আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ” বানরিন্দ জাতক “। যা “জাতক” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
বানরিন্দ জাতক
বানরিন্দ জাতক
অতীতে বারাণসিযং ব্রহ্মদত্তে রজজং কারেন্তে বোধিসত্তো কপিয়োনিয়ং নিস্তিত্বা বুদ্ধিধং অনায় অসপোতপমানো ধামসম্পন্নো একচরো হুতা নদীতীরে বিরতি। তস্স পন নদীয়া বেমজুৱে একো দীপকো নানপপকারেহি অম্ৰপণসাদীহি ফলরুখেহি সম্পন্নো।
বোধিসত্তো নাগবলো থামসমানো নদিয়া ওরিমতীরতো উপপতিতা দীপকস গুরতো নদী মজুঝে একোপিঠি পাসাণো অথি তস্মিং নিপততি, ততো উপপতিতা তস্মিং দীপকে পততি। তথ নানপ্পকারেহি ফলানি খাদিত্বাসমূহ তেনের উপাযেন পচ্চাপড়া অগুনো বসনঠানে বসিত্বা পুনদিবসে পি তথেব করোতি। ইমিনা নিয়ামেন তথ বাস কপেতি।
তসিং পনকালে একো কুম্ভীলো সপজাপতিকো ভসা নদিয়া বসতি। তস সা ভরিয়া বোধিসত্তং অপর পারং গচ্ছন্তং দিয়া বোধিসত্তসস হৃদযমংসে দোহলং উপপাদেতা কুম্ভীলং আহঃ মযং খো, অথ্য ইসস বানরিন্দস হৃদযমংসে দোহলে উপপন্নোতি। কৃষ্ণীলো “সাধু, ভদ্দে লচ্ছাসী” তি বতা অজ্জ তং সায়ং দীপকতো আগচ্ছন্তং এবং গহিস সামিতি গনতা পিট্ঠিপাসাণে নিপচ্ছি।
বোধিসত্তো দিবসং চরিতা সাযগৃহসময়ে দীপকে ঠিতোর পাসাগং ওলোকেরা ‘অযং পাসাগো ইদানি উচ্চতরো ঘাষতিং কিন্তু কারণন”তি চিন্তেসি। তস কির উদকপ্পমানঞ্চ পাসা পামানঞ্চ সুরা পিতমের। তেন অস এতদ অহোসি “অজ্জ ইমিসসা নদিয়া উদকংনের হাতি নচ বড়চতি, অথচপনাং পাসাণো মহাত্বা পঞঞাযতি, কচ্চি নু খো এথ ময্হং পহথায় কুষ্টলো নিপন্নোতি।
সো বিমংসি সামি তার ননাতি তথে ঠতা পাসাগেন সম্বিং কখেতো বিয ‘ডো পাসাপাতি বড়া পটিবচনং অলভস্তো যাবততিয়ং ‘পাসাণা”তি আহ। পুনপ্পুনং বানরো ‘কিং, ভো পাসান অগ্রজ মযহং পটিবচনং ন দেসী তি আহ। কুম্ভীলো “অস্থা অঞ্চঞে দিবসেসু অযং পাসাগো বানরিন্সস পটিবচনং অদাসি, দসামি ইদানিস পটিবচনংতি চিন্তেড়া ‘কিং বানরিন্দা’তি আহ। ‘কো’ সি ত্বং’ তি। ‘অহং কুলো’ তি। বিমম্বং এর নিপন্নোসী”তি বুঝে ‘তব হদয মংসং পথযমানো’তি।
বোধিসত্তো চিত্তেসি “অঞো যে গমনমগুগো ন অন্ধ মযা, এস কুষ্ঠীলো বঞ্চেতববো “তি। অথনং এবং আহ : “সম্ম কুম্ভীল, অহং অন্তানং তুয্হং পরিচচ্ছিসামি, তুং মুখং বিবরিতা মং তব সন্তিকং আগতকালে গগৃহাহী তি। কৃষ্ণীলানং হি মুখৰিবটে অক্ষীনি মিথিলপ্তি। সো তং কারণং অসলতো মুখং বিবরি অর্থ অস্র অক্ষীনি পিথিথিংসু। সো মুখং বিবরিতা অকৃত্থীনি নির্মীলেত্বা নিপচ্ছি। বোধিসত্তো তথাভাবং জ্ঞতা দীপকা উপপত্তিতো বিষ্ণুলতা বিষ বিচ্ছুতমানা পরতীরে অঠাসি।
কালো তং অচ্ছরিযং “ইমিনা বানরিন্দেন অভিচ্ছেরকং কত”তি চিন্তেড়া “ভো বানরিন্দ, ইমসিং লোকে চতুহি ধম্মেহি সমন্নাগতো পুগ্গলো পচ্চামিত্তে অভিভবতি, তে সর্ব্বেপি তমহং অভস্তরে অর্থি মঞজ্ঞে” তি ইমং গাথং আহঃ
যস এতে চতুরো ধম্মা বানরিন্দ, যথা তব, সচ্চং, ধৰ্ম্মো, দিতি, চাগো নিঠং সো অতিবর্তীতি।
এবং কুম্ভীলো বোধিসত্ত্বং পসংসিত্বা অন্তনো বসনঠানং গতো।
শব্দার্থ— ১
অতীতে – পুরাকালে; রজং কারেত্তে – রাজত্বকালে; কপি যোনিযং – বানর গর্ভে; নিৰ্ব্বক্তিতা – জন্মগ্রহণ করে;
বুদ্ধিং অন্বায় – বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে অসূসপোতপূপমানো – অশ্ব শাবক সদৃশ; থামসম্পন্নো – শক্তিসম্পন্ন;
1 – হয়ে; বিহরতি – বাস করত; বেমজঝো – মধ্যে; নানপ্পকারেহি – নানা প্রকারের; অপণসাদীহি –
হুড়া-–আম, কাঁঠাল ইত্যাদি দ্বারা; নাগবলো থামসম্পন্নো হস্তীর ন্যায় বলশালী; ওরিমতীরতো – এই তীর হতে;
—গুরতো – অপর তাঁর; নিপততি – পতিত হত; উপতিতা – লাফ দিয়ে সায়ং সন্ধ্যার সময় ভেনের
উপাযেন – সেই উপায়েই; পঞ্চাগত্বা – প্রত্যাবর্তন করে; অশুনো বসনঠানে নিজ বাসস্থানে; পুনদিবসে– পর দিন; তথেব – সেরূপ; ইমিনা নিযামেন এরূপে; বাসং কপেসি – বাস করত।
শব্দার্থ – ২
তস্মিং পনকালে সেই সময়ে কুট্টীলো— কুম্ভীর; সপজাপতিকো – ভার্যাসহ; অপরপারং অপরপারে; হৃদযমংসে – হৃদয়মাংসে দোহলং – ষাদ; উপাদেতা উৎপন্ন করে; সাধু – আচ্ছা লচ্ছসি পাবে; বড়া – – বলে; অচ্ছ – অদ্য, গহিস্সামি ধরব নিপঞ্জি – শুয়ে রইল। –
শব্দার্থ – ৩
দিবসং— সমস্ত দিন; ঠিতো দণ্ডায়মান গুলোকেড়া – অবলোকন করে; উচ্চতরে – উচ্চতর, খাষতি – দেখাচ্ছে; কির – কথিত হয়; উদকপ্পমানং – জলের পরিমাণ; সুদ্ধপিতমের – ভালরূপে জাত; তেনা অসূস এতদ অহোসি – সে এরূপ চিন্তা করতে লাগল; হাতি – হ্রাসপ্রাপ্ত হয়; বড়তি – বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়; গহণথায় — ধরবার জন্য; বিশ্বংসি সামি – পরীক্ষা করব; পটিবচনং – প্রত্যুত্তর; অলভস্তো – না পেয়ে; যাব – ততিয়ং তিনবার পর্যন্ত, আহ – বলল; অন্য – নিশ্চয়; মযহং আমার; অদাসি দিয়েছিল; কোসি তুং – তুমি কে; কিমথং কী জন্য; এখ এখানে; পন্থাযমানো — অভিলাষ করে। – –
শব্দার্থ – ৪
চিন্তেসি – চিন্তা করল; অ – অন্য; মে – আমার গমনমগুগো যাবার পথ; মং অজ্ঞে পথং যানে নথি – আমার যাবার অন্য পথ নেই; বঞ্চেত প্রবঞ্চিত হবে; অর্থ – অতঃপর, তৎপর; নং – তাকে; এবং – – এরূপ; সম্ম— বন্ধু; অত্তানৎ- নিজকে পরিচাচ্ছিসামি – আত্মোৎসর্গ করবে; তুয্হং – তোমাকে; বিবরিতা – – উম্মীলন করে; সস্তিকং – নিকট; আগতকালে – আসলে; মুখবিবটে মুখ ব্যাদান করলে; অর্থীনি চক্ষুদ্বয়, নির্মিলন্তি – বন্ধ হয়; ভয়াভাবং এটা জেনে; বিষ্ণুলতা – বিদ্যুৎ।
শব্দার্থ-৫
অচ্ছরিযং – আশ্চর্যজনক বিষয়; ইমমিং লোকে – এই পৃথিবীতে; চতূহি ধৰ্ম্মেহি সমন্নাগতো – চারটি গুণ সমন্বিত; পুগগলো – লোক; পচ্চামিত্তে শত্রু সকলকে; মঞ্চে আমার বোধ হয়; তুয্হং অভন্তরে – – তোমাতে; গাথং – গাথা; চতুরো চার; যথা তব তোমার মত; সচ্চং – সত্য; ধম্মো – ধর্ম; ধিতি – ধৃতি; – চাগো – ত্যাগ; পিঠং – দৃষ্ট হয়; অতিবস্তুতি – পরাজিত করে, পসংসিতা প্রশংসা করে। – –
টীকা
বোধিসত্ত্ব
বোধি ও সত্ত্ব – এ দুটি শব্দ নিয়ে বোধিসত্ত্ব পদটি গঠিত হয়েছে। ‘বোধি’ শব্দের অর্থ জ্ঞান এবং ‘সত্ত্ব’ বলতে জীব বোঝায়। সুতরাং, বোধিসত্ত্ব বলতে এমন একটি জীব বা প্রাণীকে বোঝায় যাঁর মধ্যে বোধি বা জ্ঞানের বীজ অংকুরিত হয়েছে। তিনি সকল জীবের হিত ও সুখ বিধানের জন্য নিজের স্বার্থত্যাগ করেন। পরের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেন। সুমেধ তাপস থেকে তুষিত স্বর্গে অবস্থান পর্যন্ত বুদ্ধের পূর্বজন্মের জীবন পর্যায়কে বোধিসত্ত্ব বলা হয়।
সারাংশ
বোধিসত্ত্ব এক সময় বানরকুলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বনভূমিতে বিচরণকালে বানরদের নেতৃত্ব দিতেন। বনের ধারে নদীর মধ্যবর্তী স্থানে একটি দ্বীপ ছিল। বোধিসত্ত্ব নদীর মাঝখানে একটি পাষাণ খণ্ডে লাফ দিয়ে দ্বীপে যেতেন। সারাদিন ফল-মূল খেয়ে সন্ধ্যার সময় ফিরে আসতেন।
সে নদীতে এক কুষ্ণীর বাস করত। বোধি সত্ত্বকে দ্বীপে যেতে দেখে তার হৃদপিণ্ড খাবার জন্য কুম্ভীরের সর্ত্রীর সাধ হল। কুম্ভীর স্ত্রীর ইচ্ছা পূরণ করতে সম্মত হল। সে বানরকে ধরবার জন্য পাথরের ওপর শুয়ে রইল। বোধি সত্ত্ব সারাদিন দ্বীপে বিচরণ করে সন্ধ্যায় ফিরে যাচ্ছিলেন। বানররাজ দ্বীপে দাঁড়িয়ে পাথরের দিকে লক্ষ করে, পাথরটি উঁচু মন হল। তাঁর কাছে পাথরের প্রমাণ জানা ছিল। কুম্ভীর পাথরে শুয়ে আছে কিনা পরীক্ষা করতে চাইলেন।
বোধি সত্ত্ব পাথরের সাথে কথা বলার ভাগ করে বললেন- হে পাষাণ। পুনরায় ডাকলেন- পাষাণ কথা বলছ না কেন? কুম্ভীর ভাবল, প্রত্যেকদিন পাষাণ নিশ্চয় বানররাজের কথার উত্তর দিত। তখন কৃষ্ণার উত্তরে বলল- কী বানররাজ। সে কি জন্য শুয়ে আছে বোধি সত্ত্ব জিজ্ঞেস করলেন। কুম্ভীর হৃদপিণ্ড খাওয়ার বাসনা ব্যক্ত করল।
বোধি সত্ত্বের কথামত কুম্ভীর পাথরের ওপর শুয়ে রইল। বানররাজকে তার মুখে পতিত হলে সাথে সাথে খেয়ে ফেলবে। কুম্ভীর শুয়ে থাকলে চোখ বুজে যায়। সে বানররাজকে আসতে বললে তিনি বিদ্যুগতিতে লাফ দিয়ে নদীর অপর তীরে চলে গেলেন। এ জগতে যার সত্য, ধর্ম ও ত্যাগগুণ আছে সে নিশ্চয় শত্রুকে পরাভূত করতে পারবে। এরূপে বোধি সত্ত্ব উপদেশ দিলেন। কুম্ভীরও সস্থানে ফিরে পেল।
উপদেশঃ
বুদ্ধি যার বল তার।
অনুশীলনী
(ক) নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১। বানরিদ জাতকের কাহিনিটি সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ কর।
২। বানরিন্দ জাতক অবলম্বচনে বোধি সত্ত্বের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দাও।
৩। বোধি সত্ত্ব বলতে কী বোঝা? সংক্ষেপে বুঝিয়ে বল।
(খ) সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১। বোধি সত্ত্বকে কৃষ্ণার খেতে চাইল কেন? ফল কী হয়েছিল?
বানররাজ কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করত?
৩। বোধি সত্ত্ব কে ছিলেন? সংক্ষেপে লেখ।
(গ) বাংলা অনুবাদ করা :
যস এতে চতুরো ধম্মা বানরিন্দ যদা তব, সচ্চং, ধম্মো, ভিত্তি, চাপো নিটরিং সো অভিবতীতি।
(ঘ) সঠিক উত্তরে টিক (√) চিহ্ন দাও
১। খাঁর ভেতর জ্ঞানের বীজ অংকুরিত হয়েছে তাকে কী বলা হয়?
ক. বুদ্ধ
খ. বোধি সত্ত্ব
গ. অন্ধ
ঘ.শ্রাবক
২। ‘পাপা’ শব্দের অর্থ কী?
ক. পেছনে গমন করে
খ. পূর্বে ধাবিত হয়ে
গ. প্রত্যাবর্তন করে
ঘ. নির্যাতন করে
৩। ‘বিমং সিসামি’ বলতে কী বুঝায়?
ক. পরীক্ষা করি
খ. পরীক্ষা করব
গ. পরীক্ষা করেছি
ঘ. পরীক্ষা করতে চাই
৪।বানররাজ কোথায় লাফ দিয়ে দ্বীপে যেতা
ক. পাষাণ খণ্ডে
খ. হাতির পিঠে
গ. হরিণের পিঠে
ঘ. গাছের শাখায়
৫। বানরাজের গণিত খাওয়ার সাথ কার হয়েছিল।
ক. বানরের স্ত্রীর
খ. হরিণের সরীর
গ. কৃষ্ণীরের সরীর
ঘ. বণিকের সরীর
আরও দেখুনঃ