পাঠ পরিকল্পনায় পাঠ্যপুস্তক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় পাঠ পরিকল্পনায় পাঠ্যপুস্তক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার – যা আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে পাঠ পরিকল্পনা এর অন্তর্ভুক্ত।

পাঠ পরিকল্পনায় পাঠ্যপুস্তক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার

 

পাঠ পরিকল্পনায় পাঠ্যপুস্তক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার

 

পাঠ পরিকল্পনায় পাঠ্যপুস্তকের ব্যবহার

শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ার প্রথম উপদান হচ্ছে পাঠ্যপুস্তক। যত উপকরণ বা শিক্ষা সহায়ক সামগ্রী আছে তার প্রধান উপকরণ এটি। পাঠ্যপুস্তক-এর মাধ্যমে শিক্ষক দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। শিক্ষাক্রমের উদ্দেশ্য এই পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। শিক্ষার্জনের ধারাবাহিকতা, আগ্রহ, প্রতিযোগিতা সবই পাঠ্যপুস্তক নির্ভর ।

পাঠ্যসূচি শ্রেণিভেদে বয়স, মেধা, স্বাস্থ্য ও মানসিক উন্নয়নের সাথে সাথে জাতি গঠনে-এর ভূমিকা পালন করে । তাই পাঠ্যপুস্তকের সঠিক ব্যবহার আবশ্যক। পাঠ্যপুস্তকের সূচি অনুসারে শিক্ষক ভালোভাবে বুঝে-শুনে যথাযথভাবে পাঠপরিকল্পনা তৈরি করবেন। আমরা জানি, সুষ্ঠুভাবে দৈনন্দিন শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুসন্নিবেশিত পদ্ধতি অবলম্বন করে যে রূপরেখা তৈরি হয় তাই পাঠ পরিকল্পনা।

পুস্তক ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়। ধারাবাহিকভাবে পাঠ কার্যক্রম এগিয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা আনন্দপূর্ণভাবে পাঠে মনোযোগ দিতে পারে। এভাবে তাদের মধ্যে ছোট ছোট প্রশ্ন তৈরি করে পাঠ্য বিষয়ের মূল ভাব বা বার্তা তাদের কাছে সহজেই পৌঁছানো যায়। সবল, দুর্বল, মনোযোগী, অমনোযোগী শিক্ষার্থী একত্রিতভাবে জ্ঞানার্জনে সক্ষম হয়।

 

পাঠ পরিকল্পনায় পাঠ্যপুস্তক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার

 

পাঠ পরিকল্পনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার

আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ছাড়াও দূরবর্তী স্থানে থেকেও পাঠদান সম্ভব এবং ফলপ্রসূ হচ্ছে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ব্যবহারের জন্য যা প্রয়োজন

১. কম্পিউটার বা ল্যাপটপ;
২. প্রজেক্টর, মডেম,
৩. ইন্টারনেট সংযোগ; পেন-ড্রাইভ;
৪. এম.এস. ওয়ার্ড ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানা;
৫. যথাসময়ে ক্লাসে উপস্থিতি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) ব্যবহার করে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন (Power Point Presentation)-এর মাধ্যমটি শিক্ষায় অধিক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। স্লাইডে ছবি, চিত্র, অডিও-ভিডিও সংযোজনের সুবিধা ছাড়াও নিজের ইচ্ছামত বিভিন্ন চিত্র বা গ্রাফিক্স তৈরী করে শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী উপস্থাপন করতে পারেন।

পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের (Power Point Presentation) মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়ানোর সাথে সাথে তাদের বিষয় সম্পর্কে ব্যাপক স্পষ্ট ধারণা দেয়া সম্ভব। এতে শিক্ষকও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। তেমনি শিক্ষার্থীরাও আত্মবিশ্বাসী ও সৃজনশীল চিন্তা-চেতনার ব্যাপকতা অর্জন করেন।

পাঠ পরিকল্পনার ধাপগুলো সঠিকভাবে প্রণয়ন করে শিক্ষক ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাণ করতে পারবেন। এতে সময় বাঁচানো ছাড়াও অনেক জটিল বিষয় ভিডিও বা ছবির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বুঝাতে সক্ষমতা অর্জন করবেন। ডিজিটাল কনটেন্ট যেভাবে শ্রেণিকক্ষে উপস্থাপন করবেন ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরির জন্য MS Power Pointপ্রোগ্রামটি খুবই জনপ্রিয়। নিম্ন ধাপ অনুযায়ী এটি তৈরি করতে হয়।

 

পাঠ পরিকল্পনায় পাঠ্যপুস্তক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার

 

পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে (Power Point Presentation) গিয়ে Slide/File Open করে-

১. পরিচিতি ও শুভেচ্ছা বিনিময়
২. বিষয় ধারণার জন্য একটি ছবি, অডিও, ভিডিও ক্লিপ
৩. বিষয় শিরোনাম;
৪. শিখনফল;
৫. পূর্বপাঠ আলোচনা;
৬. বিষয় উপস্থাপন;
৭. দলীয় কাজ;
৮. পাঠ মূল্যায়ন;
৯. বাড়ির কাজ;
১০. সমাপনী/ধন্যবাদ জ্ঞাপন।

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment