আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় আরবি ভাষার দক্ষতা শিক্ষাদান পদ্ধতি।
আরবি ভাষার দক্ষতা শিক্ষাদান পদ্ধতি
আরবি, কুরআনুল কারীম, হাদিস ও ইসলামি সংস্কৃতির ভাষা। কুরআন ও হাদিসের গুঢ় রহস্য উদঘাটন করতে হলে আরবি ভাষা শিক্ষা করা অবশ্যই কর্তব্য। ইহা ছাড়াও আরবি ভাষা সভ্যতার ভাষা, প্রগতির ভাষা ও পরস্পর সম্পর্ক সমুন্নত রাখার ভাষা। ইহা মুসলমানদের এবাদতের ভাষা।
এ ভাষা ব্যতীত মুসলমানদের এবাদত করা সম্ভব নয়। তাই আরবি-ভাষা শিক্ষা করা অবশ্য আবশ্যক। এ জন্যই সাম্প্রতিক সময়ে, আরব- অনারব সকল স্থানে দ্বীনি মাদরাসা এবং নানা ধরণের আরবি ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র ও ইনস্টিটিউট গড়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। মোট কথা, সকল মুসলিম রাষ্ট্রেই আরবি-ভাষার ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। যেমন— বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন মুসলিম, অমুসলিম রাষ্ট্রে এ কার্যক্রম ক্রমান্নয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরবি ভাষা শিক্ষা অর্জন করতে হলে আরবি-ভাষার চারটি দক্ষতা আয়ত্বে আনতে হবে। দক্ষতা চারটি যথা: শুনা, বলা, পড়া ও লেখা ।
মানুষের পারস্পরিক ভাবের আদান প্রদান বা দৈনন্দিন যোগাযোগের ক্ষেত্রে শ্রবণ দক্ষতা বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। যে কোন ভাষায় শ্রবণ দক্ষতা অর্জন করতে হলে— সর্বপ্রথম প্রয়োজন মনযোগ দিয়ে শোনা। গৃহপরিবেশে শোনার সুযোগ পেলে- ভাষা দক্ষতা অর্জনের ভিত রচিত হয়। ক্রমান্বয়ে সেই ভাষা ব্যবহার করে নিজের প্রয়োজন ও চাহিদা প্রকাশ করতে পারে। শিশুরা তাদের আপন-আপন পরিবেশ থেকে যেভাবে আলাপ-চারিতা শুনে অনুকরণ করে, সেভাবেই নিজ ইচ্ছা- অনিচ্ছা ও চাহিদার প্রকাশ ঘটায়।
শিশুর বয়স যতই বাড়ে, ততই সে উপযুক্ত শব্দ ব্যবহারের মাধমে বাক্য গঠন করে এবং ভাষা ব্যবহারে দক্ষতা ও নিপুনতা অর্জন করে। তাই শিশুর ভাষা দক্ষতার বিকাশে শ্রবণ দক্ষতা’ অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ, শোনার সুযোগ হলে- বলার আগ্রহ (Interest in Speaking)সৃষ্টি হবে। পরবর্তীকালে শুদ্ধভাবে লিখে প্রকাশ করতে পারবে। শিক্ষার্থীর শোনা বা শ্রবন দক্ষতার ওপর নির্ভর করে শিখন-শিখানো কার্যাবলির সাফল্য ।
আরও দেখুনঃ