Site icon Language Gurukul [ ভাষা গুরুকুল ] GOLN

বিভক্তি ভেদ

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় “বিভক্তি ভেদ “। যা “ব্যাকরণ” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।

বিভক্তি ভেদ

 

 

বিভক্তি ভেদ

যার দ্বারা কারক নির্ণয় করা যায় তাকে বিভক্তি বলে। বিভক্তির দ্বারা কারকের পার্থক্য নির্ণয় করা যায়। কিন্তু কারক ও বিভক্তি এক নয়। একই বিভক্তি বিভিন্ন কারকে নির্ণয় করা যায়। তার ফলে কারকের পরিবর্তন হয় না। বিভক্তি সাত প্রকার। যথা-

১। পঠমা (প্রথম); ২। দুতিয়া (দ্বিতীয়া); ৩। ততিয়া (তৃতীয়া); ৪। চতুর্থী (চতুর্থী); ৫। পঞ্চমী (পঞ্চমী);

৬। ছঠী (ষষ্ঠী); ৭। সমী (সপ্তমী)।

পঠমা বিভক্তি

১। লিংগার্থে পঠমা – লিংগার্থে শব্দের উত্তর প্রথমা বিভক্তি হয়। অর্থাৎ, যে স্থলে অভিধেয় মাত্র বোঝায় তার জন্য শব্দ প্রয়োগ করা হয়, সে স্থলে প্রথমা বিভক্তি হয়। যথা : – বুদ্ধো, ফলং।

২। কস্তুরি চ — কর্তৃকারকে পঠমা বিভক্তি হয়। যথা : – চন্দো আভাতি। – চন্দ্র কিরণ দান করে। – হংস সম্ভরপ্তি। – – হংসগুলো সাঁতার কাটছে।

৩। করণ-কম্মে কর্ম বাচ্যে পঠমা বিভক্তি হয়। যথা ঃ মহামোগুগলানেন দসসিতো ইদ্ধি – মহামৌদগল্যায়ন কর্তৃক প্রদর্শিত ঋদ্ধি। মযা ইমং কৰ্ম্মং কতং। – এই কাজ আমার দ্বারা কৃত হয়েছে। –

৪। মামাদি যোগে – নাম প্রভৃতি অব্যয় যোগে পঠমা বিভক্তি হয়। যথা : –

পসেনদি নাম রাজা কোসল রঠে রঞ্জং করি। – প্রসেনজিৎ নামে এক রাজা কোমল রাজ্যে রাজত্ব করতেন। বিসাখা মিগারমাতা’তি পাতি – বিশাখা মিপারমাতা নামে পরিচিত।

পুতিষা বিভক্তি

১। কম্মানি দুভিষা – কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা- দাসো কম্মং করোতি – চাকর কাজ করছে। ভিক্ষু ধম্মং দেসেতি – ভিক্ষু ধর্মদেশনা করছেন।

২। কালস্থানং অচ্চন্তসংযোগে কার বা স্থানের সংগে কোন দ্রব্য গুণ বা ক্রিয়ার নিবিড় সংযোগ বোঝালে – সে কার বা পদবাচক শব্দের উত্তর দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথাঃ – ঘেরো মাসং ঝাতি – স্থবির একমাস ধরে ধ্যান করছেন। যোজনং দীঘং সালবনং – এক যোজন দীর্ঘ শালবন।

৩। কৰ্ম্মাবচনীয় যুক্তে — কর্মপ্রবচনীয় পদের প্রয়োগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয় । যথাঃ- অনু, পতি, পরি, অভি – – এ ক’টি উপসর্গ যখন লক্ষণ, বিচ্ছা (ব্যাপ্তি), ইথসভূত (এই রকম ভাব বা স্বভাব বিরুদ্ধ ভাব) ভাগ, সহ – ও হীন অর্থে প্রযুক্ত হয় তখন সেগুলোকে কর্মপ্রবচনীয় বলে। ‘ধী’ নিপাত যোগেও দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা : পতং অনু (পতি, পরি, অভি) বহুতি বায়ু – পর্বতের দিকে বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে। –

ধি ব্রাহ্মণস হস্তারং – ব্রাহ্মণ হত্যাকারীকে ধিক।

৪। পতি, বুদ্ধি – ভুজ – পঠ – হয় – কর সমাধীনং কারিতে যা গতিবোধাত্মক, বুদ্ধিবোধাত্মক – – ও ভুজ, পঠ, হর, কর্, সর্ ইত্যাদি ধাতু নিজন্ত হলে, নিজন্ত ক্রিয়ার কর্ম বিকল্পে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয় । যথা ঃ

মাতা পুত্তং বিজ্ঞালযং পমাযতি • মাতা পুত্রকে বিদ্যালয়ে প্রেরণ করছে।

উপাসিকা ভিক্খং ভত্তং ভোজাযতি উপাসিকা ভিক্ষুকে ভোজন করাচ্ছেন।

৫। ক্বচি দুতিযা হুট্‌ঠীনং অর্থে ষষ্ঠী বিভক্তির অর্থে কখনও কখনও শব্দের উত্তর দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা ঃ – তং খো পন ভগবন্তং এবং কল্যাণো কীত্তিসদ্দো অভ্যোগতো – সেই ভগবানের এই রকম সুযশ উত্থিত হয়েছে।

৬। অভয্যে যোগে চ – অন্তরা, অন্তো, তীরো, অভিতো, পরিতো ইত্যাদি অভয যোগে দ্বিতীয় বিভক্তি হয়। যথা ঃ অন্তরা চ নালান্দং অন্তরা চ রাজগেহং – নালন্দাও রাজগৃহের মধ্যবর্তী थान

গামং নিস্সায় সংঘারামং অখি – গ্রামের পাশে একটি সংঘারাম আছে।

৭। ভতিযা সঙ্গমী – তৃতীয়া ও সপ্তমীর অর্থে কখনও কখনও দ্বিতীয় বিভক্তি হয়। যথা- অহং তং নালপি সামি- আমি তার সঙ্গে কথা বলব না।

ধম্মং বিনা নথি সুখং। – ধর্ম বিনা সুখ নেই।

ততিযা বিভক্তি

১। করণে ততিযা – করণ কারকে তৃতীয়া বিভক্তি হয় । –

যথা সো পদসা গচ্ছতি – সে পায়ে হাঁটছে।

উন্দুরো দন্তেহি বখং ছিন্দি – ইঁদুর দাঁত দিয়ে কাপড় কাটছে ।

২। কত্তরি চ

– কর্ম ও ভাব বাচ্যে কর্তৃকারকে তৃতীয়া বিভক্তি হয় । যথা :-

তুমহেহি কিচ্চং আতপং – চেষ্টা তোমাদেরকে করতে হবে। –

স্বাক্ষাতো ভগবতো ধম্মো • ভগবান কর্তৃক ধর্ম সুন্দররূপে ব্যাখ্যাত হয়েছে। –

৩। সহাদি যোগে চ সহ, অম্লং, কিং, সম্বিং, বিনা ইত্যাদি যোগে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যথা : পিতা পুত্তেন – সহ গচ্ছতি – পিতা পুত্রসহ গমন করছে। –

ভগবা ভিক্ষুসঙ্ঘেন সদ্ধিং রাজগেহং পরিসি।

ভগবান ভিক্ষুসংঘ সহকারে রাজগৃহে প্রবেশ করলেন।

৪। হেথর্থে চ – হেতু অর্থে এবং হেতু শব্দ যোগে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যথা শীলের দ্বারা শুদ্ধি অর্জিত হয়।

কেন হেতুনা বিবাদতি? – ঝগড়া করছ কেন?

৫। যেন বিকারো – শরীরের যে অংগ বিকারগ্রস্থ সেই অংগবাচক শব্দের উত্তর তৃতীয়া বিভক্তি হয় । যথা- – তসো একো অখিনা কানো তার এক চোখ কানা।

সোতেন বধিরো কানে শোনে না।-

৬। বিসেসণে চ – বিশেষণার্থে শব্দের উত্তর তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যথা – গোত্তেন গোতমো- জন্মের দ্বারা – গৌতম ।

জাতিযা খত্তিযো – জন্মের দ্বারা ক্ষত্রিয়। –

৭। সপ্তমীয়খে চ— সপ্তমী বিভক্তির অর্থেও তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যথা ঃ- ভগবা উরুবেলাযং বিহরতি।

তেন সমযেন সে সময় ভগবান উরুবেলায় বাস করছেন।

এত্তকেন সময়েন আগচ্ছহি – এ সময়ের মধ্যে আসবে।

চতুর্থী বিভক্তি

১। সম্পদানে চতুর্থী • সম্প্রদান কারকে চতুর্থী বিভক্তি হয় । যথা : – 

সো ভিকস চীবরং দদাতি । – সে ভিক্ষুকে চীবর দান করছে।

ইসিনো অনুপানং দেহি – ঋষিগণকে অন্ন পানীয় দাও । –

২। আরোচনাথে আরোচনা বা জ্ঞাপনার্থে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যথা : – 

তে ইমং ইবত্তিং ভগবতো আরোচেসুং – তারা এ খবর ভগবানের নিকট নিবেদন করল।

আমন্তযামি ভো ভি – হে ভিক্ষুগণ, আপনাদের আমি আহ্বান করছি। –

৩। নিমিত্তন্ধে বা তদর্থে — নিমিত্ত বা তদর্থ বাচক শব্দের উত্তর চতুর্থী বিভক্তি হয়। যথা :- 

সো অসায় তিনং আহরতি – সে অশ্বের জন্য তৃণ বিচরণ করছে। 

ভিক্ষু পিণ্ডায় চরতি – ভিক্ষু ভিক্ষার জন্য বিচরন করছে। –

৪। তুম্‌হচ্ছে – তুং প্রত্যয়স্ত ক্রিয়া উহ্য থাকলে তার কর্মে বা তুং অর্থে ব্যবহৃত শব্দের উত্তর চতুর্থী বিভক্তি হয়। যথা- অহং যুদ্ধায় পচ্চুগচ্চামি – আমি যুদ্ধ যাত্রা করব।

থেরং দসনথায় বা পসিং আগতমূহি – আমি স্থবিরকে দেখতে আসছি ।

৫। অলমন্ত্রে – নিষ্প্রয়োজন বা সমকক্ষ অর্থে অলং শব্দ যখন প্রযুক্ত হয়; তখন চতুর্থী বিভক্তি হয়। যথা ঃ- 

অলং তে ইধ বাসেন — তোমার এখানে বাস করা নিষ্প্রয়োজন।

৬। গতযন্ত্রে কম্মানি — গতি রোধাত্মক ধাতু কর্মে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যথা : – অপ্পো সগ্‌গায় গচ্ছতি – স্বর্গে অল্প লোক যায়। নমো তসস ভগবতো ভগবানের উদ্দেশ্যে নমস্কার। 

৭। মজ্ঞানদার, অল্পনিনী – অনাদার, অবজ্ঞা বুঝালে (মন + য = মঞঞ) ধাতুর অজ্ঞানী বাচক কৰ্মে

চতুর্থী বিভক্তি হয়। যথা ঃ কলিংগরসূস তুবং মঞে তোমাকে আমি কয়লার ন্যায় জ্ঞান করি। –

কণ্ঠসস তুবং মঞে – তোমাকে আমি কাঠের ন্যায় মনে করি।

 

 

পঞ্চমী বিভক্তি

১। অপাদানে পঞ্চমী ফল পড়ছে। অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যথা :- রুখসমা ফলং পততি – বৃক্ষ হতে

পাপাস্ম চিত্তং নিবারযে – পাপ হতে চিত্তকে নিবারিত কর।

২। ধাতুনামানং উপসর্গযোগে — কতকগুলো ধাতু ও বিশেষ্য পদের সাথে কতকগুলো উপসর্গ যুক্ত হলে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যথা ঃ- হীমবন্ত পকাবৃত্তি (প + ভূ) পঞ্চ মহানদিয্যে পবাহতি – হিমালয় হতে পাঁচটি মহানদী প্রবাহিত হচ্ছে।

সো সমাধিস্হা বুখস্সতি ( ব + উত্থাহি – সে সমাধি হতে উত্থিত হবে।

৩। হেতুচ্ছে – হেতু অর্থে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যথা এখানে এসেছ? কসূমা হেতুনা ত্বং ইধাগতো? – কিসের জন্য তুমি

