শিক্ষকের আত্ম-উন্নয়ন ও সুপাঠাভ্যাস গঠন

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় শিক্ষকের আত্ম-উন্নয়ন ও সুপাঠাভ্যাস গঠন – যা আরবি ভাষা ও সাহিত্য পাঠদানে শ্রেণিকক্ষ পরিচালনা ও শিক্ষকের আত্ম-উন্নয়ন এর অন্তর্ভুক্ত।

Table of Contents

শিক্ষকের আত্ম-উন্নয়ন ও সুপাঠাভ্যাস গঠন

 

শিক্ষকের আত্ম-উন্নয়ন ও সুপাঠাভ্যাস গঠন

 

পরিবর্তন একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রকৃতি থেকে শুরু করে জীবন, জগৎ, সমাজ, সভ্যতা, শিক্ষা, সংস্কৃতি সবকিছুই পরিবর্তনশীল ও গতিশীল। এ পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতেই মানুষকে আবিষ্কার করতে হয়েছে নিত্য নতুন জ্ঞান, আচার-আচরণ আর নানা কলাকৌশল। আর এসবের সাথে শিখন সম্পর্কযুক্ত। শিখন মানুষের জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন ঘটায়। শিখনের বহুমাত্রিক উপায় রয়েছে। তার মধ্যে স্ব-শিখন একটি উপায়। বিশেষত পেশাগত জীবনে স্ব-শিখন আত্ম-উন্নয়নের অন্যতম একটি উত্তম উপায়।

পেশাগত অভিজ্ঞতা স্ব-শিখনকে প্রণোদিত করে। স্ব-শিখন বলতে সাধারণত নিজ উদ্যোগে শিক্ষা গ্রহণকে বোঝায়। স্ব- শিখন এমন একটি চেতনা যা মানব সত্তার অভ্যন্তরীণ প্রেষণা (Intrinsic Motivation) থেকে উৎসারিত। মানুষ আত্ম-উপলব্ধি থেকে প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যা শিখে তাই স্ব-শিখন। স্ব-শিখনের আবার রয়েছে নানা উপায়। উল্লেখ্য, সুপাঠাভ্যাস স্ব-শিখনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায়। আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক শিক্ষকের আত্ম-উন্নয়নে সুপাঠাভ্যাস সম্পর্কে আলোচনাই এ অধিবেশনের মূল উদ্দেশ্য ।

সুপাঠাভ্যাস-এর ধারণা

অভ্যাস মানুষ ও অন্যান্য প্রাণিকুলের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। দিনে দিনে মানুষ যে অভ্যাস আয়ত্ত্ব করে এক সময়ে তা তার জীবনের সাথে মিশে যায়। এজন্য বলা হয়ে থাকে ‘মানুষ অভ্যাসের দাস’। আবার কেউ কেউ এ কথাটিকে উল্টিয়ে ‘অভ্যাস মানুষের দাস’-এভাবেও বলে থাকেন। যেভাবেই বলা হোক না কেন, অভ্যাস মানব স্বভাবের একটি অবিরাম বা নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। অভ্যাস বলতে সাধারণত মানুষের সেই সব আচরণ ও কার্যকলাপের চর্চাকে বুঝানো হয়, যেগুলো তারা নিয়মিত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে করে থাকেন।

চেষ্টা করে যেমন অভ্যাস গঠন করা যায়, ঠিক তেমনি চেষ্টা করেই আবার অভ্যাস ত্যাগ তথা পরিবর্তনও করা যায়। অভ্যাস জন্মগত নয়। অভ্যাস মানুষের আচার-আচরণ, মন-মানসিকতা, চিন্তা-চেতনা, রুচিবোধ, সৌজন্যতার পরিচায়ক।

মানুষ আজন্ম জ্ঞান পিপাসু। অজানাকে জানার অদম্য স্পৃহা মানুষের চিরন্তন প্রবণতা। বলা বাহুল্য যে, পঠন ও পাঠাভ্যাস তার এ অদম্য স্পৃহাকে পরিতৃপ্ত করার অন্যতম একটি উপায়। পাঠাভ্যাস মানুষের জন্মগত কোন বিষয় নয়। এটি আয়ত্ব করতে হয়। শৈশব থেকেই এ অভ্যাস গঠন করতে হয়। একজন শিক্ষকের জন্য পাঠাভ্যাসের প্রয়োজনীয়তা অনেক। পেশাগত জীবনে যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক বা আনুষ্ঠানিকভাবে জানার ও শেখার সুযোগ সীমিত হয়ে যায়। আত্ম-প্রচেষ্টার মাধ্যমে জানা বা শেখা-এ জীবনের অন্যতম উত্তম উপায় ।

