রতন সুত্ত

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ” রতন সুত্ত “। যা “খুদ্দক পাঠো” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।

রতন সুত্ত

 

রতন সুত্ত

 

খুদ্দক পাঠো

রতন সুত্ত 

নিদানং

কোটিসতসহসেসু চক্কবালেসু দেবতা যসানম্পটিগ্নগৃহস্তি যঞ্চ বেসালিযা পুরে,

রোগামনুসস দুভিক্‌খ সম্পৃতস্তি বিধং ভয়ং খিল্পমন্তরধাপেসি পরিত্তং তং ভণাম হে।

মূল

১।যানীধ ভূতানি সমাগতানি ভুম্মানি বা যানিৰ অন্তলিখে, 

সব্বে ভূতা সুমনা ভবভু অথোপি সকচ্চ সুণস্তু ভাসিতং ।

২।তাহি ভূতা নিসামেথ সে মেত্তং করোথ মানুসিয়া পজায, 

দিবা চ রত্তো চ হরন্তি যে বলিং তমাহি নে রখথ অল্পমত্তা।

৩।যং কিঞ্চি বিত্তং ইধ বা হুরং বা সগেসু বা যং রতনং পণীতং, 

ননো সমং অখি তথাগতেন ইদম্পি বুদ্ধে রতনং পণীতং এতেন সচ্চেন সুবথি হোতু।

8।খ্যং বিরাগং অমতং পণীতং যদঝগা সকামুনী সমাহিতো, 

ন তেন ধম্মেন সমর্থি কিঞ্চি ইদম্পি ধৰ্ম্মে রতনং পণীতং এতেন সচ্চেন সুবথি হোত।

৫।যং বুদ্ধসেঠো পরিবণুখী সুচিৎ সমাধিমানন্তরিকঞঞ সমাধিনা তেন সমো ন বিজ্জাতি, 

ইদম্পি ধৰ্ম্মে রতনং পণীতং, এতেন সচ্চেন সুবথি হোতু।

৬।যে পুগ্‌গলা অট্ঠসতংপসখা চত্তারি এতানি যুগানি হোন্তি, 

তে দক্ষিণেয্যা সুগতস্স্ সাবকা এতে দিনানি মহপফলানি। 

ইদম্পি সংঘে রতনং পণীতং এতেন সচ্চেন সুবখি হোতু।

৭।যে সুপযুক্তা মনসা দহেন নিকামিনো গোতমসাসনমূহি, 

তে পত্তিপত্তা অমতং বিগহ লম্বা মুধা নিশ্ৰুতিং ভুঞ্জমানা। 

ইদম্পি সংঘে রতনং পণীতং এতেন সচ্চেন সুবখি হোতু।

৮।যখীন্দখালো পঠবিং সিতো সিয়া চতুবৃত্তি বাতেভি অসম্পকম্পিযো তপমং

সম্পুরিসং বদামি যো অরিযসচ্চানি অবেচ্চ পসতি। ই

দম্পি সংঘে রতনং পণীতং এতেন সচ্চেন সুবথি হোতু।

৯।যে অরিযসচ্চানি বিভাবস্তি গম্ভীর পঞেন সুদেসিতানি, 

কিঞ্চাপি তে হোন্তি ভূসম্পমত্তা ন তে ভবং অঠমং আদিযস্তি। 

ইদম্পি সংঘে রতনং পণীতং এতেন সচ্চেন সুবখি হোতু।

১০।সহাবস দসনসম্পদায তযস্সু ধম্মা জহিতা ভবন্তি, 

সন্ধ্যাদিঠি বিচিকিচ্ছিতঞ্চ। সীলতং বাপি যদখি কিঞ্চি । 

চতূহ’পাযেহি চ বিপ্‌পমুত্তো ছচাভিঠানানি অভবেবা কাতুং, 

ইদম্পি সংঘে রতনং পণীতং এতেন সচ্চেন সুবখি হোতু।

১১।কিঞ্চাপি সো কম্মং করোতি পাপকং কাযেন বাচা উদ চেতসা বা, 

অভব্বো সো তস পটিচ্ছাদায় অভতা দিট্ঠপদস বুত্তা ইদম্পি সংঘে রতনং পণীতং এতেন সচ্চেন সুবধি হোতু।

১২।বনপ্‌পগুদ্ধে যথা ফুসিভগুগে গিম্‌হানমাসে পঠমস্মিং গিমূহে। 

তথূপমং ধম্মবরং অদেসখী নিব্বাণগামিং পরমং হিতাষ। 

ইদম্পি বুদ্ধে রতনং প্রণীতং এতেন সচ্চেন সুবথি হোত।

১৩। বরো রবষ্ণু বরদো বরাহরো অনুত্তরো ধম্মবরং অদেসখী। 

ইদম্পি বুদ্ধে রতনং পণীতং এতেন সচ্চেন সুবধি হোত।

১৪। দ্বীপঃ পুরাণং নবং নথি সং

বিরত্তচিত্তা আযতিকে ভবস্মিং, 

তে খীণবীজা অবিবুল্‌হিচ্ছন্দা নিস্তি ধীরা যথাযং পদীপো ইদম্পি সংঘে রতনং পণীতং এতেন সচ্চেন সুৰখি হোত।

১৫। যানীধ ভূতানি সমাগতানি ভূম্মানি বা যানি’ব অন্তলিখে । 

তথাগতং দেবমনুসপূজিতং

বুদ্ধং নমস্সামি সুবথি হোতু। 

১৬।যানীধ ভূতানি সমাগতানি ভূম্মানি বা যানি’ব অন্তলিক্‌খে । 

তথাগতং দেবমনুসপূজিত ধম্মং নমস্সামি সুবথি হোতু। 

১৭। যানীধ ভূতানি সমাগতানি ভূম্মানি বা যানি’ব অন্তলিক্‌খে। 

তথাগতং দেবমনুস পূজিতং সংঘং নম সামি সুবথি হোতু।

শব্দার্থ- (১-৪)

– এ স্থানে; যানি – যে; ভূতানি – সত্ত্বগণ; ভূম্মানি – ভূমিবাসী; অন্তলিখে – আকাশে; সৰ্ব্বে – – – – সকলে; সুমনা সুখী; ভবন্তু হোক; অথোপি – এখন; ভাসিতং – ভাষিত; সচ্চং মনোনিবেশ – সহকারে; সুণন্তু – শ্রবণ করুক; সর্ব্বে ভূতা সকল সত্ত্ব; নিসামেথ শ্রবণ কর; মানুসিযা পজায – মনুষ্যদের সাথে; রত্তো চ – রাত্রিতে; যেবা যারা; বলিং হরন্তি পূজা প্রদান করছে। মেত্তং করোথ – মৈত্রী – স্থাপন কর।

দিবা চ– দিনে; তম্মা – তদ্ধেতু; নে – তাদেরকে; অল্পমত্তা প্রমাদবিহীন হয়ে; রথ – রক্ষা কর; হুরং – – নাগলোকে; সগেসু বা অথবা স্বর্গে; যং বিত্তং – – – যে বিত্ত; যং পণীতং রতনং – যে শ্রেষ্ঠ রত্ন; আগতেন সমং – বুদ্ধ সদৃশ; নং অথি – এখানে নেই; ইদম্পি – এটাই; রতনং পণীতং – শ্রেষ্ঠ রত্ন; এতেন – সচ্চেন – এ সত্য বাক্য দ্বারা; সুবখি হোতু মকাল হোক। – – –

चय ক্ষয়প্রাপ্ত; বিরাগং – রাগহীন; অমতং – অমৃততুল্য; সমাহিতো – সমাধিস্থ; সক্যমুনী শাক্যমুনি, যদ যা; অজঝগা প্রাপ্ত হয়েছিলেন; তেন ধম্মেন সমং – সেই ধর্মের সমান; ন কিঞ্চি অধি – কিছুই নেই। –

শব্দার্থ— (৫–১)

বুদ্ধ সেঠো – বুদ্ধ শ্রেষ্ঠ; যং সমাধিং – যে সমাধিকে; সুচিং পরিনযি – পবিত্র স্থানে বসে প্রশংসা করেছেন; – সমাধিমানন্তরিকঞঞং – আনন্তরিকং – মার্গপ্রাপ্তি ক্ষণেই ফল প্রাপ্তি ধ্রুব; আহ্ল – বলেছেন; তেন সমাধিনা সমো – সে সমাধির সমান; ন বিজ্জতি – নেই; সতং – সৎলোকের; পসথা প্রশংসা প্রাপ্ত; অট্ঠ যে পুগ্‌গলা – অষ্টবিধ – পুদ্‌গলসমূহ; এতানি – এগুলো; চত্তারি চার।

যুগানি যুগ্ম; হোন্তি – হয়; তে সুগতস সাবকা সে সুগত শ্রাবকগণ; দক্ষিণেয্যা দানের উপযুক্ত-পাত্র; এতেসু সিম্নানি তাঁদেরকে প্রদত্ত বস্তু সমূহ; মহাপফলানি – মহাফলদায়ক; গোতমসাসনমূহি-ভগবান বুদ্ধের শাসনে; দগৃহেন মনসা দৃঢ়চিত্ত দ্বারা; সুপযুত্তা নিবিষ্ট চিত্ত; নিক্কামিনো-কামনাশূন্য; তে তাঁরা; অমতংবিগ্যহ অমৃতে নিমগ্ন হয়ে; পত্তিং পত্তা প্রান্তব্য বিষয় অর্থাৎ অর্হত-প্রাপ্ত হয়েছেন; মুধা – বিনামূল্যে।

লা লব্ধ; নিঝুভিং – – নির্বাণকে; ভুঞ্জমানা ভোগ করতে করতে; যথা ইন্দ্রিখীল অর্থাৎ ভূমিতে প্রোথিত স্তম্ভ বিশেষ; পঠবিযং – পৃথিবীতে; সিতোসিযা — স্থিত হয়ে; চতুবৃত্তি – চতুর্দিকের বায়ু প্রবাহ দ্বারা; অসম্পকম্পিযো কাঁপাতে অসমর্থ; যো – আর্যসত্যসমূহ; অবেচ্চ – বিশেষভাবে; পসতি – দেখেন। – – – – যখন; ইন্দখীলো যে ব্যক্তি; অরিযসচ্চানি

সম্পরিসং সৎপুরুষকে; তথুপমং – তথাবিধ; বদামি – –  বলছি; যে – যে আর্য শ্রাবকগণ; বিভাবস্তি সম্যকরূপে জ্ঞাত হয়েছেন; বুদ্ধ গম্ভীর পঞেন – গভীরপ্রাজ্ঞ বুদ্ধ কর্তৃক; সুদেসিতানি – উত্তমরূপে দেশিত; কিঞ্চাপি কোন প্রকারে; ভূসম্পমত্তা অত্যন্ত প্রমত্ত হলেও; ন অট্ঠমং ভবং আদিযপ্তি অষ্টমবার – জন্মগ্রহণ করেন না অর্থাৎ সপ্তম জন্মেই নির্বাণ প্রাপ্ত হন।

শব্দার্থ – (১০-১৭)

অস এর; দসন সম্পাদায় সহ • স্রোতাপত্তি মার্গফল লাভ করবার সংগে সংগেই; সক্কা দিঠি – – সকায় দৃষ্টি; আত্মা – শাশ্বত; বিচিকিচ্ছিতঞ্চ। সন্দেহ; সীলতং – ত্রিরত্ন ব্যতীত অন্য শরণ গমন; বাপি কিঞ্চি যদথি – অন্য কিছু থাকলেও; তযো ধম্মা জহিতা ভবস্তি – উক্ত তিন ধর্ম পরিত্যক্ত হয়; চতু’হ পায়েহি – নিরয়, তির্যক, প্রেতবিষয় ও অসুরকায় এই চার অপায় হতে; বিপ্‌পমুত্তো – বিমুক্ত; চছাভিঠানানি – ষড়বিংশ মহাপাপ, যথা পিতৃহত্যা, মাতৃহত্যা, অর্থহত্যা, বুদ্ধের রক্তপাত, সংঘভেদ ও অন্য শরণ – গ্রহণ।

কাতুং– করতে; অভব্বো – অসমর্থ; সোতাপন্ন – স্রোতাপন্ন; কায়েন— শরীর দ্বারা, উদ – অথবা, চেতসা – চিত্তদ্বারা; কিঞ্চাপি – কোনও; পাপকং কম্মং করোতি – পাপকর্ম করেন; তস পটিচ্ছাদায় অভবেবা গোপন – করতে অক্ষম; দিট্ঠপদস নির্বাণ সাক্ষাৎকারীর, অভতা পাপ গোপনে অক্ষমতা; বুত্তা হয়েছে; – – – ফুসিতগে বনপ্‌পগুম্বে – বনে বৃক্ষ গুম্মসমূহ পুষ্পিত হলে যেমন সুন্দর হয়; গিমূহান পঠম গিম্‌হে মাসে – গ্রীষ্ম ঋতুর প্রথম মাস অর্থাৎ চৈত্রমাসে।

তপমং তার ন্যায়; ধম্মবরং অদেসয়ী শ্রেষ্ঠ ধর্ম দেশনা করেছেন; বরো শ্রেষ্ঠ; বরঞজ্ঞ – নির্বান – – জ্ঞাত আছেন যিনি; বরদো বরদান করেন যিনি; বরাহরো – নির্বাণরূপ শ্রেষ্ঠ মার্গ আহরণ করেছেন যিনি; অনুত্তরো – শ্রেষ্ঠ; পুরাণং খীণং – পুরাতন কর্মাদি ক্ষয়প্রাপ্ত; নবং সম্ভবং নথি – নূতন কর্ম উৎপন্নের হেতু – নেই; বিরক্তচিত্তা – অনুরাগহীন; তে স্বীণবীজা – তাঁদের জন্ম নিরোধ হয়েছে; অবিরুলহিচ্ছন্দা পুনরায় জন্মগ্রহণে বীতস্পৃহ; ধীরা ধীর ব্যক্তিগণ; যথাযং পদীপো এ প্রদীপের ন্যায়; নিন্তি – নির্বাণ প্রাপ্ত – – হয়।

 

রতন সুত্ত

 

সারাংশ

ভূমি ও আকাশবাসী সমস্ত জীব সুখী হোক। তারা সবাই মনোযোগ সহকারে বুদ্ধবাক্য শ্রবণ করুক। জগতে বুদ্ধবাক্য দুর্লভ। মানবদের সাথে অন্যান্য প্রাণিগণ মৈত্রী স্থাপন করুক। তারা তাদের উদ্দেশ্যে দিনরাত পুণ্য বিতরণ করছে। তারা অপ্রমত্ত হয়ে মানবদের রক্ষা করুক।

ইহলোক, নাগলোকও স্বর্গে বুদ্ধের সমান শ্রেষ্ঠ রত্ন নেই। তথাগতের সমান কোনটিই নয়। সমুদয় রত্ন থেকে বুদ্ধরত্ন শ্রেষ্ঠ। এ সত্যবাক্য দ্বারা সকলের মঙ্গল হোক।

বুদ্ধের দেশিত ধর্ম তৃষ্ণাক্ষয় করে। রাগবিহীন অমৃততুল্য। সমাধির দিকে নিয়ে যায়। তার ফল অনুষ্ঠানের সংগে সংগে পাওয়া যায়। চৈত্রমাসে পুষ্পিত ফুলের ন্যায় সুন্দর। অর্থাৎ স্কন্ধ, আয়তন, শীল ও সমাধি বিভিন্ন ফুলের ন্যায় সৌরভ প্রদান করে। সমুদয় রত্ন থেকে ধর্মরত্ন শ্রেষ্ঠ। এ সত্য বাক্য দ্বারা সকলের শুভ হোক।

অষ্টবিধ সংঘপুদ্‌গল সাধুদের প্রশংসনীয়। সেই সুগত-শ্রাবকগণ দক্ষিণা ও দানের উপযুক্ত পাত্র। তাদের দান করলে মহাফল লাভ হয়। তাঁরা বুদ্ধশাসনে একাগ্রচিত্তে নিবিষ্ট ও কামনাশূন্য। অর্থগণ অমৃত পান করে নির্বাণ প্রত্যক্ষ করেছেন। নগরদ্বারস্থ শক্তিশালী স্তম্ভের মত তাদের বায়ু কম্পিত করতে পারে না। কারণ, তাঁরা চতুরার্য সত্যকে প্রত্যক্ষ করেছেন। সেই সৎপুরুষগণ ধর্মের দ্বারস্বরূপ। তাঁরা প্রমত্ত হলেও অষ্টমবার জন্মগ্রহণ করেন না। সৎকায়দৃষ্টি (আত্মজ্ঞান), সন্দেহ ও ত্রিরত্নে অশ্রদ্ধা তাদের দূরীভূত হয়েছে। চতুর্বিধ অপায় গমন থেকে মুক্ত। স্রোতাপন্ন ব্যক্তি কায়, বাক্য ও মনের দ্বারা কোন পাপ গোপন করতে পারেন না। তাঁদের পুরাতন কর্ম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। নতুন কর্ম উৎপন্নের হেতু নেই। জন্ম নিরোধ হয়েছে। তাই সেই ধীর ব্যক্তিগণ প্রদীপের মত নির্বাণপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। এ সমস্ত গুণে সংঘরত্ন শ্রেষ্ঠ।

টীকা

প্রকৃত রত্ন

বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘকে বৌদ্ধরা রত্ন হিসেবে পূজা করেন। এদের একত্রে তিরত্ন বলা হয়। এখানে রত্ন বলতে ত্রিরত্নের গুণাবলিকে বোঝাচ্ছে। পৃথিবীতে যত রত্ন আছে, তন্মধ্যে বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘ রত্নই শ্রেষ্ঠ।

আপদ- বিপদ, ভয়, রোগ দেখা দিলে মানুষেরা বন, দেবতা, বৃক্ষ প্রভৃতির শরণ গ্রহণ করে। কিন্তু এ সকল শরণ নিরাপদ নয়। উত্তম আশ্রয়ও নয়। বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘের শরণই উত্তম শরণ । শ্রেষ্ঠ আশ্রয়। এ তিনটিই প্রকৃত রত্ন। এদের গুণাবলি আবৃত্তি করলে একদিকে যেমন মঙ্গল সাধিত হয়; অন্যদিকে সর্বপ্রথম দুঃখ থেকে পরিত্রাণ লাভ করা যায়।

জগতে বুদ্ধের ন্যায় পুরুষোত্তম দুর্লভ। বৃদ্ধগণের উৎপত্তি সুখকর। সদ্ধর্মের উপদেশ মঙ্গলদায়ক। সংঘের একতা সুখকর। সেরূপ শ্রেষ্ঠ রত্নকে পূজা ও শরণ নিলে পুণ্যের পরিমাণ অসীম। আনন্দ স্থবির রতন সূত্রে ত্রিরত্নের গুণাবলি পাঠ করে বৈশালী থেকে দুর্ভিক্ষ, মহামারী, রোগ দূরীভূত করেছিলেন। বৌদ্ধদের জন্য ত্রিরত্নই প্রকৃত রত্ন।

 

রতন সুত্ত

 

অনুশীলনী

(ক) নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

১।রতন সূত্রের সারাংশ তোমার নিজের ভাষায় লেখ।

২।সমুদয় রত্ন থেকে বন্ধুরত্ন শ্রেষ্ঠ কেন? আলোচনা কর।

৩।বুদ্ধ কোন কোন শ্রেষ্ঠ ধর্ম দেশনা করেছেন? উল্লেখ কর।

8। সংঘ রত্নে শ্রেষ্ঠত্বের কারণগুলো কী কী লেখ

৫।প্রকৃত রত্ন সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লেখ।

(খ) সংক্ষেপে উত্তর দাও :

১।কোন কোন অর্থে ধর্ম অতুলনীয়?

২।সংঘকে দান করলে মহাফল হয় কেন?

৩।সংঘকে ইন্দ্রখীল স্তম্ভের সাথে তুলনা করা হয়েছে কেন?

8। সৎকায় দৃষ্টি কী ?

৫।ধীর ব্যক্তিগণ প্রদীপের মত নির্বাণ প্রাপ্ত হয়ে থাকেন। কথাটির অর্থ

৫। বুদ্ধের ধর্ম কিরূপ সুন্দর ?

(গ) অনুবাদ প্রদান কর :

যং কিঞ্চি বিত্তং ইধ বা হুরং বা সগৃগেসু বা যং রতনং পণীতং, ইনম্পি বুদ্ধে রতনং পণীতং এতেন সচ্চেন সুবথি হোতু।ননো সমং অর্থি তথাগতেন

(খ) সঠিক উত্তরে টিক (/) চিহ্ন দাও :

১। জগতে কার বাক্য দুর্লভ?

ক. দেবতার

গ. সংঘের

খ. বুদ্ধের

ঘ. সৎপুরুষের

২। বুদ্ধের দেশিত ধর্ম কী ক্ষয় করে।

ক. ভোগসম্পত্তি

খ.প্রতিপত্তি

গ. দৃষ্টিবিশুদ্ধি

ঘ. তৃষ্ণা

৩।চৈত্রমাসে পুষ্পিত ফুলের সাথে কার তুলনা করা হয়েছে?

ক. বুদ্ধ

খ.ধর্ম

গ. সংঘ

ঘ. ত্রিরত্ন

৪। সংঘপুদ্‌গল মার্গও ফলস্থ হিসেবে কত প্রকার?

ক. আট প্রকার

খ.দশ প্রকার

গ.নয় প্রকার

ঘ. বার প্রকার

৫। কোনটি প্রকৃত রত্ন

ক. মণিরত্ন

খ. কাঞ্চন

গ. ত্রিরত্ন

ঘ. নবরত্ন

৫।’অস্তেলিখে” শব্দের বাংলা অর্থ কী?

ক. অন্তর্লোক

খ.আকাশে

গ.অন্ততপক্ষে

ঘ. ভুমিতে

৬।নিকামিনো বলতে কী বোঝ?

ক. নিষ্ক্রমণ

গ. পাপশূন্য

খ. বহির্গমন

ঘ. কামনাশূন্য

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment