আরবি কবিতা (কাছিদা/নাশিদ/শের) বৈশিষ্ট্য ও শিখন-শেখানো পদ্ধতি

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় আরবি কবিতা (কাছিদা/নাশিদ/শের) বৈশিষ্ট্য ও শিখন-শেখানো পদ্ধতি – যা আরবি ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষণের পাঠদান পদ্ধতি ও কলাকৌশল এর অন্তর্ভুক্ত।

Table of Contents

আরবি কবিতা (কাছিদা/নাশিদ/শের) বৈশিষ্ট্য ও শিখন-শেখানো পদ্ধতি

 

আরবি কবিতা (কাছিদা/নাশিদ/শের) বৈশিষ্ট্য ও শিখন-শেখানো পদ্ধতি

 

কবিতা সাহিত্যের একটি শক্তিশালী ও জনপ্রিয় শাখা। রস রূপ আর ছন্দের সমন্বয়ে-এর প্রকাশ। পৃথিবীর অন্যান্য ভাষার মত আরবিতেও সাহিত্য হিসেবে প্রথমে কবিতার উদ্ভব হয়। প্রাচীন আরবের অধিবাসীরা মরুভূমির রুক্ষ জীবনের ঝড় ঝাপটায় যখন ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে পড়ত, দীর্ঘ অন্বেষণের পর নির্ঝর ও তৃণভূমির সন্ধান পেয়ে হৃদয়ে যখন শান্তির পরশ লাগত সে আনন্দঘন অনুভুতিসুর ও ভাষার অবলম্বনে প্রকাশ পেত। এভাবেই প্রচীন আরবি কবিতার সৃষ্টি হয়। আরবরা অতিমাত্রায় কবিতার প্রতি অনুরাগী ছিল।

কাব্যচর্চা ছিল আরবদের সংস্কৃতি, পেশা ও নেশা। কবিরা আরবদের দৈনন্দিন জীবনের সকল দিক ভাষার লালিত্যে ও ছন্দের আল্পনায় কাব্যে রূপ দিতেন। কালের পরিক্রমায় পাশ্চাত্যের সাথে আরবদের যোগাযোগের ফলে আরবি কবিতা নতুন নতুন রীতি ও ভাবধারা অর্জন করে। আরবি কবিতার গঠন প্রকৃতি এবং বিষয়বস্তুতে এসেছে পরিবর্তন। ফলে আরবি কবিতা আজ বিশ্ব সাহিত্যের পরিমণ্ডলে মর্যাদার আসনে সমাসীন।

পবিত্র কুরআন হাদিস অনুধাবন এবং আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য আরবি কবিতা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা একান্ত প্রয়োজন। উঁচু মানের শব্দ ও অলংকারে সুসজ্জিত বৈচিত্র্যময় ছন্দে রূপ রসময় প্রকাশিত আরবি কবিতা শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষককে ভাব, রস, অলংকার, ছন্দ ও শব্দের গাঁথুনির প্রতি সচেতন থাকতে হবে এবং উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে শিখন-শেখানো কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।

কবিতা

কবিতার আরবি প্রতিশব্দ হলো হলো الشعر। এর আভিধানিক অর্থ অনুধাবন করা (الشعورواإلحساس), জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা (والفطنة العلم)। প্রকৃতপক্ষে কবিতা বা  شعر হলো- অন্তরের ভাষা, হৃদয়ের গভীর থেকে নিঃসরিত আবেগ অনুভুতির স্বতঃস্ফুর্ত ছন্দোবদ্ধ প্রকাশ। الشعر-এর পারিভাষিক সংজ্ঞা দিতে গিয়ে আহমাদ হাসান আয- যায়্যাত তারীখুল আদাবিল আরাবি গ্রন্থে বলেন;

الشعرهوالكالمالموزونالمقفىالمعبرعناالخليةالبديعةوالصورالمؤثرةالبليغة  অর্থাৎالشعرসেই ছন্দোবদ্ধ ও মিলযুক্ত বাক্যকে বলে, যা বিরল অনবদ্য চিন্তা, নতুন কল্পনা এবং অর্থপূর্ণ চিত্র ফুটিয়ে তোলে। ঐতিহাসিক জুরজী যায়দান বলেন; ; الشعرهولغةالنفسأوهوصورةظاهرةلحقائقغيرظاهرة অর্থাৎ কবিতা হলো অন্তরের ভাষা বা হৃদয়তন্ত্রী থেকে প্রচ্ছন্ন বিষয়াদিকে যথাযথভাবে প্রকাশ করে তোলা। সাহিত্য সমালোচক নাসিফ আল ইয়াযিজী বলেন; بهالوزنوالقافية الشعركالميقصد অর্থাৎ কবিতা বা شعر এমন একটি অর্থবহ বাক্য যা দ্বারা قافية وزن   উদ্দেশ্য ।

