আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় বাতায়ন পাশে গুবাক তরুর সারি
বাতায়ন পাশে গুবাক তরুর সারি
বাতায়ন পাশে গুবাক তরুর সারি
লেখক-পরিচিতি
আবহমান বাংলা কবিতার ধারায় কাজী নজরুল ইসলাম অনন্য কবিব্যক্তিত্ব। একদিকে তিনি রোমান্টিক কাব্যকল্পনায় আবেগময় ও বিরহী, অন্যদিকে সমকালীন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক পটভূমিকা অবলম্বনে কবিতা রচনার ক্ষেত্রে বিদ্রোহী শিল্পী। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমাস্থিত চুরুলিয়া গ্রামে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৪ মে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা কাজী ফকির আহমেদ, মাতা জাবেদা খাতুন।
গ্রামের মক্তবে নিম্ন প্রাইমারি পরীক্ষা পাস করেন ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে। কিশোর বয়সে লেটো নাচ, গান ও যাত্রার দলে যোগদান ও আঞ্চলিক লোকসংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটে। বিদ্যালয় ত্যাগ করে নজরুল বাড়ি থেকে পালিয়ে আসানিেখ্রস্টাব্দের রুটির দোকানে চাকরি নেন। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার কাজীরশিমলা গ্রামের নিকটে অবস্থিত দরিরামপুর বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
পরবর্তীকালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ না হয়ে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের সৈন্যবাহিনীর বাঙালি পল্টনে সৈনিক হিসেবে যোগদান করেন ও হাবিলদার পদে উন্নীত হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে কবি কলকাতায় ফিরে আসেন এবং পূর্ণ উদ্যমে সাহিত্যরচনা, সাংবাদিকতা ও সঙ্গীতচর্চায় মনোনিবেশ করেন। ব্রিটিশ বিরোধী অসহযোগ আন্দোলনের (১৯২০-১৯২২) প্রাক্কালে নজরুল কবিতা, প্রবন্ধ, গান ও সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
‘ধূমকেতু’ পত্রিকার সম্পাদনা কালে তিনি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধের সমর্থনে বিবিধ রচনা প্রকাশ করতে থাকেন। ‘ধূমকেতু’র ২২ সেপ্টেম্বর ১৯২২ সংখ্যায় তাঁর ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা প্রকাশিত হলে গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ হন। পরবর্তীকালে নজরুলের রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞ আরও প্রবলরূপ ধারণ করে। ১৯৪২-এর অক্টোবরে তিনি মস্তিষ্কের ব্যাধিতে আক্রান্ত হন ও তাঁর বাকশক্তি লোপ পায়।
১৯৭২-এর ২৪ মে তৎকালীন সরকার তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন, তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করা হয়। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্ট নজরুল মৃত্যুবরণ করেন। নজরুল তাঁর ‘বিদ্রোহী’ কবিতার জন্য বিখ্যাত হলেও হৃদয়াবেগ ও বেদনার প্রকাশক্ষেত্রেও অনন্য।
রবীন্দ্রপ্রভাব অতিক্রম করে তিনি একটি স্বকীয় কাব্যধারা সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ: অগ্নিবীণা (১৯২২), বিষের বাঁশি (১৯২৪), ভাঙার গান (১৯২৪), সাম্যবাদী (১৯২৫), সর্বহারা (১৯২৬), ফণি-মনসা (১৯২৭), জিঞ্জির (১৯২৮), সন্ধ্যা (১৯২৯) ও প্রলয় শিখা (১৯৩০)। তাঁর কবিতার মূল বিষয় হচ্ছে পৌরুষদৃপ্ত সংগ্রাম, গণচেতনা ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আকাক্ষা, স্বাজাত্যবোধ, মানবতা ও সাম্যবাদ।
কোমল মধুর মানবিক প্রেমের নিদর্শন রয়েছে দোলনচাঁপা (১৯২৩), ছায়ানট (১৯২৪), পুবের হাওয়া (১৯২৫), সিন্ধু-হিন্দোল (১৯২৭) ও চক্রবাক (১৯২৯) কাব্যে। এছাড়াও তিনি রচনা করেন জীবনীমূলক কাব্য চিত্তনামা (১৯২৬) ও মরু-ভাস্কর (১৯৫১-এ প্রকাশিত)। ছোটদের কবিতা-গ্রন্থ ঝিঙেফুল (১৯২৬) ও সাত ভাই চম্পা। গদ্যসাহিত্যের ক্ষেত্রে রচিত উপন্যাস হচ্ছে বাঁধনহারা (১৯২৭), মৃত্যুক্ষুধা (১৯৩০) ও কুহেলিকা (১৯৩১)।
গল্পগ্রন্থ: ব্যথার দান (১৯২২), রিক্তের বেদন (১৯২৫), শিউলিমালা (১৯৩১), নাটক: ঝিলিমিলি (১৯৩০), আলেয়া (১৯৩১) ও মধুমালা (১৯৫৯)। প্রবন্ধপুস্তক: যুগবাণী (১৯২২), রাজবন্দীর জবানবন্দী (১৯২৩), দুর্দিনের যাত্রী (১৯২৬) ও রুদ্রমঙ্গল (১৯২৭)। সঙ্গীতের ক্ষেত্রে রচনা করেন দেশাত্মবোধক গান, কোরাস, প্রেমগীতি, শ্যামাসঙ্গীত, ইসলামি সঙ্গীত্ব, পলীগীতি ও হাসির গান।
ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, ভাঙার গান, প্রলয়-শিখা, যুগবাণী ও চন্দ্রবিন্দু। কবিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক জগত্তারিণী স্বর্ণ-পদক (১৯৪৫), ভারত সরকার কর্তৃক ‘পদ্মভূষণ’ উপাধি (১৯৬০), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি-লিট (১৯৭৪), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি-লিট (১৯৭৪) ও বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত একুশের পদক (১৯৭৬) প্রদান করা হয়।
পাঠ-পরিচিত
‘বাতায়ন-পাশে গুবাক-তরুর সারি’ কবিতাটি ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে অবস্থানকালে রচিত হয়। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ‘কালি-কলম’ পত্রিকায় তৃতীয় বর্ষের সংখ্যায় – – চৈত্র, ১৩৫৫ বঙ্গাব্দে। পরে ‘চক্রবাক’ কাব্যগ্রন্থে ও ‘সঞ্চিতা’ সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়।
কবিজীবনের কয়েকটি স্মরণীয় অধ্যায় এই কবিতাটির জন্মলাভে ক্রিয়াশীল ছিল।
চট্টগ্রামে হাবীবুল্লাহ বাহার ও সামসুন্নাহার-দের বাড়িতে অবস্থানকালে একটি বিশেষ প্রাকৃতিক পরিবেশ কবিকে মুগ্ধ করেছিল। কবি যে ঘরে থাকতেন তার জানালার পাশে পুকুর পাড়ে ছিল নয়টি সুপারি গাছ। গাছগুলির সঙ্গে কবির নীরব সখ্য গড়ে ওঠে। চন্দ্রালোকিত রাত্রি ও পুকুরের জলে প্রতিবিম্বিত সুপারিগাছের পাতার কম্পনদৃশ্য ছিল কবির ভাললাগার উৎস।
এই গাছগুলি ছেড়ে আসার বেদনাই কবিতাটির অবলম্বন-ভাব। আসন্ন বিদায়ের পটে সঞ্চারিত বিষণ্ণতা কবিতায় সুরসম্মোহ সৃষ্টি করেছে। প্রকৃতিপ্রেম ও হৃদয়াবেগের প্রকাশই এর মুখ্য আশ্রয় ।
মূলমাঠ
বিদায়, হে মোর বাতায়ন-পাশে নিশীথ জাগার সাথী!
ওগো বন্ধুরা, পান্ডুর হয়ে এল বিদায়ের রাতি !
আজ হ’তে হ’ল বন্ধ আমার জানালার ঝিলিমিলি,
আজ হ’তে হ’ল বন্ধ মোদের আলাপন নিরিবিলি।…
অন্ত-আকাশ-অলিন্দে তার শীর্ণ কপোল রাখি কাঁদিতেছে চাঁদ,
“মুসাফির জাগো, নিশি আর নাই বাকি”!
নিশীথিনী যায় দূর বন-ছায়, তন্দ্রায় ঢুলুঢুল,
ফিরে ফিরে চায়, দুহাতে জড়ায় আঁধারের এলোচুল। —
চমকিয়া জাগি, ললাটে আমার কাহার নিশাস-লাগে?
কে করে বীজন তপ্ত ললাটে, কে মোর শিয়রে জাগে?
জেগে দেখি, মোর বাতায়ন-পাশে জাগিছ স্বপনচারী
নিশীথ রাতের বন্ধু আমার গুবাক-তরুর সারি!
তোমাদের আর আমার আঁখির পলব-কম্পনে
সারা রাত মোরা কয়েছি যে কথা, বন্ধু, পড়িছে মনে !
– জাগিয়া একাকী জ্বালা ক’রে আঁখি আসিত যখন জল,
তোমাদের পাতা মনে হ’ত যেন সুশীতল করতল আমার প্রিয়ার!
-তোমার শাখার পলবমর্মর মনে হ’ত যেন তারি কণ্ঠের আবেদন সকাতর।
তোমার পাতায় দেখেছি তাহারি আঁখির কাজল-রেখা ;
তোমার দেহেরই মতন দীঘল তাহার দেহের রেখা।
তব ঝিঝির্ মির্ মির্ যেন তারি কুণ্ঠিত বাণী,
তোমার শাখায় ঝুলোনো তারির শাড়ির আঁচল খানি।
তোমার পাখার হাওয়া
তারি অঙ্গুলি-পরশের মত নিবিড় আদর-ছাওয়া !
ভাবিতে ভাবিতে ঢুলিয়া পড়েছি ঘুমের শ্রান্ত কোলে,
ঘুমায়ে স্বপন দেখেছি,
– তোমারি সুনীল ঝালর দোলে তেমনি আমার শিথানের পাশে।
দেখেছি স্বপনে, তুমি গোপনে আসিয়া গিয়াছ আমার তপ্ত ললাট চুমি’।
হয়ত স্বপনে বাড়ায়েছি হাত
– লইতে পরশখানি, বাতায়নে ঠেকি’ ফিরিয়া এসেছে,
লইয়াছি লাজে টানি’।
বন্ধু, এখন রুদ্ধ করিতে হইবে সে বাতায়ন। ডাকে পথ,
হাঁকে যাত্রীরা, “কর বিদায়ের আয়োজন!”
– আজি বিদায়ের আগে আমারে জানাতে তোমারে জানিতে কত কি যে সাধ জাগে !
মর্মের বাণী শুনি তব,
শুধু মুখের ভাষায় কেন জানিতে চায় ও বুকের ভাষারে লোভাতুর মন হেন?
জানি মুখে মুখে হবে না মোদের কোনদিন জানাজানি,
– বুকে বুকে শুধু বাজাইবে বীণা বেদনার বীণাপানি !
হয়ত তোমারে দেখিয়াছি, তুমি যাহা নও তাই ক’রে,
ক্ষতি কি তোমার, যদি গো আমার তাতেই হৃদয় ভরে?
সুন্দর যদি করে গো তোমারে আমার আঁখির জল,
হারা-মোতাজে লয়ে কারো প্রেম রচে যদি তাজ-মল,
– বলো তাহে কার ক্ষতি?
বস্তুসংক্ষেপ
বাতায়ন-পাশে নিশীথ জাগার সঙ্গীকে কবি বিদায় সম্ভাষণ জানাচ্ছেন, বিদায়ের রাত পাণ্ডুর হয়ে আসছে। জানালার ঝিলিমিলি শুধু নয়, বৃক্ষরাজির সঙ্গে নিরিবিলি আলাপও বন্ধ হয়ে এল। হৃদয়ের সঙ্গে যোগবন্ধন ছিন্ন হচ্ছে বলে আসন্ন বিদায়ের রাত বেদনা ও বিরহে আচ্ছন্ন। নিশীথ রাতের বিদায়ে যেমন তন্দ্রাচ্ছন্নতা, আকুলতা, তেমনি আকাশে অস্তগামী চাঁদের কান্না মুসাফিরকে জাগ্রত হওয়ার জন্য ক্রন্দন করছে। এই মুসাফির হচ্ছেন কবি নিজে।
চট্টগ্রাম বাসকালে এ- কবিতা রচিত বলে ঐ-সময়কার কোন গোপনচারিণী নারীর প্রতিচ্ছায়া এখানে আভাসিত। শুধু গুবাকতরুর স্পর্শ নয়, কবিকে সেবা করেছিল কোন মানবীর হস্তস্পর্শও। কবি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে গুবাক তরুর সঙ্গে তার মধুর মুহূর্তগুলোর কথা বলছেন। গুবাক-তরু ভাষাহীন, উভয়ের কথা বিনিময় হত চোখের ভাষায়। নিঃসঙ্গ রাত জাগার উত্তপ্ত চোখকে ঐ তরুর পাতা শীতল স্পর্শ দিয়ে স্নিদ্ধ করে দিত।
তার পত্রমর্মরে ধ্বনিত হত কবিপ্রিয়ার কন্ঠবাণী। তার পত্রগুচ্ছে দেখা যেত প্রিয়ার চোখের কাজলরেখা, গুবাক বৃক্ষদেহের মতই দীঘল ঐ নারীর দেহ। নম্র, নত গুবাক-তরুর মধ্যে রয়েছে দীঘল আকৃতি হলেও প্রেমিকার কুষ্ঠামিশ্র কথা, তার শাড়ির আঁচল ও অঙ্গুলিস্পর্শ।
শ্রান্ত কবি যখন নিদ্রামগ্ন হতেন, তখনও গুবাকের পত্রঝালের তার শিয়রে দুলত, স্বপ্নের মধ্যে পেতেন তার চুম্বনস্পর্শ। কিন্তু জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে স্পর্শ করতে গিয়ে কবি ব্যর্থ হয়েছেন।
এখন সেই বাতায়ন বন্ধ করার সময় এসেছে। কবির পথে বের হবার লগ্ন উপস্থিত, কেননা তিনি মুসাফির মাত্র। এই বিদায়ের আয়োজনে বৃক্ষগুলো তাদের অকথিত বাণী উচ্চারণ করতে চাইছে, সে বাণী উভয়ের অন্তরেই শুধু অনুভব করা যাবে। কবি গুবাকবৃক্ষকে যে-রূপে দেখেছেন তা কেবল তারই আরোপিত রূপ, কবির হৃদয়ই এদেরকে মহিমা ও প্রেমের গভীরতায় মূল্যবই মনে করেছে।
তাই দূরে চলে গিয়েও তিনি সেই হৃদয়-কল্পনা দিয়েই তাদের তাজমহলের মত অমরত্ব দেবেন – যেমন দিয়েছেন কবিতার জগতে। এতদিন এই বৃক্ষে কোন পাখি বাসা বাঁধেনি, এর পত্রকুঞ্জে কোকিল ডাকেনি, অন্য কেউ বাতায়ন খুলে রাত জাগেনি। কবিই প্রথম এদের সঙ্গে রাত্রি কাটিয়েছেন, পত্রপলবে প্রণয়লিপি রচনা করেছেন। এই নীরব প্রণয় হৃদয়ে নিয়ে কবি হয়ে যাবেন গন্ধধূপের মত নিঃশব্দে প্রজ্বলন্ত।
তবু একটি গোপন প্রত্যাশা জাগে, কবির প্রশ্ন কখনও তার প্রিয়া কি কবিকে জানালা খুলে দেখেছে? এখানে অদেখা প্রিয়ার অস্তিত্ব গুবাকতরুর সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে। বৃক্ষপাতায় চাঁদের আলো যখন ঘুমে মূর্ছিত হবে, সেই সুখাবেশের সময় তাদের কি মনে পড়বে কবির কথা। অথবা প্রেমিকার সুখোৎসবের মুহূর্তে কবির কথা স্মরণে এনে সে কি উদাস হবে? সারা দিন ধ্যানমগ্ন হয়ে থাকবে গুবাক বৃক্ষের মত?
মাটিতে বন্দি গুবাকবৃক্ষ, রোদহিমে অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। এজন্য তার যদি দুঃখবোধ না থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে কবি নিজের দুঃখকে যুক্ত করতে চান না। ব্যথিতের সঙ্গী হতে পারে কেবল দুঃখীজন। তবুও ভুল করে কবির কথা মনে এলে যেন সঙ্গে সঙ্গে তা বিস্মৃত হয়ে যায়। অন্যমনস্কভাবে জানালা খুলে ফেললেও তা যেন আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানালার ফাঁক দিয়ে আকাশ-অন্ধকারে কবিকে না খোঁজার কথা বলছেন, কেননা একদিন মাটির ঘরে অর্থাৎ বাস্তবেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
সংক্ষিপ্ত-উত্তরমূলক প্রশ্ন
১. ‘মুসাফির জাগো, নিশি আর নাই বাকি।— এই মুসাফির কে?
২. গুবাক-তরুর সঙ্গে কবিপ্রিয়ার সাদৃশ্য কি কি?
৩. কবি কাকে নিয়ে অমরাবতী-রূপে সাজাতে চান?
৪. ‘মাটির বন্ধনে বাঁধা’ গুবাক-তরু কেন অসহায়?
আরও দেখুন :