সুপাঠাভ্যাস কথাটি একটি সন্ধি গঠিত পদ। তিনটি পদের সম্মিলনে এ পদটি গঠিত। আর তা হলো: সু+পাঠ+অভ্যাস। এ তিনটি পদের প্রত্যেকটির নিজস্ব অর্থ রয়েছে। পাঠাভ্যাস কথাটির পুর্বে ‘সু’ একটি উপসর্গ বসেছে যার অর্থ ভাল, সুন্দর, উৎকৃষ্ট, প্রকৃষ্ট ইত্যাদি।

আর পাঠ বা পঠন বলতে কোন কিছু পড়ে তার অর্থ বা মর্ম উপলদ্ধি করাকে বোঝায়। আর সুপঠন বলতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোন কিছু পাঠ করে তার অন্তর্নিহিত মর্ম বা ভাব উপলদ্ধি করে পরবর্তীতে স্মরণ করে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগানোর মানসিক দক্ষতাকে বোঝায়। এ ধরনের পঠন যখন কারো নিত্য নৈমিত্তিক অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় তখনই তাকে বলা হয় সুপাঠাভ্যাস। সুপাঠাভ্যাসকে শিখনের ভাল অভ্যাস বা ভাল শিখন অভ্যাস, কার্যকর অধ্যয়ন অভ্যাসও বলা হয়।

আরবি ভাষা ও সাহিত্য এর সুপাঠাভ্যাস

এ অধ্যায়ে শিক্ষকের আত্ম-উন্নয়নের উপায় হিসেবে সুপাঠাভ্যাস সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। শিক্ষকের আত্ম-উন্নয়নের উপায় হিসেবে সুপাঠাভ্যাস বা ভাল শিখন অভ্যাস বলতে সাধারণত একটি নিরবচ্ছিন্ন বা অবিরাম চর্চার প্রক্রিয়াকে বোঝায়।

অর্থাৎ একজন শিক্ষক যখন এর বিষয়বস্তুর নিয়মিত চর্চা করেন, এ বিষয়ের অজানা বিষয়সমূহ জানার কৌতুহল বোধ করেন, এ বিষয় সংক্রান্ত তথ্য-সম্পদ (Resources) সংগ্রহ করেন, এ বিষয়ের নতুন তত্ত্ব কথা অনুধাবন ও উদ্ঘাটনে সচেষ্ট হন, সহকর্মী শিক্ষক কিংবা এ বিষয়ের অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সাথে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন- তখন তাকে বিষয়ের সুপাঠাভ্যাস বা শিখন অভ্যাস হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে। কখনো কখনো এ বিষয়ে নিজস্ব দুর্বলতা শনাক্ত করার প্রক্রিয়া ও দুর্বলতা থেকে উত্তরণের উপায় অবলম্বন ও সুপাঠাভ্যাস হিসেবে পরিগণিত। কোন একটি বিষয়কে বুঝতে হলে বিষয়বস্তুর গভীরে যেতে হয়।

আর বিষয়বস্তুর গভীরে যাওয়ার উপায় হলো বিষয়টিকে ভালভাবে পড়া। তাই বিষয়ের শিক্ষণ ও শিখন কাজে পঠন কেবল প্রযোজ্যই নয় বরং অপরিহার্য। সুপাঠাভ্যাস ধারণাটির ক্ষুদ্র/সংক্ষিপ্ত ও বিস্তৃত- এ দু’ধরনের অর্থ রয়েছে।

আবার বিষয় ভেদে সুপাঠাভ্যাস কথাটির অর্থে নতুন মাত্রাযোগ হয়। যেমন, অন্যান্য পাঠ্য বিষয়ে সুপঠনের ধারণা থেকে বাংলা, ইংরেজি এবং আরবি তথা ভাষা বিষয়ের সুপঠনের ধারণা আরেকটু ব্যাপক। যেমন ভাষার ক্ষেত্রে ভাষার মৌলিক চার দক্ষতা অর্জন, সরব পঠন, নিরব পঠন, ধ্বনির উচচারণ, তাল, লয়, ছন্দ ইত্যাদি বিশেষভাবে বিবেচ্য। কিন্তু অন্য বিষয়ের ক্ষেত্রে এগুলো সমান গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে।

