আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় বাংলা নাটক
বাংলা নাটক
বাংলা নাটক
সংজ্ঞার্থ
সাহিত্যের বিভিন্ন আঙ্গিক বা রূপের (Form) মধ্যে নাটক কবিতার মতোই প্রাচীন। ভারতীয় অলঙ্কারশাস্ত্রে নাটককে কবিতারই একটি রূপ ‘দৃশ্যকাব্য’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। যেখানে কবিতাকে বলা হয়েছে ‘শ্রব্যকাব্য’। নাটকে ঘটনা, চরিত্র, চরিত্রের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, আচার-আচরণ উচ্চারিত সংলাপের মাধ্যমে রূপ লাভ করে। এ-ক্ষেত্রে নাটকের বিষয়বস্তু, পাত্র-পাত্রী এবং দর্শকের যৌথ উপস্থিতিতে এটি হয়ে ওঠে সামবায়িক শিল্প।
অন্যদিকে কবিতা মূলত শ্রুতিনির্ভর। প্রাচীন গ্রীক সাহিত্যতাত্ত্বিক এ্যারিস্টটলের Poetics বা কাব্যতত্ত্ব গ্রন্থে প্রধানত নাটকেরই বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়েছে। সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে মানুষের রুচি ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন নাটকের রূপ-রীতির ক্ষেত্রেও পরিবর্তন অনিবার্য করে তুলেছে। কিন্তু নাটকের মৌলিক উপকরণ- – অভিনেতা-অভিনেত্রী, মঞ্চ এবং দর্শক-শ্রোতা- অভিন্নই রয়ে গেছে। মানুষের জীবন সরলরেখায় শান্ত-স্বচ্ছন্দ ভঙ্গিতে প্রবাহিত হয় না।
এ-ধরনের জীবন থাকলেও তা নাটকীয়তা বর্জিত। মানুষের জীবনের ছন্দ ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে প্রবহমান। দুর্ভোগ, যন্ত্রণা, বিক্ষোভ, অশাস্তি প্রভৃতির আকস্মিক আঘাতে মানুষের জীবনে গতি ও বৈচিত্র্য অনিবার্য হয়ে ওঠে। জীবনের এই গতি ও বৈচিত্র্যকে শিল্পে ধারণ করার প্রয়োজন থেকেই নাটকের উদ্ভব।
মহৎ চেষ্টার নিষ্ফলতা, প্রাণান্তকর পরিশ্রমের ব্যর্থতা, অপ্রত্যাশিত ভাগ্যবিপর্যয়, বিচিত্র ঘটনার চমকপ্রদ সমাপতন, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের বিশ্বাসঘাতকতা, দ্বেষ-ঈর্ষা, কঠিন সংগ্রাম ও তার শোকাবহ পরাজয়, মনের গভীরে বিরুদ্ধ-প্রবৃত্তির সঙ্গে কঠোর সংগ্রাম – এই সব নাটকীয় উপাদান বা নাটকীয়তা রয়ে গেছে মানুষের জীবন ও তার স্বভাবের মধ্যেই। নাট্যকার নাটক রচনার সময় জীবনের উলিখিত উপাদানগুলোই গ্রহণ করে থাকেন।
কিন্তু উপাদানগুলোকে গ্রহণ করলেই যথার্থ নাটক হবে না। নির্দিষ্ট শিল্প-শৃঙ্খলায় কোনো একটি উপাদান বা একাধিক উপাদানের বিন্যাসই সার্থক নাটকের জন্ম দেয়। সাহিত্যের অন্যান্য শাখার মতো নাটকেরও রয়েছে রূপ-রীতিগত নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা। কবিতা, গল্প, উপন্যাস কিংবা প্রবন্ধ পাঠ ও উপভোগের জন্য মানুষের অন্য ব্যক্তি বা সহশক্তির প্রয়োজন হয় না। কিন্তু কেবল পাঠ করে নাটক উপভোগ করা যায় না।
নাটক যথার্থভাবে উপভোগ করতে হলে একটি সামবায়িক বা যৌথ পরিবেশের প্রয়োজন। অভিনেতা-অভিনেত্রী, মঞ্চ এবং দর্শক-শ্রোতা – এসবের দিকে লক্ষ রেখেই নাট্যকার নাটক রচনা করেন। কেবল পাঠ করে নাটকের যে উপভোগ তা আংশিক। উপভোগকে সমগ্র হয়ে উঠতে হলে – নির্দিষ্ট সময়ে ও স্থানে সম্মিলিতভাবে নাটক উপস্থাপন ও দর্শন করতে হয়। এ জন্যেই নাটকের শিল্পীরীতি যথেষ্ট সতর্ক, দৃঢ়বদ্ধ, কঠোর এবং নিয়মতান্ত্রিক।
