Site icon Language Gurukul [ ভাষা গুরুকুল ] GOLN

বাগার্থিক অন্তরক

বাগার্থিক অন্তরক

আজকে আমাদের আলোচনার  বিষয়-বাগার্থিক অন্তরক

বাগার্থিক অন্তরক

মার্কিন মনোবিজ্ঞানী অসগুড এবং তার সহযোগী সুকি ও টানেনরোম পঞ্চাশের দশকে আনুভূতিক অর্থ পরিমাপ করার জন্য বাগধিক অন্তরক নামে একটি পরীক্ষাকার্য পরিচালনা করেন। তারা তাদের বিষয়ব্যক্তিদের বিভিন্ন শব্দ দেন এবং সেই শব্দগুলোকে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক মেরুযুক্ত স্থাপনরেখায় স্থাপন করতে বলেন ।

মাপনরেখায় ধনাত্মক মেরুতে ছিল সদর্থক গুণ। যেমন ভাল, সুখী, দ্রুত, শক্ত, মিষ্টি ইত্যাদি এবং ঋণাত্মক মেরুতে ছিল নতার গুণ, যেমন মন্দ, দুঃখী, ধীর, নরম, তিক্ত ইত্যাদি ।

 

 

এটি খুব স্বাভাবিক যে চিনি র অবস্থান হবে মিষ্টি তিক্ত রেখার বাম মেরুতে এবং আপেল এর অবস্থান হবে মাঝামাঝি কোথাও এবং ঔষধ র অবস্থান হবে ভান মেরুতে । এভাবে মা এর অবস্থান হতে পারে উল্লিখিত প্রথম রেখার বামে, দ্বিতীয় রেবার বামে, তৃতীয় রোখার মাঝামাঝি, চতুর্থ রেখার ডানে এবং পঞ্চম রেখার বামে ।

বিষয়ব্যক্তি যখন কোন শব্দ মাপন রেখায় স্থাপন করে তখন সে শব্দটির প্রতি তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। এই প্রতিক্রিয়া থেকেই পরিমাপ করা হয় শব্দের আনুভূতিক মূল্য । অসগুড ও অন্যান্য (১৯৫৭) তাদের বিশটি মাপনরেখাকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করেন এবং রেটিং অনুসারে শব্দের আনুভূতিক মূলোর হিসাব করেন। তাদের

তিনটি শ্রেণী ছিল নিম্নরূপ :

মূল্যায়ন (যেমন : সুন্দর – কুৎসিত)

শক্তিমত্তা (যেমন : সাহসী – ভীরু) কার্যকলাপ (যেমন : সক্রিয় – নিষ্ক্রিয়)

মুল্যায়ন, শক্তিমত্তা ও কার্যকলাপকে তারা ফ্যাক্টর বা উৎপাদক হিসাবে গণ্য করেন এবং দেখান যে কোন শব্দেরই আনুভূমিক মূল্য অন্য একটি শব্দের সমান নয়।

 

 

বাগার্থিক অন্তরক এভাবেই পরিসংখ্যানমূলক প্রক্রিয়ায় মানুষের আবেগ ও দৃষ্টিভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করে শব্দের আনুভূতিক অর্থ নির্ণয় করে । একই প্রক্রিয়ায় বাক্যের আনুভূতিক অর্থও পরিমাপ করা সম্ভব। হফম্যান (১৯৯৩ : ৩০২) বলেন, “শব্দ উপদানের আনুভূতিক মূল্যের উপর ভিত্তি করে বাকোর আনুভূতিক মুল অনুমানের জন্য একটি সংশ্রয় নির্মান করা সম্ভব ” কিন্তু এই তত্ত্বের সম্ভাবনার চেয়ে সীমাবদ্ধতাই অধিকাংশ সমালোচকের দৃষ্টি কেড়েছে।

ক্যারল, ভাইনরাইখ প্রমুখ দেখিয়েছেন যে এই তত্ত্ব দ্যোতনার বাইরে জ্ঞানাত্মক বা ধারণাগত অর্থ বিশ্লেষণ করতে পারে না। লুরিয়া (১৯৮২ : ৭৩) বলেন, “ব্যক্তিনিষ্ঠ বিবেচনার উপর প্রভূত নির্ভরশীল বলে এবং অসগুড কর্তৃক বিকশিত বাগধিক অন্তরক শব্দের আনুভূতিক অর্থের সাথে জড়িত বলে এই পদ্ধতির গুরুত্ব সীমাবদ্ধ ।

 

 

“” ক্লার্ক ও ক্লার (১৯৭৭ : ৪৩৩ ) এর সমালোচনা করে বলেন, “যদিও দৃষ্টিভঙ্গি এবং আবেকাগত প্রতিক্রিয়ার পঠনে রাগধিক অন্তরক কাজে লেগেছে, তথাপি শব্দার্থের অনুধাবন, উৎপাদন ও আত্তীকরণ কিভাবে ঘটে তার ব্যাখ্যায় এটির সফলতা নগণ্য ।”e

আরও দেখুন:

 

Exit mobile version