আবার বিস্তৃত অর্থে সুপাঠাভ্যাস বলতে কেবল পড়াকেই বুঝায় না বরং কোনো বিষয়ের সু-শিখন, কার্যকর শিখন বা অধ্যয়নের কার্যকর পদ্ধতি ও অভ্যাসকে নির্দেশ করে। এ জন্য বিস্তৃত অর্থে কখনো কখনো অনেকে লেখা, শোনা ও বলা— এসব কাজকে সুপাঠাভ্যাস-এর অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। যেমন: পড়ার সময় নোট নেওয়া— এটি সুপাঠাভ্যাসের একটি কৌশল। এখানে অনিবার্যভাবেই লিখন পঠনের সাথে সম্পৃক্ত। তাই বিস্তৃত অর্থে পঠন বলতে শিখন বা অধ্যয়নকে বুঝানো হয়। এ পঠন কেবল বাংলা, ইংরেজি, আরবি ইত্যাদি ভাষা পড়ার দক্ষতা নয় বরং যে কোন বিষয়ের শিখন বা অধ্যয়নকে বোঝায় ।

  •  সুপাঠাভ্যাস-এর ধারণা প্রসঙ্গে আপনার অগ্রগতি যাচাই করে নিন।
  • সুপাঠাভ্যাস বা যথাযথ অধ্যয়ন বলতে কী বোঝেন ?

সুপাঠাভ্যাস/সুপঠন-এর বৈশিষ্ট্য

সুপাঠাভ্যাস কেবল পাঠের অভ্যাসগত দিকগুলোকেই বিবেচনা করে না বরং অভ্যাসগত দিকগুলো বিবেচনার সাথে সাথে কার্যকর পাঠের কলাকৌশল সুপাঠাভ্যাস বা সুপঠনের মূল বিবেচ্য বিষয়। সুপাঠাভ্যাস-এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো সক্রিয় পঠন। অর্থাৎ কোনকিছু পাঠ করে তার উপজীব্য বিষয় আত্মস্থ করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে পাঠ করা।

১. সুপাঠাভ্যাস/সুপঠন হলো উদ্দেশ্যমূলক পঠন। অর্থাৎ পাঠ করার সময় সে পাঠের উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে পঠন

২. বিষয়বস্তুর অর্থ/মর্ম উপলদ্ধি সহকারে পঠন।

৩. পড়ার সময় প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহকরণ।

৪. পঠিত বিষয়বস্তুকে নিজস্ব পূর্ব জ্ঞানের আলোকে বিশ্লেষণ করা।

৫. সুপাঠাভ্যাস/সুপঠন কেবল জানার ও আত্ম-বিকাশের উদ্দেশ্যে নিরবচ্ছিন্ন পঠন। পরীক্ষা কিংবা অন্য কোনো সাময়িক প্রয়োজনে দীর্ঘ সময় ধরে পঠন সুপাঠাভ্যাস হিসেবে বিবেচ্য নয়।

৬. সুপাঠাভ্যাস/সুপঠন আনন্দ লাভের লক্ষ্যে নিয়মিত পঠন ও পাঠকের পছন্দ মতো পঠন।

৭. পাঠকালীন নিজস্ব চিন্তা ও যৌক্তিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে নতুন ধারণা গ্রহণ বা বর্জন করা।

সুপাঠাভ্যাস/শিখন অভ্যাসের কৌশল

আসুন, সুপাঠাভ্যাস গঠনের উপায় সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে এ বিষয়ে আমাদের ধারণাগুলো নিচে লিপিবদ্ধ করি ।
সুপাঠাভ্যাস গঠনে গৃহীত ব্যবস্থা

১.

২.

৩.
8.

সুপাঠাভ্যাস গঠনের জন্য একজন পাঠককে সবার আগে একজন মনোযোগী পাঠক হতে হয়। যে পাঠক কোনো কিছু পাঠের সময় তার অধিক সংখ্যক ইন্দ্রিয়কে কাজে লাগিয়ে অত্যন্ত সক্রিয়তার সাথে পাঠে মনোনিবেশ শিখতে ও করতে পারেন, মনোযোগী পাঠক বলতে সচরাচর এ ধরণের পাঠককে বোঝানো হয়ে থাকে।

একজন মনোযোগী পাঠকের বৈশিষ্ট্যসমূহের মাঝে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো— তিনি অধিক পরিমাণে পড়তে, বুঝতে এবং শেখার মাধ্যমে নিজের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে উদগ্রীব। কোন কিছু না বুঝতে পারলে তা বোঝার জন্য তিনি অন্যের সহায়তা গ্রহণ করেন। তিনি পরিকল্পিত ও সুসংগঠিতভাবে অধিক পরিমাণে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে জ্ঞান অর্জনে সচেষ্ট। তিনি তার অর্জিত পূর্ব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার সাথে নতুন জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার সম্পর্ক ও পার্থক্য খুঁজতে থাকেন। সর্বোপরি পাঠে অধিক সংখ্যক ইন্দ্রিয় ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি একজন সক্রিয় পাঠক।

সুপাঠাভ্যাসের সাধারণ কৌশল

যদিও পঠন/অধ্যয়ন অভ্যাসের কার্যকারিতা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ভেদে পৃথক, তদুপরি এক্ষেত্রে কিছু বিশেষ
শৃংখলা ও কৌশল রয়েছে— যা অবলম্বন করলে পড়াশোনা থেকে সর্বাধিক উপকারিতা লাভ করা যেতে পারে। নিম্নে এমন কতিপয় কৌশল সম্পর্কে আলোকপাত করা হল:

অতিরিক্ত পঠন/অধ্যয়নের উপাদান না রাখা:

অতিরিক্ত অধ্যয়নের উপাদান কখনো রাখবেন না। সুপাঠাভ্যাস গঠনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। কারণ অতিরিক্ত অধ্যয়ন উপাদান হাতের কাছে থাকলে তার মধ্য থেকে কোনটা রেখে কোনটা পড়া হবে— এ বিষয়ে দোদুল্যমনতা কোনো সুনির্দিষ্ট একটি বিষয় স্থির করতে ও তাতে গভীর মনোযোগ নিবদ্ধ করতে বিঘ্ন ঘটায়। তাই এ বিষয়ের বিশেজ্ঞরা সর্বদা সীমিত সংস্থান থেকে পাঠ করতে পরামর্শ দেন ।

 

শিক্ষকের আত্ম-উন্নয়ন ও সুপাঠাভ্যাস গঠন

 

জটিল অংশ প্রথমে পঠন:

অধ্যয়নের জন্য নির্দিষ্টকৃত সময়ের প্রাথমিক পর্যায়ে নতুন বিষয়গুলোতে মনোনিবেশ করা উচিত। কারণ তখন মন সতেজ থাকে বিধায় জটিল বা নতুন ধারণাগুলি দ্রুত রপ্ত করা যায়। এছাড়া অধ্যয়নের এমন সব বিষয় যা মুখস্ত করা প্রয়োজন- সেগুলোও প্রথম দিকে অধ্যয়ন করা উচিত। কেননা ক্লান্ত মন কার্যকর মুখস্তকরণে সক্ষম থাকে না।

কার্যকর নোট নেওয়া:

অধ্যয়নকালে কার্যকর নোট নেওয়া এবং একাধিকবার এটিকে সংশোধন করা সুপাঠভ্যাসের একটি কৌশল। এ প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ Robert S Martin বলেন, “যদি আপনি কার্যকর নোট নেন, তাহলে জ্ঞানের বিষয়সমূহ ধরে রাখা আপনার জন্য অনেক সহজ হবে। একটি বা দু’টি বই থেকে পড়ুন এবং তা থেকে নিজের মত করে নোট নিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়/তথ্যকে বুলেট পয়েন্টে উল্লেখ করুন। তারপর সেগুলো বার বার পড়ুন” ।

বিরতি নেওয়া:

অধ্যয়ন/পঠন থেকে ভাল ফল পেতে হলে পাঠের মাঝে বিরতি নেওয়া আবশ্যক। অনেক শিক্ষার্থী/পাঠক একাধারে দীর্ঘ সময় ধরে অধ্যয়ন অব্যাহত রাখে; কিন্তু সে অনুযায়ী তা থেকে ফল পায় না। এর কারণ হলো তারা ক্লান্ত মন নিয়ে অধ্যয়ন করে। পাঠের মাঝে সংক্ষিপ্ত বিরতি গ্রহণ পাঠকের মানসিক শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।

তাই উদ্যম সঞ্চারিত করার জন্য প্রতি একঘন্টা পরে পরে ৫ থেকে ১০ মিনিটের বিরতি নেওয়া দরকার। তবে এ বিরতি ১৫ মিনিটের বেশী দীর্ঘায়িত যেন না হয়, কারণ তাহলে আবার অধ্যয়নের ছন্দ পতন হবে। মনে রাখা প্রয়োজন যে, সু-পাঠাভ্যাস পাঠের সময়ের পরিমাণ (Quantity), বিচারে নয় বরং এ ক্ষেত্রে পাঠের গুণগত (Quality) মানই আসল বিচার্য বিষয় ।

বিড়ম্বনা এড়িয়ে পঠন/অধ্যয়ন:

কার্যকর পঠনের জন্য যথাসম্ভব বিভিন্ন বিড়ম্বনা এড়িয়ে চলা দরকার। বর্তমানে মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ বিড়ম্বনা সৃষ্টির অন্যতম কারণ। কিছুক্ষণ পর পর মোবাইল বেজে ওঠা, ম্যাসেঞ্জারের টুংটাং আওয়াজ, বিভিন্ন বিষয়ের নোটিফিকেশন— এ সবের কারণে পঠন কালে মনোযোগ নানাদিকে বিভক্ত হয়ে যায়।

আসলে অধ্যয়ন কালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ সক্রিয় রাখা এক ধরনের আসক্তি। এটি ক্ষতিকারক, কারণ এটি মূল্যবান সময় ব্যয় করে এবং মনোযোগকে হাল্কা করে । এ জন্য বিশেষজ্ঞরা পড়াশুনার সময় মোবাইল ডেটা এবং ওয়াইফাই সংযোগের কানেকশন অফ করে নেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। অনেকের কাছে এ অভ্যাসটিকে অত্যন্ত কঠোর মনে হতে পারে তবে হাজার হাজার সফল শিক্ষার্থীর পিছনে রয়েছে এ শৃঙ্খলা।

প্রতিদিন একই সময় পড়া:

সুপাঠাভ্যাস কৌশলের অন্যতম একটি দিক হল প্রতিদিন একই সময় পড়া। খাওয়া এবং ঘুমানোর ন্যায় একই সময়ে পঠন হবে প্রতিদিনের রুটিনের একটি অংশ। রুটিনে নির্ধারিত সময়ে অধ্যয়নের জন্য অধ্যয়নকারী নির্ধারিত সময়ের পূর্ব থেকেই অধ্যয়নের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন। এভাবে নিয়মিত একই সময়ে পড়ার মাধ্যমে সুপাঠাভ্যাস গড়ে উঠে।

অধ্যয়নের জন্য নির্দিষ্ট সময় পরিকল্পনা করা:

অধ্যয়নের জন্য নির্দিষ্ট সময় পরিকল্পনা করে সে মোতাবেক অধ্যয়ন করা সুপাঠাভ্যাসের আরেকটি গুণ। দিনের কখন ও কতটুকু সময় ধরে অধ্যয়ন করা হবে- এ বিষয়টি নির্দিষ্ট করা থাকলে পঠন নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে এবং তা অর্থবহ হয়।

অধ্যয়ন সময়ের নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা:

সুপাঠাভ্যাসের ক্ষেত্রে যেমন নির্দিষ্ট সময়ে পাঠের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়, তেমনি যতটুকু সময় ধরে অধ্যয়ন/পঠন কার্যক্রম চলতে থাকবে সেই সময়ের পঠন থেকে অর্জিতব্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিতে হবে। এ কৌশল অধ্যয়নকারীকে অধ্যয়নে মনোনিবেশ করতে এবং অধ্যয়নের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে সহায়তা করবে। উদ্দেশ্য নির্ধারণবিহীন অধ্যয়ন থেকে অর্জন যৎসামান্যই। একজন পাঠক/অধ্যয়নকারী তার পাঠের সময়ের মধ্যে কী অর্জন করতে চান, সে সম্পর্কে তাকে অবশ্যই স্পষ্ট থাকতে হবে।

একবারে খুব বেশি পঠনের চেষ্টা না করা:

একবারে খুব বেশি অধ্যয়ন করার চেষ্টা পাঠে ক্লান্তি সৃষ্টি করে। ফলে সে অধ্যয়ন খুব বেশি কার্যকর হয় না। পঠনের মাধ্যমে যে কাজটি করতে হবে তা গুরুত্ব সহকারে স্বল্প/সীমিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে। তাই একবারে খুব বেশি পঠনের চেষ্টা না করাই ভাল ।

নির্দেশিত পঠন চিন্তন কার্যক্রম

নির্দেশিত পঠন চিন্তন কার্যক্রম হলো শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক (Textbook) পড়ার একটি কৌশল। শিক্ষার্থীদের সুপঠন অভ্যাস গঠনে এ কৌশলটি বেশ কার্যকর। এ কৌশলে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বিষয়ের কোন একটি বিষয় পাঠের পূর্বে সে বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের প্রাক অনুমান করতে উদ্দীপ্ত করেন এবং ঐ বিষয়টি পড়ার প্রতি কৌতুহল ও আগ্রহ সৃষ্টি করেন এবং বিষয়বস্তু পাঠ করার পরে প্রাক অনুমানের যথার্থতা নির্ণয় করতে পারে। অর্থাৎ নির্দেশিত পঠন চিন্তন পদ্ধতিতে পাঠ্য বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা প্রথমত একটি প্রাথমিক ধারণা বা পূর্ব অনুমান গঠন করে।

তারপরে তারা পাঠে অগ্রসর হতে থাকে এবং তাদের অনুমানের স্বপক্ষে যুক্তি খুঁজতে চেষ্টা করে। এভাবে তারা পাঠে অগ্রসর হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা তাদের অনুমানের যথার্থতা খুঁজে না পেলে তারা মনে মনে নতুন করে অনুমান গঠন করে সামনে আগাতে থাকে। এভাবে তারা পাঠ্য বিষয়বস্তুর প্রতি গভীরভাবে নিবিষ্ট হয়ে পঠন সমাপ্ত করে। এভাবে পড়ার মাধ্যমে একদিক যেমন পড়ার প্রতি তাদের আগ্রহ ও মনোযোগ বৃদ্ধি পেতে থাকে, অন্যদিকে এ পদ্ধতিতে তারা তাদের প্রাক অনুমানের সত্যতা নির্ণয় প্রসঙ্গে তারা গভীর চিন্তা ও যুক্তির চর্চার দক্ষতায় পারদর্শী হয়ে ওঠে।

পঠনের ধাপ বা পর্ব ভিত্তিক কৌশল

পাঠের ধাপ বা পর্যায় (Stage) বিবেচনায় সুপাঠাভ্যাস/সুপঠন/কার্যকর অধ্যয়ন কৌশলকে তিনটি পর্বে ভাগ করা যায়। আর তা হলো: (১) পাঠপূর্ব কৌশল; (২) পাঠ চলাকালীন কৌশল; (৩) পাঠ উত্তর কৌশল । সাধারণত এ ধাপ তিনটি ভাষার শিক্ষার প্রাথমিক চার দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে কেবল ভাষার চার দক্ষতাই নয়, সকল বিষয়ের কার্যকর পঠন বা অধ্যয়নে এ ধাপ তিনটি অনুসরণীয়। নিম্নে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ের সুপাঠাভ্যাস গঠনে এ তিনটি পর্বে করণীয় সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো:

১. পাঠপূর্ব কৌশল

আরবি ভাষা ও সাহিত্য এর কোন একটি বিষয় পাঠের আগে বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পেতে এবং নিজের মানসিকভাবে প্রস্তুত হবার জন্যে পাঠপূর্ব কৌশল হিসেবে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করা যেতে পারে; যেমন-

ক. পাঠ্য বিষয় জরিপ: প্রথমত যে বিষয়টি পাঠ/অধ্যয়ন করা হবে তার সাথে পরিচিত হওয়া, উক্ত বিষয়টি পাঠের জন্য ইচ্ছা ও চিন্তাশক্তিকে সক্রিয় করা। পাঠের শিরোনাম ও উপ-শিরোনামগুলো পড়া

খ. সূচনা এবং উপসংহার পড়া।

গ. প্রতিটি অনুচ্ছেদের প্রথম বাক্যটি পড়া।

ঘ. সময় নির্বাচন: পাঠ্য বিষয়ের শিখন পরিসর বা আলোচনার পরিধি, গভীরতা এবং জটিলতার মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে সে মোতাবেক পাঠের কোন অংশটি কত সময়ে পড়ে শেষ করা হবে। তার পরিকল্পনা করা।

ঙ. ধারণা মানচিত্র (Concept Map) প্রণয়ন: একটি কাগজে পাঠ্য বিষয়ের শিরোনাম, উপ-শিরোনাম এবং মূল বিষয় সংশ্লিষ্ট কিছু শব্দ লেখা যেতে পারে যা পঠনে অনুপ্রাণিত করবে।

২. পাঠ চলাকালীন কৌশল

পাঠের সময় বিষয়বস্তুকে যথাযথ অনুধাবন করার জন্যে এ পর্বে নিম্নোক্ত পদক্ষেপসমূহ অবলম্বন করা যেতে পারে :

ক. ধারণা বিমুর্তকরণ: পাঠ্য বিষয়ে চার্ট, ছবি, ছক ইত্যাদি থাকলে সেগুলোতে মনোযোগ দেওয়া ।

খ. উদাহরণ পড়া: পাঠ্য বিষয়বস্তুতে যদি উদাহরণ দেওয়া থাকে তা হলে প্রদত্ত উদাহরণগুলো বারবার পড়া।

গ. শিরোণাম দেয়া: পাঠ্য বিষয়ের অনুচ্ছেদসমূহের প্রত্যেক অনুচ্ছেদে উপজীব্য বিষয়ের আলোকে নিজের মত করে সংক্ষিপ্ত উপ-শিরোনাম দেওয়া, যাতে করে সে উপ-শিরোনাম থেকে ঐ অনুচ্ছেদের বিষয়বস্তু সহজেই মনে পড়ে যায়;

ঘ. আন্ডারলাইন/চিহ্নিতকরণ: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও বিষয়গুলো মার্কার বা পেন্সিল দিয়ে চিহ্নিত করা।

ঙ. নতুন বিষয়কে নিজস্ব পূর্ব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার নিরিখে বিশ্লেষণ করা।

৩. পাঠ উত্তর কৌশল

পঠিত বিষয়বস্তুকে হৃদয়ঙ্গম করার জন্যে এ পর্বের কাক্রমের মধ্যে থাকতে পারে-
ক. সকল নতুন তথ্য ও তত্ত্বগুলোকে একত্রিত করে কাগজে লেখা;

খ. পাঠকৃত বিষয়ের একটি সারাংশ লেখা ।

গ. বিষয়ের সংক্ষিপ্ত নোট নেওয়া ।

ঘ. পাঠকৃত বিষয় থেকে অর্জিত জ্ঞানের প্রতিফলন ও আত্ম-মূল্যায়ন করা। অর্থাৎ, পাঠকের নিজের চিন্তা ও যৌক্তিক ক্ষমতা ব্যবহার করে অর্জিত নতুন জ্ঞানের সম্পুর্ণতা কিংবা অসম্পুর্ণতা সম্পর্কে বিচার বিশ্লেষণ করে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্তে উপণীত হওয়া।

আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে সুপাঠাভ্যাসের বিশেষ কৌশল

ভাষা বিজ্ঞানের মাঝে আরবি ভাষা ও সাহিত্য স্বতন্ত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে ভাষা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ও গভীর ধারণা থাকা অত্যাবশ্যক। ভাসা ভাসা ধারণা থেকে আরবি ভাষার কার্যকরভাবে পাঠদান করা যায় না। এ জন্য এ বিষয়ে সুপাঠাভ্যাস গঠন শিক্ষকের জন্য অপরিহার্য। এ জন্যে সুপাঠাভ্যাসের উপযুক্ত সাধারণ কৌশলগুলোর সাথে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে সুপাঠাভ্যাস গঠন ও শিখনে একজন শিক্ষক নিম্নোক্ত কৌশলসমূহ অবলম্বন করতে পারেন। যেমন—