সময়ের বিবর্তনে নাটকের রূপ-রীতির ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু নিয়মের অনুশাসনের মধ্যে থেকেই রূপরীতির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন নাট্যকাররা। প্রাচীন গ্রীক-রোমান নাটক, এলিজাবেথান যুগের কালজয়ী নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপীয়রের নাটক কিংবা ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর বিচিত্র উপাদানে তৈরি নাটকসমূহ বিশেষণ করলে উপর্যুক্ত মন্তব্যের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যাবে।
নিয়ম ও রূপরীতির অনুশাসনের ফলেই নাটকের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তা হয়ে উঠেছে প্রায়োগিক শিল্পমাধ্যম বা Performing Art ।
নাটকের পট বা ঘটনাংশ
এ্যারিস্টটল তাঁর Poetics গ্রন্থে নাটকের ছয়টি অঙ্গের কথা বলেছেন: ১. পট বা বৃত্ত ২. চরিত্র ৩. রচনারীতি ৪. ভাব, ৫. দৃশ্য এবং ৬. সঙ্গীত। এগুলোর মধ্যে পট বা বৃত্তই প্রধান। মানবজীবনে ঘটে যাওয়া বিচিত্র ঘটনার মধ্য থেকে নাট্যকার নাটকের উপাদান আহরণ করেন। নাটকের ঘটনাংশ বিভিন্ন অঙ্কে বিভক্ত থাকে। বিভিন্ন অঙ্কে নাটকের গতি চরিত্রের ফর্ম বা অ্যাকশন অনুযায়ী গতি পায়।
গ্রীক ট্র্যাজেডিতে এই গতি চরম লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে অগ্রসর হয়। শেক্সপীয়রের নাটকের ঘটনাংশ পঞ্চাঙ্ক বিভাগের মাধ্যমে উপস্থাপিত। প্রত্যেক অঙ্কে ঘটনা এক-একটি বাঁক নেয়। এভাবে ঘটনার গতি উত্থান, চরমোন্নতি ও পতনের মধ্য দিয়ে পরিণামের দিকে ধাবিত হয়।
নাটকের Plot বা বৃত্তের বিন্যাস-কৌশলের উপরই নির্ভর করে নাটকের শিল্পসার্থকতা। নাটকে পট বা বৃত্ত যে বিষয়বস্তুকে ধারণ করবে, এ্যারিস্টটলের মতে, সেখানে আদি, মধ্য, অন্ত – এই তিনটি পর্ব- বিভাজন থাকবে।
চরিত্র
নাটক মানব জীবনের রূপায়ণ। এ-জীবন ক্রিয়াশীল এবং বহুস্তরীভূত। সুতরাং চরিত্রই নাটকের মূল উপাদান। মানবচরিত্রের রূপ ও প্রকৃতি বিচিত্র, যেমন সৎ-অসৎ, সরল-জটিল, আত্মসচেতন, স্বাবলম্বী অথবা পরিস্থিতির কাছে আত্মসমপর্ণকারী ইত্যাদি। মানবজীবন রূপায়ণের প্রয়োজনে যে কোন ধরনের চরিত্র নাট্যকার বেছে নিতে পারেন। নাটকীয় চরিত্রকে চারটি বৈশিষ্ট্যে চিহ্নিত করেছেন এ্যারিস্টটল।
তাঁর মতে নাটকীয় চরিত্র মূলত কতকগুলো নৈতিক আচরণের সমষ্টি বা প্রতিনিধি মাত্র। এ্যারিস্টটলের মতে, এই আচরণের ভিত্তিতেই নাটকের চরিত্র-বৈশিষ্ট্য নিরূপণ করতে হবে।
প্রথমত: মানুষের চরিত্র ভালো (Good Character) হতে পারে। কিন্তু অবিমিশ্র ভালো চরিত্র নাটকে কোনো জটিলতা বা সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে না। নাটকীয় চরিত্র হবে ভালো-মন্দের সংমিশ্রণের ফল। এ্যারিস্টটলের মতে ট্রাজেডির চরিত্র ।
হবে ভালো-মন্দের মাঝামাঝি।
দ্বিতীয়ত: নাটকে চরিত্রের যথাযথ প্রকাশ (Appropiateness) ঘটবে
তৃতীয়ত: চরিত্রকে হতে হবে বাস্তবসম্মত (Real)
চতুর্থত: চরিত্রের সঙ্গতিপূর্ণ আচরণ (Consistent)।
চরিত্রের আচরণে অসামঞ্জস্য থাকলে শিল্পের ক্ষেত্রে তা হবে সঙ্গতিহীন (Consistently Inconsistent)। এ্যারিস্টটলের এই দৃষ্টিভঙ্গি নাটকের চিরকালের বৈশিষ্ট্যকেই যেন নির্দেশ করেছে। সমাজজীবনের পরিবর্তন মানুষের বোধকেও পরিবর্তিত করেছে। ভালো মন্দের ধারণাও পরিবর্তিত হয়েছে। মন্দচরিত্রও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে নাটকে বিধৃত হয়েছে। কিন্তু মনুষ্যত্বের লক্ষণবর্জিত কোনো চরিত্র, যে মানুষের সহানুভূতি আকর্ষণে ব্যর্থ তাকে কখনোই নাটকীয় চরিত্র বলা যাবে না।
পরিবর্তনশীল সমাজ ও জীবন নাটকের চরিত্রের আকৃতি-প্রকৃতির বদলও অনিবার্য করে তুলেছে। ইউরোপের রেনেসাঁস থেকে শুরু করে গণতন্ত্রের আবির্ভাব ও চর্চা নাটকের চরিত্র ও তার স্বভাবকেও পরিবর্তন করেছে। রাজতন্ত্র ও সামন্ততন্ত্রের অন্ধকার যুগ থেকে কেবল নাটক নয়, নাটকের চরিত্রও বের হয়ে এসেছে। ইডিপাসের মতো অসাধারণ চরিত্র হয়তো এখন নেই।
কিন্তু সাধারণ মানবজীবন থেকে আহৃত চরিত্র-পাত্রদের জীবনেও যে জটিল চিন্তা, তীক্ষ জিজ্ঞাসা, দ্বন্দ্ব, অন্তর্যন্ত্রণা, দুঃখবোধ প্রভৃতি বিদ্যমান আধুনিক নাট্যকাররা তাকেই রূপদান করেন নাটকে।
সংলাপ
সাহিত্যের অন্যান্য শাখা থেকে নাটকের পৃথক অবস্থানের কারণ এই সংলাপ। কেবল চরিত্রের কথা নয়, নাট্যকারের রসসৃষ্টি ও আইডিয়ার বাহনও এই সংলাপ। সংলাপের সার্থকতা নির্ভর করে পরিবেশ ও চরিত্রের মনোভাবের সঙ্গতির উপর। চরিত্রের ব্যক্তিত্ব কিংবা ব্যক্তিত্বহীনতা ফুটিয়ে তোলে এই সংলাপ। চরিত্রের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে হলে তার বাকভঙ্গির বিশিষ্টতা থাকতে হবে।
যেমন দীনবন্ধু মিত্রের ‘সধবার একাদশী’ নাটকের নিমচাঁদের সংলাপ। তার মেধা, ব্যক্তিত্ব কিংবা ব্যক্তিত্বশূন্যতার বাহন তার ইংরেজি-প্রভাবিত সংলাপ। সৈয়দ ওয়ালীউলাহ্র ‘বহিপীর’ নাটকের সংলাপ চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ও স্বরূপকেই ফুটিয়ে তোলে। সংলাপের ভাষা-বৈচিত্র্য কেবল চরিত্রের স্বাতন্ত্র্যকে প্রকাশ করে না, নাট্যকারের স্বভাবধর্মকেও প্রকাশ করে।
বাংলা নাটকের ইতিহাস
উপন্যাস ও ছোটগল্পের মতো বাংলা নাটকেরও সূত্রপাত ঊনবিংশ শতাব্দীতে। কিন্তু নাটকের ঐতিহ্য ও সূত্র বাঙালিজীবনে আদিকাল থেকেই ছিলো। যাত্রা, পালাগান, কবিগান এমনকি মঙ্গলকাব্যগুলোর মধ্যেও নাট্যরীতির যথেষ্ট নিদর্শন বিদ্যমান। উনিশ শতকে ইংরেজি সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসার ফলে সচেতনভাবে বাংলা নাটক রচনা ও মঞ্চায়ন শুরু করে।
১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সাধারণ রঙ্গমঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু এর বেশ আগে থেকেই বাংলা ভাষায় নাটক রচনা ও মঞ্চস্থ হতে শুরু করে। ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে রচিত হয় যোগেন্দ্র চন্দ্রগুপ্তের ‘কীর্তিবিলাস’ এবং তারাচরণ সিকদারের ‘ভদ্রার্জুন’। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার নতুন বাজারে রামজয় বসাকের বাড়িতে অভিনীত হয় রামনারায়ণ তর্করত্নের ‘কুলীনকুলসর্বস্ব’।
বাংলা ভাষার প্রথম পর্যায়ের উলেখযোগ্য নাট্যকাররা হলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩), দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০-১৮৭৩) অমৃতলাল বসু (১৮৫৩-১৯২৯), গিরিশচন্দ্র ঘোষ (১৮৪৪-১৯১১), জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৪৯- ১৯২৬) প্রমুখ। মাইকেল মধুসূদনের ‘রত্নাবলী’ নাটক ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে বেলগাছিয়া নাট্যশালায় অভিনীত হয়। তাঁর মঞ্চস্থ নাটকগুলোর মধ্যে ‘শর্মিষ্ঠা’ (১৮৫৮), ‘কৃষ্ণকুমারী’ (১৮৬১), ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ (১৮৫৯) উলেখযোগ্য।
বাংলা নাটকের সমৃদ্ধি ঘটে মীর মশাররফ হোসেন, ক্ষিরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ নাট্যশিল্পীদের হাতে। রবীন্দ্রনাথের পরে বাংলা নাটকের গতি ও ঐশ্বর্য বহুগুণে বৃদ্ধি পায় নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর চেষ্টায়।
শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত (১৮৯২-১৯৬১), শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৯-১৯৭০) এবং বিজন ভট্টাচার্য (১৯১৫-১৯৭৭) পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যদিয়ে বাংলা নাটকে বৈচিত্র্য ও নতুনত্ব আনেন। বিজন ভট্টাচার্যের ‘নবান্ন’ ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় মঞ্চায়িত হওয়ার মধ্যদিয়ে বাংলা নাটক এক নতুন জগতে প্রবেশ করে।
বাংলাদেশের নাটক
অন্যান্য সাহিত্য-আঙ্গিকের মতো বাংলাদেশের নাটকেরও স্বতন্ত্র যাত্রাপথ চিহ্নিত হয় ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। এ-ভূখণ্ডের স্বতন্ত্র জীবনরুচি, দৃষ্টিভঙ্গি ও চেতনা-রূপায়ণে দেশবিভাগ-পূর্বকাল থেকেই যাঁরা নাটক রচনায় মনোনিবেশ করেন, তাঁদের মধ্যে শাহাদাৎ হোসেন (১৮৯৩-১৯৫) ইব্রাহীম খাঁ (১৮৯৪-১৯৭৯), আকবরউদ্দীন (১৮৯৫-১৯৭৮), আবুল ফজল (১৯০৩-১৯৮৩), শওকত ওসমান (১৯১৮-১৯৯৮) প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। এঁদের হাতেই বাংলাদেশের নাটকের স্বতন্ত্র ভিত্তি তৈরি হয়।
বস্তুসংক্ষেপ:
নাটকে ঘটনা, চরিত্র, চরিত্রের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, আচার-আচরণ উচ্চারিত সংলাপের মাধ্যমে রূপ লাভ করে। এক্ষেত্রে বিষয়বস্তু, পাত্র-পাত্রী এবং দর্শকের যৌথ উপস্থিতিতে এটি হয়ে ওঠে সমবায়িক শিল্প। মানুষের জীবন সরলরেখায় শান্ত-স্বচ্ছন্দ ভঙ্গিতে প্রবাহিত হয় না। এ-ধরনের জীবন থাকলেও তা নাটকীয়তা বর্জিত। মানুষের জীবন ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে প্রবহমান।
দুর্ভোগ, যন্ত্রণা, বিক্ষোভ, অশান্তি প্রভৃতির আকস্মিক আঘাতে মানুষের জীবনে গতি ও বৈচিত্র্য অনিবার্য হয়ে ওঠে। জীবনের এই গতি ও বৈচিত্র্যকে শিল্পে ধারণ করার প্রয়োজন থেকেই নাটকের উদ্ভব।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
সংক্ষিপ্ত-উত্তরমূলক প্রশ্ন
১. নাটক কাকে বলে?
২. নাটকের পট বলতে আমরা কি বুঝি?
৩. নাটকের শ্রেণীকরণ করুন।
৪. ট্র্যাজেডি বলতে আমরা কি বুঝি?
আরও দেখুন :