলল। অন্যরা মালিককে জিজ্ঞেস করে খাব এই মনে করে হাতে নিয়ে অপেক্ষা করল।

বোধিসত্ত্ব জানতে পারলেন, এটি আম্রবৃক্ষ নয় কিম্পল বৃক্ষ। যারা খেয়েছিল তাদেরকে ঔষধ দিয়ে বমন করাল। সুস্থ হয়ে গেল।

ইতিপুর্বে বণিকেরা যারা যেত তারা কিম্পল নামে বিষফল খেয়ে মারা যেত। পরদিন স্থানীয় গ্রামবাসী এসে তাদের গোপন স্থানে ফেলে দিত। জিনিষপত্র, টাকা-পয়সা, শকট নিয়ে যেত। সেদিনও গ্রামবাসী তাড়াতাড়ি এসে বোধিসত্ত্ব এবং তাঁর সঙ্গীদের জীবিত দেখে আশ্চর্য হয়ে গেল। তারা নিরাশ হয়ে বোধিসত্ত্বকে জিজ্ঞেস করল – আপনি কী করে জানতে পারলেন, এটি আম্রবৃক্ষ নয়, কিম্পফল বৃক্ষ। উত্তরে তিনি বললেন- –

গ্রামের পাশে এত সুন্দর বৃক্ষ। এতে ওঠা কষ্টসাধ্য নয়।তাছাড়া, ফলভারে শাখা নুয়ে পড়েছে। যদি সুমিষ্ট আম্রফল হত তাহলে গ্রামবাসীরা খেয়ে ফেলত।বোধিসত্ত্ব সমবেত লোকজনকে ধর্মোপদেশ দিয়ে যথাস্থানে চলে গেলেন।

উপদেশ

লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।

 

ফল জাতক

 

অনুশীলনী

(ক) নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

উপদেশসহ ফল জাতকটি তোমার নিজের ভাষায় লেখ।

ফল জাতকে প্রদত্ত বোধিসত্ত্বের ভাষণ সংক্ষেপে বিবৃত কর।

(খ) সংক্ষেপে উত্তর দাও :

বোধিসত্ত্বের বাণিজ্যযাত্রার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

বোধিসত্ত্বের সাথে গ্রামবাসীর কথোপকথনের ভাবার্থ লিপিবদ্ধ কর।

(ঘ) সঠিক উত্তরে টিক (/) চিহ্ন দাও :

১। বোধিসত্ত্ব কতশত শকট নিয়ে বাণিজ্য করতেন?

ক. চারশত

খ.পাঁচশত

গ. ছয়শত

ঘ. সাতশত

২।বনের ধারে অবস্থিত বিষবৃক্ষটির নাম কী?

ক. আম্রবৃক্ষ

গ. কাঁঠালবৃক্ষ

খ. জামবৃক্ষ

ঘ. কিম্পলবৃক্ষ

৩। যারা বিষফল খেয়েছিল তাদেরকে বোধিসত্ত্ব কী করলেন?

ক. সৎকার করলেন

খ.নদীতে ভেসে দিলেন

গ. ঔষধ দিয়ে সুস্থ করলেন

ঘ. দাহ করলেন

৪। কিম্পল বিষফল দেখতে কিরূপ?

ক. কিম্পল ফল

খ. রম্ভাফল

গ.আম্রফল

ঘ.জম্বুফল

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment