আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় শিক্ষার্থীর আরবি ভাষার কাওয়ায়েদ (নাহু ও ছরফ)-এ পারদর্শিতা উন্নয়ন এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি ও কলাকৌশল।
শিক্ষার্থীর আরবি ভাষার কাওয়ায়েদ (নাহু ও ছরফ)-এ পারদর্শিতা উন্নয়ন এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি ও কলাকৌশল
ভূমিকা
ভাষার অন্যতম উপাদান হলো- ব্যাকরণ। প্রত্যেক ভাষারই ব্যাকরণ আছে। প্রতিটি ভাষা বোঝার জন্য সেই ভাষার ব্যাকরণ জানা অবশ্যম্ভাবী। ইসলামের মূল গ্রন্থ কুরআন হাদিস, আরবি ভাষায় অবতীর্ণ ও লিখিত হয়েছে। এসব মূলগ্রন্থ আরবি ব্যাকরণ জানা ছাড়া উপলব্ধি দুস্কর।
সুতরাং আমাদের মধ্যে যারা আরবি ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করতে চায়, কুরআন-হাদিস জানতে, বুঝতে, ইসলাম ধর্মের খেদমত এবং প্রচার প্রসার করতে চায়- তাদের জন্য আরবি ব্যাকরণ জানা প্রয়োজন। এটি বিশ্বের একটি সুপ্রাচীন, শীর্ষ ও সমৃদ্ধ ভাষা। এ ছাড়া ভাষাটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পারস্পরিক যোগাযোগের ভাষা। তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক ভাষা হওয়ায় এর ব্যাকরণ জানা অত্যন্ত জরুরি |
সমগ্র আরব বিশ্ব জুড়ে এই উপভাষাগুলি প্রচলিত এবং আধুনিক আদর্শ আরবি ইসলামী বিশ্বের সর্বত্র পড়া ও লেখা হয়। আধুনিক আদর্শ আরবি চিরায়ত আরবি থেকে উদ্ভূত। মধ্যযুগে আরবি গণিত, বিজ্ঞান ও দর্শনের প্রধান বাহক ভাষা ছিল। বিশ্বের বহু ভাষা আরবি থেকে শব্দ ধার করেছে।
ইসলামের আবির্ভাবের ঠিক আগের যুগে আরব উপদ্বীপে আরবি ভাষার উৎপত্তি ঘটে। প্রাক-ইসলামী আরব কবিরা যে আরবি ভাষা ব্যবহার করতেন, তা ছিল অতি উৎকৃষ্ট মানের। তাদের লেখা কবিতা মূলত মুখে মুখেই প্রচারিত ও সংরক্ষিত হত। আরবি ভাষাতে সহজেই বিজ্ঞান ও শিল্পের প্রয়োজনে নতুন নতুন শব্দ ও পরিভাষা তৈরি করা যেত এবং আজও তা করা যায়।
ইসলামের প্রচারকেরা ৭ম শতাব্দীতে আরব উপদ্বীপের সীমানা ছাড়িয়ে এক বিশাল আরব সাম্রাজ্য গড়তে বেরিয়ে পড়েন এবং প্রথমে দামেস্ক ও পরে বাগদাদে তাদের রাজধানী স্থাপন করেন। এসময় ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী এক বিশাল এলাকা জুড়ে আরবি প্রধান প্রশাসনিক ভাষা হিসেবে ব্যবহার করা হত। ভাষাটি বাইজেন্টীয় গ্রিক ভাষা ও ফার্সি ভাষা থেকে ধার নিয়ে এবং নিজস্ব শব্দভাণ্ডার ও ব্যাকরণ পরিবর্তন করে আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।
আরও দেখুনঃ