তস্মাহং বদামি – তা হলে আমি বলি।

৪। রজঠান মিচ্ছিতং – যে সমস্ত বস্তু অন্যের আক্রমণ বা উপদ্রব হতে রক্ষা করার প্রয়োজন হয় তার ওপর পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যথা ঃ উচ্চতো রদ্ধতি সীগালে – সে শৃগাল হতে ইক্ষু রক্ষা করে। –

৫। তা লোপে কম্মাধিকরণেসু তা প্রত্যয়ান্ত শব্দের লোপ হলে কর্ম ও অধিকরণ কারকে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। – যথা- পাসাদিয্হা অভিরূহিত্বা পসতি – প্রাসাদ হতে দেখছে। সো আসনা বুট্‌ঠহতি – তিনি আসন হতে – উঠছেন।

৬। দিসা যোগে দিক বাচক শব্দের যোগে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যথা : অবীচিতো উপরি – অবীচি নরকের – ওপরে।

উদ্ধং পাদতলা পায়ের তলা হতে ওপরের দিকে।

৭। অস্থান কাল নিान স্থান এবং কালের পরিধি নির্দেশ করতে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যথা : গামমা – কোসমথকে নদিং পৰাহতি – গ্রাম হতে এক ক্রোশ দূরে নদী প্রবাহিত হচ্ছে। –

ততো পটঠা তে নিহতমানা অহেসুং তখন থেকে তারা হতমান হয়েছিল।

ছঠী বিভক্তি

১। সামিসিং ছড়ী – স্বামী বা সম্বন্ধ পদে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যথা : – রঞঞা সাসনং শাসন। আদেশ; ইন্দো দেবানং রাজা – ইন্দ্র দেবগণের রাজা। – – রাজার

২। নিষ্ফারণে ছী – একাধিক ব্যক্তি বা বস্তু হতে একটির উৎকর্ষ বা অপকর্ষ, অবধারণ করাকে নির্ধারণ বলে। নির্ধারণে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যথা ঃ পসুনং সীহো সুরতমো – পশুদের মধ্যে সিংহ অধিক সাহসী। – দেবানং সেট্‌ঠো ইন্দো – ইন্দ্র দেবতাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। –

৩। তভিষা সপ্তমীঞ্চ — তৃতীয়া ও সপ্তমীর অর্থে কখনো কখনো ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যথা : – – পুপফস বুদ্ধং পূজেতি – ফুল দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করছি। অযং দাযিকা নচ্চগীতস কুসলা এই বালিকাটি – – নাচ গানে নিপুণ।

৪। সামি, সসরাধিপতি দাযাদ সখি পতিভূ – পসৃত কুসলহিচ সামি, ইসর – দায়াদ, সখি, পতিভূ, পত ও কুসল ইত্যাদি শব্দ যোগে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যথা— – অধিপতি

সো অযং উয্যানস সামি – সে এ উদ্যানের মালিক।

সো নচ্চ গীতস কুসলো – সে নাচ গানে পটু। –

৫। সুতিয়া পঞ্চমীঞ্চ — দ্বিতীয়া ও পঞ্চমীর অর্থে কখনও কখনও ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যথা- –

সব্বে ভ্যন্তি মচ্চুনো – সকলেই মৃত্যু ভয়ে ভীত। –

রাজা অমৃহাকং জীবিতস দাতা ।রাজা আমাদের জীবন দানকারী।

সত্তমী বিভক্তি

১। ওকাসে সপ্তমী ওকাস বা অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যথা :

আকাসে সকুণা বিচরন্তি – পাখিগুলো আকাশে বিচরণ করছে। –

তস্মিং সরে উদকং মন্দ সে সরোবরে জল অপ্রচুর।

২। কালভাবে চ – কালার্থে এবং ভাবার্থে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যথা-

ব্রহ্মদত্তে রজ্জং কারেন্তে বোধিসত্তো মিগযোনীয়ং নিত্তি – ব্রহ্মদত্তের রাজত্বকালে বোধিসত্ত্ব মৃগকুলে জন্মগ্রহণ – করেছিলেন।

সুরিযো উদ্‌গচ্ছস্তে অন্ধকারং অন্তরাধাযতে সূর্য উদিত হলে অন্যকার অন্তর্ধান হয়।

৩। উপাধাযধিক ইসরবচনে উপ এবং অধি উপসর্গ যথাক্রমে অধিক এবং ঈশ্বর অর্থবাচক হলে শব্দের উত্তর সপ্তমী বিভক্তি হয়। যথা : –

অধি দেবেসু বুদ্ধো দেবতা হতেও বুদ্ধ শ্রেষ্ঠ।

অধিসীলে বিসুদ্ধোশীল হতেও বিশুদ্ধ।

৪। কম্ম-করণে নিমিখন্ডেসু সত্তমী কর্ম, করণ ও নিমিত্তার্থে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যথা : – 

সো বাহাসু গহেড়া গচ্ছতি – সে বাহুতে করে নিয়ে যায়। ভিখু পত্তেসু ভিক্খায় চরস্তি – ভিক্ষু পাত্র নিয়ে 

ভিক্ষায় যায় ।

৫। সম্পাদানে চ – সম্প্রদান অর্থে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যথা ঃ-

সংঘস দিনং মহাফলং সংঘকে দান করলে মহাফল হয়।

৬। পঞ্চম্যথেচ সপ্তমী বিভক্তি হয়। যথা ঃ-

পঞ্চমীর অর্থেও

কদলীসু গজং রক্ষতি – হাতি থেকে কলা গাছ রক্ষা করে। 

জেতবনং অন্তরধাযতি ভগবা – ভগবান জেতবন হতে চলে যাচ্ছেন।

অনুশীলনী

(ক) নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

১। কারক কাকে বলে? কারক কয় প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।

২।কোন্ কোন্ অর্থে তৃতীয়া বিভক্তির প্রয়োগ হয়? সংজ্ঞাসহ উদাহরণ দাও।

৩। চতুর্থী বিভক্তি প্রয়োগের নীতিমালা উল্লেখ কর।

৪। বিভক্তি ভেদ বলতে কী বোঝায়? উদাহরণ সহ কয়েকটির প্রয়োগ দেখাও।

সংজ্ঞা সহ উদাহরণ দাও

কত্তারি চ; নামাদি যোগে; ততিযা সত্তমীহঞ্চ; সহাদিযোগে চ; যেনা বিকারো; অপাদানে পঞ্চমী, সামিস্মিং ছট্‌রী; নিদ্ধারণে চ ছী; কাল-ভাবেসুচ; পঞ্চম্যথে।

(খ) সংক্ষেপে উত্তর দাও :

১। প্রত্যেক কারকের একটি করে উদাহরণ দাও।

২। করণ কারক কাকে বলে? দুটি উদাহরণ দাও।

৩। লিঙ্গার্থে শব্দের উত্তর কোন বিভক্তি প্রয়োগ হয়? উদাহরণ দাও।

৪। পঞ্চমী বিভক্তি প্রয়োগের পাঁচটি উদাহরণ দাও ।

৫। বিভক্তি কত প্রকার ও কী কী?

৬। অধিকরণ কারক কাকে বলে? উদাহরণ দাও ।

 

 

(গ) সঠিক উত্তরে টিক (√) চিহ্ন দাও :

১। কর্তৃকারকের উদাহরণ কোনটি?

ক. মাতা পুত্তং পঠাযতি

খ.নেত্তেন চন্দং পস্সতি

গ. রুখমা ফলং পততি

ঘ. বুদ্ধেন ধম্মং দেসিতো

২। উপাসকো ডিস চীবরং সদাতি। – এটি কোন কারকের উদাহরণ?

ক. করণ

খ.সম্প্রদান

গ. অপাদান

ঘ.অধিকরণ

৩।করণে তৃতীয়া বিভক্তির উদাহরণ কোনটি?

ক. স্বাক্ষাতো ভগবতো ধম্মো

খ. অপ্পো সগ্‌গায় পচ্ছতি

গ. সে পায়ে হাঁটছে

ঘ. উন্দুরো দন্তেহি বখং ছিন্দি

আরও দেখুনঃ

 

Exit mobile version