আরবি কবিতার বৈশিষ্ট্য

যুগের পরিবর্তনে কবিতার রূপ সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হয়। একজন কবি তাঁর যুগে যে শিল্প সৌন্দর্যের বাহক অন্য যুগে আরেক কবি অনুরূপ নয়। তাই কবিতা এক যুগ থেকে আরেক যুগে রূপান্তরিত হয় নতুন আঙ্গিকে ও বৈশিষ্ট্যে। জাহিলি যুগ এবং আধুনিক যুগের আরবি কবিতাও ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। আবার আরবি কবিতার বৈশিষ্ট্যসমূহকে দুইভাগে ভাগ করা যায় যথা শব্দগত বৈশিষ্ট্য ও অর্থগত বৈশিষ্ট্য।

জাহিলি যুগের আরবি কবিতার শব্দগত বৈশিষ্ট্য

  • জাহিলি যুগের আরবি কবিতার শব্দ সংযোজন পদ্ধতি অত্যন্ত উন্নত ছিল। কবিগণ আরবি ব্যাকরণের নিয়মানুসারে একটি শব্দ তার নির্দিষ্ট স্থানের অগ্রে ও পশ্চাতে ব্যবহার করতেন।
  •  কবিতাকে শ্রুতি মধুর ও পরিপক্ক করার জন্য কবিগণ এক শব্দের স্থলে অন্য শব্দ ব্যবহার করতেন।
  • জাহিলি যুগের কবিতার অলঙ্কারিক মান ছিল অতি উন্নত। কবিতার নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশের জন্য কবিগণ استعارة ،كناية ،تشبيه ،مجاز ،حقيقة প্রভৃতির আশ্রয় নিতেন।
  • কবিতাকে উৎকৃষ্ট মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে অলংকার শাস্ত্রের অন্তর্গত শব্দ ও অর্থ মাধুর্যের প্রতি বিশেষ নজর দিতেন।
  • জাহিলি যুগের কবিতায় অপ্রচলিত ও দুর্বোধ্য শব্দের প্রাচুর্য লক্ষ্য করা যায়। সে সময়ের কবিগণ কঠিন ও অপ্রচলিত শব্দ দিয়ে কবিতা রচনা করাকে নিজেদের কৃতিত্ব মনে করতেন।
  • আধুনি আরবি কবিতার রচনাশৈলী পূর্বের তুলনায় সহজ।
  • শব্দ সংযোজন পদ্ধতি ছিল সহজ, সরল, প্রাঞ্জল ও সাবলীল।
  • নতুন এবং বিদেশি শব্দ ও প্রবাদ প্রবচন দ্বারা সমৃদ্ধ । কৃত্রিম আলঙ্কারিক অতিরঞ্জনের গণ্ডি থেকে মুক্ত এবং অধিকতর স্পষ্ট শব্দের বাহুল্য, দুর্বোধ্যতা ও সুষমাহীনতাকে পরিহার করা হয়েছে। ও সহজবোধ্য ।
    শব্দ সুষমা, অর্থের দ্যোতনা ও সাবলীলতার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
  • কবিরা আধুনিক জীবনযাত্রা থেকে তাঁদের রচনাশৈলী, উপস্থাপনা পদ্ধতি ও ভাবধারা গ্রহণ করেছেন।

জাহিলি যুগের আরবি কবিতার অর্থগত বৈশিষ্ট্য

  • জাহিলি যুগের আরবি কবিতাগুলো ছিল দীর্ঘ আকৃতির এবং গীতিমূলক ।
  • এ যুগের আরবি কবিতা কৃত্রিম তথা কল্পনা বিলাসের আল্পনায় অতিরঞ্জন হতে মুক্ত ।
  • কবিগণ সত্য ও সঠিক ঘটনাকে ইতিহাসের মত কবিতার ভাষায় বর্ণনা করতেন।
  •  অনাড়ম্বর ও কৃত্রিমতা বিবর্জিত।
  • জাহিলি যুগের কবিতায় কবিদের নিজস্ব আন্তরিক অনুভূতি সবচেয়ে বেশি ফুঠে উঠেছে।
  • মরু পরিবেশের বর্ণনার আধিক্য দেখা যায়। এ যুগের কবিতার বিষয়বস্তু ছিল নারীর রূপ সৌন্দর্য, প্রেম প্রীতি, উপত্যকার চিত্র, বাহনের প্রশংসা, বংশ গৌরব, যুদ্ধ, মদ, স্তুতিও শোক ইত্যাদি।সর্বোপরি বলা যায়,
  • রচনাশৈলির চমৎকারিত্বে, ভাষার মাধুর্যে, ছন্দের গতিময়তায়, শব্দ চয়নের অপূর্ব
  • কৌশলে ধ্বনির মোহনীয় ঝংকারে, কল্পনার অপূর্ব বিলাসে, উপমার বৈচিত্রে, উৎপ্রেক্ষা রূপকের লালিত্যে,
  • বর্ণনার বর্ণাঢ্যেও মাদকতায় জাহিলি যুগের আরবি কবিতাগুলো অনন্য ।

আধুনিক যুগের আরবি কবিতার অর্থগত বৈশিষ্ট্য

  • আধুনিক যুগে আরবি কবিতার ভাব ও রচনারীতির প্রভূত উন্নতি হয়।
  • আরবীয় সংস্কৃতি ও ভাবধারার পাশাপাশি কবিতায় অনেক নতুন নতুন বিদেশী ভাব ও মর্ম সংযোজন করা হয়।
  • দার্শনিক চিন্তাধারাকে কবিতায় সংযোজন করা হয়।
  • চিরাচরিত বিষয়সমূহের পাশাপাশি জাতীয় জাগরণ, স্বদেশপ্রেম, সামাজিক সমস্যা, প্রকৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয়বস্তুর অবতারণা করা হয়।

শিক্ষার্থী বন্ধুরা এবার প্রচীন ও আধুনকি আরবি কবিতার মধ্যকার পাঁচটি পার্থক্য বের করুন।

শ্রেণিতে আরবি কবিতা পাঠদানের উদ্দেশ্য

  • শিক্ষার্থীদের আরবি সাহিত্যের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার-এর সাথে পরিচয় করা।
  • উৎকৃষ্ট শব্দ ও শব্দের বহুমূখী ব্যবহারের সাথে পরিচিত করা ।
  •  আরবি ছন্দ, রূপক, উপমা, উৎপ্রেক্ষা ইত্যাদি আলংকারিক বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া ।
  • আরবি কবিতা পাঠে উদ্বুদ্ধ করা।
  •  আরবি কবিতার কাব্যরস আস্বাদনে সহায়তা করা।
  • সুমধুর আবৃত্তিতে দক্ষ করে তোলা এবং কবিতার বিষয়বস্তু, ভাব উপলব্ধি করানো ।
  • আরবীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও জীবনধারা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।
  •  আরবি শব্দ ভাণ্ডার বৃদ্ধি করা।
  • আরবি কবিতা লিখতে উৎসাহিত করা।

আরবি কবিতা শিখন-শেখানো কৌশল

পাঠদান কার্যক্রমে উপস্থাপন ও পাঠদান পদ্ধতি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। বিষয়বস্তু সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও উপযুক্ত পদ্ধতির অভাবে এবং উপস্থাপনের ত্রুটির কারণে শিক্ষক অনেক সময় শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন না। কবিতার ক্ষেত্রেও-এর ব্যতিক্রম নয়। তাই শ্রেণি শিক্ষার্থীদের সামর্থ কবিতার বিষয়বস্তু ইত্যাদি বিবেচনা করে পূর্ব থেকে পরিকল্পনা নিয়ে অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি ও কৌশল নির্ধারণ করেই শিক্ষককে শ্রেণিতে আরবি কবিতা পাঠদান করতে হবে। নিম্নে আরবি কবিতা পাঠদানের সাধারণ ধাপগুলো উল্লেখ করা হলো।

১. মানসিক প্রস্তুতি:

প্রথমে পঠিতব্য কবিতা ও কবি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের আগ্রহকে জাগরিত করে পাঠ গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তুলতে হবে।

২. পাঠ ঘোষণা:

প্রয়োজনীয় প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পূর্বজ্ঞান যাচাই করে কবিতার শিরোনাম ঘোষণা করবেন।

৩. কবি পরিচিতি:

যে কোনো কবিতার প্রথম অংশ পাঠদানের দিন পাঠ ঘোষণা করার পর পরই কবি পরিচিতি তুলে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষক কবির পরিচয় সম্পর্কে ২/১ মিনিটের মিনি লেকচার দিবেন। এরপর শিক্ষার্থীদেরকে কবি পরিচিতি অংশ (পাঠ্য বই এ থাকলে) পড়ে খাতায় তথ্য ছক তৈরি করতে বলবেন। পরে শিক্ষার্থীরা উপস্থাপন করলে শিক্ষক প্রয়োজনীয় ফলাবর্তন দিবেন ।

৪. আদর্শ পাঠ/আবৃত্তি :

শিক্ষক কবিতার নির্বাচিত অংশ উচ্চারণ, ছন্দ, ওযন ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে প্রয়োজনীয় অঙ্গভঙ্গি সহকারে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে পাঠ করে শুনাবেন এবং শিক্ষার্থীরা বই খুলে শিক্ষকের আদর্শ পাঠ অনুসরণ করবে।

 

আরবি কবিতা (কাছিদা/নাশিদ/শের) বৈশিষ্ট্য ও শিখন-শেখানো পদ্ধতি

 

৫. তুলনাকরণ:

কবিতা পঠনকে আকর্ষণীয়, সরস, সফল ও সার্থক করার জন্য প্রাসঙ্গিকভাবে অন্যান্য কবিতাও (আরবি/বাংলা/ইংরেজি) শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করবেন।

৬ . উচ্চারণ অনুশীলন:

আরবি কবিতা পাঠে শুদ্ধ উচ্চারণ অত্যাবশ্যক। অশুদ্ধ উচ্চারণ পঠনকে শ্রুতিকটু করে অর্থবোধে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এবং ভাব উপলব্ধি কঠিন হয়ে পড়ে। তাই উচ্চারণ ভুল হতে পারে এ ধরণের শব্দগুলো সঠিক উচ্চারণে অনুশীলন করাতে হবে।

৭. শব্দার্থ শেখানো:

শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে কবিতার পঠিত অংশ থেকে নতুন/অজানা শব্দগুলো বের করতে বলবেন। শিক্ষার্থীদের দ্বারা নির্বচিত শব্দগুলো বোর্ডে লিখে সেগুলোর অর্থ বের করবেন। শিক্ষক প্রয়োজনে সহায়তা করবেন ।

৮. কবিতার বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ:

এ পর্বে শিক্ষক কবিতার বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করে দিবেন এবং পুরো পাঠের মূল বিষয়গুলো সংক্ষেপে উপস্থাপন করবেন। এরপর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন কলাকৌশলভিত্তিক কাজ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে পাঠের প্রকৃতি বিবেচনায় রেখে কাজগুলো নির্বাচন করতে হবে। যেমন: বাক্য গঠন ও বাক্যের বহুমূখী ব্যবহার, কাওয়ায়েদের প্রয়োগ ও অনুশীলন, কবিতার চরণের ব্যাখ্যা করা, মূলভাব বা সারাংশ লিখন ইত্যাদি ।

৯. সুষ্ঠু আবৃত্তি:

সুষ্ঠু আবৃত্তি কবিতার বিষয়বস্তুকে উপলব্ধির স্তরে নিয়ে যায়।ইহা বাগযন্ত্রের আড়ষ্ঠতা দূর করে এবং মনে সৃষ্টির আনন্দ ছড়িয়ে দেয়। তাই শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানের আবৃত্তি অনুশীলন করাবেন।

১০. ভাব ও রস উপলব্ধি:

সব কবিতাই কোনো না কোনো ভাব সঞ্জাত। কবিতা পাঠনে শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠের অনুভুতি ও রসবোধ জাগ্রত করতে হবে, যেন শিক্ষার্থী কবিতার নির্দিষ্ট ভাব উপলব্ধি করতে পারে এবং তাদের মনে সঞ্চারিত হয় ঐ ভাব সংশ্লিষ্ট রসটি ।

 

আরবি গদ্য (নাসর / প্রবন্ধ/নিবন্ধ) বৈশিষ্ট্য ও পাঠদান পদ্ধতি

 

১১. ছন্দবোধ জাগানো:

আরবি কবিতা বৈচিত্র্যময় ছন্দের দ্বারা স্পন্দিত। ছন্দ অনুযায়ী কবিতার গতিবেগ স্বতন্ত্র হয়। তাই শিক্ষার্থীদের আরবি ছন্দের ব্যপারে সচেতন করে তুলতে হবে।

১২. মূল্যায়ন:

শিক্ষক প্রয়োজনীয় প্রশ্নের অবতারণা করে শিক্ষার্থীদের অর্জন যাচাই করবেন।

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment