বাল দুজ্জন কণ্ড

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ” বাল দুজ্জন কণ্ড “। যা ” লোকনীতি” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।

বাল দুজ্জন কণ্ড

 

বাল দুজ্জন কণ্ড

 

বাল-দুজ্জন খণ্ড.

১।অতিপিযো ন কাতব্বো খলো কৌতূহলং করো,

সিরসা বহমানোপি অপুরো ঘটো যথা । 

সম্পো দুঠো, খল দুঠো, সপ্তা দুর্ঠতরো খলো,

২।মন্তোসধেহি সো সম্পো, খলো কেনুপসম্মতি।

৩। যো বালো মঞঞতি বালাং পন্ডিতো বাপি তেন সো, 

বালো’ব পণ্ডিতমানী সবে বালো’তি বুচ্চতি।

8। মধুব মঞঞতি বালো যাব পাপং ন পচ্চতি, 

যদা চ পচ্চতি পাপং অথ দুখং নিগচ্ছতি।

৫।ন সাধু বলবা বালো সাহসা বিধতে ধনং,

কাযস ভেদা দুস্পঞো নিরযং সো পপজ্জতি।

৬। ঘরে দুঠো চ মুসিকো, বনে দুঠো চ বানরো, 

সকুণে চ দুঠো কাকো, নরে দুঠো চ ব্রাহ্মণো।

৭। দীঘা জাগরতো রত্তি, দীঘং সন্তস যোজনং, 

দীয়ো বালানং সংসারো সপ্তমং অবিজানতং ।

৮। তিলমত্তং পরেসং’ব অপদোসঞ্চ পস্সতি, 

নালিকেরম্পি স দোসং খলজাতো ন পস্সতি।

৯।ন’ও দোসং পরে জঞঞা, জঞঞা দোসং পরসতু, 

গুযেহ কুম্মো’ব অঙ্গানি, পরদোসঞ্চ লক্‌খযে। 

পণ্ডিতস পসংসায় দণ্ডো বালেন দীঘাতে, 

পণ্ডিতো পণ্ডিতেন বগ্নিতো’ব সুবপ্নিতো।

১০।লুম্বং অথেন গগৃহেয্য, থং অঞ্জলিকম্মুনা, 

ছন্দানুবত্তিয়া মূল্‌হং যথাভূতেন পণ্ডিতং ।

 

বাল দুজ্জন কণ্ড

 

শব্দার্থ

গাথা ১-৬

ন কাতৰ বাববে না; কৌতূহলং – কৌতূহল; সিরসা মস্তক, শির; ব্যহমানো বহন করলে; সম্পো – সম; দুঠ – দুষ্ট; খলো – – – খল লোক; মন্তোসধেহি মন্ত্র ও ঔষধ দ্বারা; কেনুপসম্মতি – কিছুতেই – – – – উপশম হয় না; বালো – মূর্খ; মঞঞতি মনে হয়, অবগত থাকে; বুচ্চতি – কথিত হয়; যাব – যে – পর্যন্ত; ন পচ্চতি – প্রদান করে না; বলবা বলবান, নিগচ্ছতি নিয়ে যায়। –

মূসিকো মুষিক, ইঁদুর; বিধতে হরণ করে; কার্যস ভেদা – পাখির; সোপপদ্ধতি (সো + উপজ্জতি ) – সে উৎপন্ন হয়। – – দেহান্তে; দুষ্পঞো – অজ্ঞানী; সকুণে

গাথা ৭-১১

জাগরতো জাগ্রতের; সন্তুস শ্রান্তের; অবিজানতং – অজ্ঞাত; তিলমত্তং তিল প্রমাণ; পরেসং – অপরের অস্পদোসঞ্চ অল্প দোষও; পসতি – দেখে; নালিকেরম্পি – – – নারিকেলের চেয়েও; দোসং খলজাতো খল ব্যক্তির দোষ; জাএর এরা জানতে দেওয়া; কুম্মো’ব – কচ্ছপ যেমন; গুহে – গোপন – – রাখে; লক্ষয়ে সচেষ্ট থাকে; বপ্নিতো’ব – বর্ণিত হলে; লুম্বং লোভী; ছন্দানুবত্তিয়া মতের সামঞ্জস্য; – – যথাভূতেন – যথাযথ। 

সারাংশ

১। অর্ধপূর্ণ কলসী মাথায় বহন করলেও শব্দ করে। তেমনি কৌতূহল বশেও খল লোককেও প্রিয় ভাববে না। 

২। সৰ্প ও খল লোক দু-ই দুষ্ট। সর্পের চেয়ে খল লোক আরও দুষ্ট। মন্ত্রৌষধি দ্বারা সর্প বশীভূত হয়। কিন্তু খল লোক কিছুতেই উপশান্ত হয় না।

৩। যে মূর্খ নিজের মূর্খতা বুঝতে পারে, সে সেই পরিমাণেই পণ্ডিত। কিন্তু মূর্খ পণ্ডিত অভিমানী হলে সে অমূর্খ নামে কথিত হয়।

৪। যে পর্যন্ত পাপের ফল প্রদান করে না, সে পর্যন্ত মূর্খ পাপকে মধুর মনে করে। যখন পাপের ফল দিতে থাকে তখন মূর্খ দুঃখে পীড়িত হয়।

৫। অজ্ঞানী বলবান হওয়া মঙ্গলজনক নয়। কারণ, সে দুঃসাহসিক কাজ করে, অপরের ধন হরণ করে। অজ্ঞানী মৃত্যুর পর নরকে যায়।

৬। ঘরের মধ্যে ইঁদুর, বনের মধ্যে বানর, পাখির মধ্যে কাক এবং মানুষের মধ্যে অধার্মিক ব্রাহ্মণ-এ চারটি দুষ্টের সেরা।

৭। জাগ্রত ব্যক্তির রাত দীর্ঘ হয়। শ্রান্ত পথ দীর্ঘ মনে করে। তদ্রূপ সম্পর্মে অজ্ঞাতে মূর্খের সংসারও দীর্ঘ হয়।

 

বাল দুজ্জন কণ্ড

 

৮। খল লোক পরের তিল প্রমাণ দোষকে বড় মনে করে। কিন্তু নিজের নারিকেল প্রমাণ দোষকে সামান্য বলে জানে।

৯। কেউ নিজের দোষ পরকে জানতে দেয় না। কিন্তু পরের দোষ জানতে উৎসাহিত হয়। কচ্ছপ নিজের তালে ‘পা-মাথা’ লুকানোর মত খল লোক নিজের দোষ ঢেকে রাখতে চেষ্টা করে ।

১০। অজ্ঞানী প্রশংসা করলে তা পণ্ডিতের দস্তস্বরূপ হয়। পণ্ডিত প্রশংসা করলে তা সুবর্ণিত হয়।

১১। লোভীকে ধন দানে বাধ্য করবে। অভিমানীকে বন্দনায় উৎসাহিত করবে। মতের সামঞ্জস্য করতে মূর্খকে বাধ্য করবে। যথাযথ বাক্য দ্বারা পণ্ডিতকে বশীভূত করবে।

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment