আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় আরবি ভাষা ও সাহিত্য শিখনের বিবেচ্য দিকসমূহ।
আরবি ভাষা ও সাহিত্য শিখনের বিবেচ্য দিকসমূহ
পৃথিবীর ভাষাসমূহের মধ্যে অন্যতম সম্মানজনক ও মর্যাদাবান ভাষা আরবি। একে সকল ভাষার জননী বলা হয়। প্রাচীনতম ভাষা ছাড়াও ধর্মীয়, ব্যবসা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাহিত্যের বিরাট বিস্তীর্ণ স্থান জুড়ে রয়েছে এ ভাষা। পৃথিবীর আটাশটি দেশের মাতৃভাষা ছাড়াও এক চতুর্থাংশ মানুষের মুখের ভাষাআরবি। যদিও ধর্মীয় কারণে-এর ব্যাপক প্রচার ও প্রসার সারা পৃথিবী জুড়ে।
আরবি ভাষা আমাদের বাংলাদেশীদের কাছে ভিনদেশী ভাষা হলেও বিশেষ করে ধর্মীয় ও ব্যবসায়িক কারণে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভাষা। মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে ধর্মীয়গ্রন্থ ও ধর্মীয় জ্ঞান বিজ্ঞানের বিখ্যাত বইগুলো এই আরবি ভাষায় রচিত। তাই আমাদের আত্মার সম্পর্ক আছে এই ভাষার সহিত। বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই আরবি ভাষার চর্চা হয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসায়িক বাজার দখলের জন্য এখন প্রতিটি পণ্যের গায়ে আরবি ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন আরবি ভাষাকে মর্যাদার আসন দিয়েছেন।
পবিত্র কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিন বলেন-
- “নিশ্চয়ই আমি কুরআনকে আরবি ভাষায় অবতীর্ণ করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পারো ।
- ‘এটা কিতাব । এর আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত আরবি কুরআন রূপে জ্ঞানী লোকদের জন্য’ ।
এছাড়াও হাদিস, ফিক্হ, জ্যোতির্বিজ্ঞান, চিকিৎসা, রসায়ন, পদার্থ, দর্শন, ভূগোলসহ সকল বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ আরবি ভাষাকে আরও সমৃদ্ধ ও সম্মানিত করেছে। বর্তমানে পৃথিবীতে অন্যতম ও শক্তিশালী ভাষা হচ্ছে আরবি। বিপুল শব্দভাণ্ডারে পরিপূর্ণ এ ভাষা নানান কারণে আজ সমগ্র পৃথিবীজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আরবি ভাষার প্রাঞ্জলতা, অসাধারণ একক বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলিতে পূর্ণ। ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে আরবি ভাষা আজ অজেয়। চারদিকে তার জয়ধ্বনি, জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্যতম ভাণ্ডারও এ ভাষা। আরবিকে Double International Language নামে ডাকা হয়। দুনিয়া ছাড়াও মুসলিমদের নিকট পরকালের ভাষাও আরবি। আর্ন্তর্জাতিকভাবে যে ভাষার সম্মান, মর্যাদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীতা অবশ্যই ব্যাপক। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই যেখানে আরবি ভাষার চর্চা হয় না বা ব্যবহার হয় না।
আরও দেখুনঃ