ম্যাকলের তত্ত্ব

আজকে আমাদের আলোচনার  বিষয়-ম্যাকলের তত্ত্ব

ম্যাকলের তত্ত্ব

সন্তাননী বাগর্থবিদ্যার মূল বিষয় হলো উপরি সংগঠন বাগৰ্থিকভাবে মানচিত্রায়িত গভীর সংগঠন থেকে নির্গত হবে । সন্তাননী বাগথবিদ্যার উপর গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন ম্যাকলে, রস, ল্যাকফ প্রমুখ। নীচে আমরা তাদের তত্ত্বসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করবো।

ম্যাকলের তত্ত্ব ম্যাকলে (১৯৬৮) ব্যাখ্যামূলক বাগর্থবিদ্যার বিপরীতে সাননী বাগর্থবিদ্যার সূত্রপাত করেন । তিনি বলেন যে গভীর সংগঠন থেকে ব্যাখ্যামূলক প্রক্রিয়ায় বাক্যের অর্থ আবিষ্কারের প্রয়োজন নেই, এবং গভীর সংগঠনই হবে বাগধিক উপস্থাপনা এবং তা থেকে নিয়মসম্মতভাবে উপরিসংগঠন আহরিত হবে।

এতে বাগর্থতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্বের মধ্যে দূরত্ব বিলুপ্ত হবে এবং তারা অভিন্ন নিয়মাবলীর সংস্রশ্রয়ে সংঘবন্ধ হবে। ম্যাকলের এই উক্তির গুরুত্ব সুদূরপ্রসারী। যদি একসেট নিয়ম আভ্যন্তর বাগথিক সংগঠন থেকে বহিঃস্থ বাক্যতাত্ত্বিক সংগঠন স্থানন করে তবে বাগধিক উপাদান ব্যাকরণের সানী প্রক্রিয়ার একটি অংশে পরিণত হয়।

এবং বাগার্থিক উপাদানের এই সাননী ক্ষমতার ধারণা থেকেই সঞ্জননী বাগবিদ্যা নামটি এসেছে (King 1976: 75, Mathews 1979: 76)

কাজেই নতুন রূপায়নে ভিত্তি ও গভীর সংগঠন বাগরিক উপস্থাপনার সাথে একীভূত হয়ে যায় এবং প্রক্ষেপন নিয়ম বিলুপ্ত ঘোষিত হয়। বাগধিক উপস্থাপনা থেকে রূপান্তরমূলক নিয়মে উপরি সংগঠন উৎপাদিত হবে এবং উপরি সংগঠন থেকে ধ্বনিতাত্ত্বিক নিয়মে ধ্বনিবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আহরিত হবে। এই হল বাগধবিদ্যার মূল বক্তব্য। সঞ্জননী বাগর্থবিদ্যার সংগঠনটি নীচের চিত্রের সাহায্যে দেখানো যায় (Leech 1981

 

ম্যাকলের তত্ত্ব

 

ম্যাকলে বলেন যে, সঙ্গতিবিধি বাক্যতাত্ত্বিকভাবে ব্যাখ্যাযোগ্য নয়, বরং বাগনিকভাবে ব্যাখ্যাযোগ্য উরাহরণস্বরূপ তিনি দেখান যে ইংরেজী count শব্দটির সঙ্গতিবিধিতে বর্ণিত থাকতে পারে এটি কেবল বহুবচন কর্মের উপর প্রযোজ্য হবে। কিন্তু I counted the crowd এ বাক্যে crowd সঠিক অর্থে বছৰচন নয়, বরং তা গুচ্ছতা প্রকাশ করে যা বাগর্থ সংশ্লিষ্ট।

কাজেই বাক্যে কোন শব্দ সঙ্গতভাবে ব্যবহৃত হয়েছে কিনা তা বাগার্থিক উপস্থাপনা থেকেই নির্ধারিত হবে। ম্যাকলে (১৯৬৮ : ১৩৪) বলেন, “তদনুসারে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে সঙ্গতিবিধি কেবল বাগধিক উপস্থাপনার প্রেক্ষিতেই সংজ্ঞায়িত হতে পারে এবং কোন গঠক সঙ্গতিবিধি পালন না লঙ্ঘন করলো তা নির্ধারণের জন্য কেবল বাগধিক উপস্থাপনা পরীক্ষা করলেই হবে, আর কিছু দরকার নেই ।” কাজেই বাড়তি সঙ্গতিবিধির ও উপশ্রেণীকরণের কোন প্রয়োজন নেই ।

ম্যাকলের তত্ত্ব

রূপান্তরের কোন স্থানে বা পর্যায়ে শাব্দিক উপকরণ প্রবিষ্ট হবে তা স্থাননী বাগধিবিদ্যার জন্য একটি বড় সমস্যা। এ ব্যাপারে ম্যাকলে মত প্রকাশ করেন যে শব্দীয় উপকরণ প্রবেশ করানো হবে রূপান্তর বা আহরণমূলক প্রক্রিয়ার শুরুতে নয় বরং বিভিন্ন স্থানে।

তিনি বলেন শব্দকে ক্ষুদ্রতর উপাদানে বিষন্ডীকরণ করা যায় এবং বাচনিক কলনে উপাদানসমূহের পারস্পরিক সম্পর্ক বিবৃত করা যায়। যেমন kill (হত্যা করা) কে বলা যায় একটি ঘটনা যেখানে ধ্রুবক y ঘটনার পূর্বে জীবিত ছিল কিন্তু এখন সে আর জীবিত নাই এবং x ঘটনার কারণ হিসাবে কাজ করেছে। বৃক্ষচিত্রে এটিকে এভাবে দেখানো যায়

 

ম্যাকলের তত্ত্ব

 

ম্যাকলের বিষন্ডীভূত ক্ষুদ্র বাাধিক উপাদানগুলো বিশেষ প্রক্রিয়ায় পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়। এই প্রক্রিয়াকে তিনি বলেন, বিধেয় উত্তোলন। বাচনিক সংগঠনের অনুরূপ একটি পঠনচিত্র থেকে ক্রিয়া (V) নিয়ে ক্রমান্বয়ে গুচ্ছাকারে বিন্যস্ত করা হবে। এরফলে সরল ধারণা থেকে উর্ধ্বক্রমে জটিল ধারণা নির্গত হবে। kill (হত্যা করা) -এর মাধ্যমে বিধেয় উত্তোলন প্রক্রিয়াটি নীচে দেখানো হলো :

 

ম্যাকলের তত্ত্ব

 

এখনে x killed y=x caused y to diex caused y to cease to be alive

আরও দেখুন:

 

Leave a Comment