  • আরবি ভাষা ও সাহিত্য-এর বিষয়বস্তু সম্বলিত মূলগ্রন্থ ও রেফারেন্স গ্রন্থের সাহায্য গ্রহণ।
  •  বিষয় সংশ্লিষ্ট জার্নাল, গবেষণা প্রতিবেদন পাঠ করা।
  •  বিষয় সংশ্লিষ্ট মাসিক/সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন পাঠ করা ।
  • পত্রিকায় প্রকাশিত এতদসংক্রান্ত কোন ফিচার/নিবন্ধ প্রভৃতি সংগ্রহ ও অনুশীলন করা।
  • ইন্টারনেট ব্যবহার করে এ বিষয়ের প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণ ও তথ্য সম্পদ (Resources) সংগ্রহে রাখা
  •  বিষয় সংশ্লিষ্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ।
  •  বিষয় সংশ্লিষ্ট সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সংলাপ, গোলটেবিল বৈঠক ইত্যাদির আয়োজন/অংশগ্রহণ ।
  •  রেডিও-টেলিভিশনে এতদসংক্রান্ত আলোচনা শোনা এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ
  •  উপস্থিত বক্তৃতা, নির্ধারিত বক্তৃতা এবং বিতর্কে অংশগ্রহণ ।
  • আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ের অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে মত/অভিজ্ঞতা বিনিময়।
  • আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ের কোন একটি বিষয় সম্পর্কে শিখতে গিয়ে তার শিখন সীমা সুনির্দিষ্ট করে নেওয়া ।
  • এ বিষয়ের অজানা বিষয়বস্তুর ভাব বা মর্ম উদঘাটনের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। কোন বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকলে তা না লুকিয়ে বোঝার জন্য অন্যের সাহায্য নেওয়া অথবা সে বিষয়ে গভীর অধ্যয়ন করা।
  •  উপযোগী গ্রন্থ নির্বাচন যেমন আরবি ভাষা ও সাহিত্য-এর সংশ্লিষ্ট বা ব্যাখ্যা গ্রন্থসমূহ পড়া ।
  •  বিষয়ভিত্তিক অভিধান ব্যবহার করা (যেমন- আলমুজামুল ওয়াসিত)।
  •  আরবি ভাষা ও সাহিত্য-এর শিক্ষণ-শিখন বিষয়ে কর্মসহায়ক গবেষণা করা।
  •  লাইব্রেরি ব্যবহার করা।
  • এ বিষয়ের ব্যক্তিগত নোট, লার্নিং লগ, ডায়েরি, প্রতিফলন ডায়েরি ইত্যাদি রাখা এবং অনুশীলন অব্যাহত রাখা।
  •  আরবি ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষণ-শিখন পদ্ধতি সম্পর্কে নিজস্ব চিন্তা অব্যাহত রেখে নতুন পদ্ধতি ও কৌশল উদ্ভাবন ।
  •  আরবি ভাষা ও সাহিত্য সংশ্লিষ্ট সহপাঠ্য ক্রমিক কার্যাবলী পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা ও তাতে অংশগ্রহণ ।

 

শিক্ষকের আত্ম-উন্নয়ন ও সুপাঠাভ্যাস গঠন

 

সুপাঠাভ্যাস শিখনের একটি উত্তম উপায়। বিস্তৃত অর্থে সুপাঠাভ্যাস দ্বারা নিয়মিত ও পরিকল্পিত চর্চার সাথে সাথে কোন বিষয়বস্তুর কার্যকর শিখন বা কার্যকর অধ্যয়নের উপায়কে নির্দেশ করে। ভাল পাঠ বা শিখন অভ্যাস গঠন এক ধরনের স্ব-শিখন। জীবনের মানসিক সুস্থতায়, মনের প্রশান্তি লাভে, স্ব-শিক্ষিত হতে সুপাঠাভ্যাসের বিকল্প নেই।

একজন শিক্ষার্থী শিক্ষা জীবনে যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলবে তার কর্মজীবনে তথা সমগ্র জীবনে সে অভ্যাস তাকে সফলতার সার্থকতার চরম শিখরে পৌঁছে দেবে। সুপাঠাভ্যাস কেবল শিক্ষার্থীর জন্যই নির্ধারিত নয়। সকল পেশা ও কর্মের মানুষের মাঝে সুপাঠাভ্যাস থাকা কাম্য। মাধ্যমিক পর্যায়ে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষণ-শিখনে সুপাঠাভ্যাস সম্পর্কে শিক্ষকের ধারণা থাকা এবং তার নিজের মাঝে সুপাঠাভ্যাস গঠন অপরিহার্য।

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment