আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে পাঠ পরিকল্পনা।
আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে পাঠ পরিকল্পনা
ভূমিকা
জীবনের প্রতিটি কাজ সুষ্টুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন পূর্ব পরিকল্পনা। প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা ছাড়া কোনো কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন করা যায় না। শিক্ষা ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। শিক্ষকের প্রধান কাজ শ্রেণি শিক্ষণকে ফলপ্রসূ ও কার্যকর একটি পাঠ পরিকল্পনা প্রয়োজন। পাঠের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখে সফলভাবে পাঠদান সমাপ্ত করার ক্ষেত্রে পাঠ পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই। পাঠের শিখনফল, প্রয়োজনীয় উপকরণ, পদ্ধতি কৌশল ও মূল্যায়নসহ নানা দিক এর অন্তর্ভূক্ত থাকে। কোনো একটি পাঠ শেষে শিক্ষার্থী যে সুনির্দিষ্ট জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করবে বলে ধরে নেওয়া হয় তার বিবৃত রূপই হলো শিখনফল।
আবার কোনো প্রতিষ্ঠানের বছরব্যাপী পাঠদান কার্যক্রমের একটি ধারাবাহিক কর্ম-পরিকল্পনা থাকা উচিত। আরবি বিষয়ের পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে পাঠ্যসূচি, পাঠ্যপুস্তক, শিখনফল, বিভিন্ন উপকরণ বিশেষত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, বিষয়বস্তু উপযোগী পদ্ধতি ও কৌশলের প্রয়োগ, শিক্ষার্থী সংখ্যা, শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ প্রভৃতি বিবেচনায় রাখা আবশ্যক। এ সকল বিবেচনায় রেখে আলোচ্য ইউনিটকে নিম্নবর্ণিত শিরোনামভিত্তিক চারটি পাঠে বিভক্ত করা হয়েছে।
আরবি লিপি ডান থেকে বাম দিকে লেখা হয়। ২৯টি বর্ণ বা হরফের এই লিপিতে কেবল ব্যঞ্জন ও দীর্ঘ স্বরধ্বনি নির্দেশ করা হয়। আরবিতে বড় হাতের ও ছোট হাতের অক্ষর বলে কিছু নেই। আরবি লিপি এক অক্ষরের সাথে আরেক অক্ষর পেঁচিয়ে লেখা হয়।
প্রতিটি বর্ণের একাধিক রূপ আছে, যে রূপগুলি বর্ণটি শব্দের শুরুতে, মাঝে, শেষে নাকি আলাদাভাবে অবস্থিত, তার উপর নির্ভর করে। কতগুলি বর্ণ একই মূল রূপের উপর ভিত্তি করে লেখা হয় এবং বিন্দুর সংখ্যা দিয়ে একে অপরের থেকে পৃথক করা হয়।
আরও দেখুনঃ