আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় পাঠ আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা – যা আরবি ভাষা ও সাহিত্য পাঠদানে শ্রেণিকক্ষ পরিচালনা ও শিক্ষকের আত্ম-উন্নয়ন এর অন্তর্ভুক্ত।

আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা

 

আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা

 

উন্নত পরিকল্পনা

যথাযথ ব্যবস্থাপনা কোন কাজে সফলতা লাভের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। শিক্ষণকে মূলত একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং শ্রেণিকক্ষ হলো একটি জটিল জগৎ। এ জটিল প্রক্রিয়া ও জটিল জগৎ নিয়েই শ্রেণিকক্ষে একজন শিক্ষকের কাজ সম্পন্ন করতে হয়। আবার একটি দেশের মানসম্পন্ন শিক্ষার সুতিকাগার হচ্ছে শ্রেণিকক্ষ ।

একটি জাতির ভবিষ্যৎ অনেকাংশে শ্রেণিকক্ষসমূহের উপর নির্ভরশীল। অন্যান্য পাঠ্য বিষয়ের ন্যায় আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ের শ্রেণিকক্ষে ও সফল ও সার্থক শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পূর্বের অধিবেশনে আমরা শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার ধারণা, শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রসমূহ, শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে শিখন-শেখানো ব্যবস্থাপনা এবং অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জেনেছি। এ অধিবেশনে আমরা আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করবো ।

আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল

আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যস্থাপনার মূল উদ্দেশ্য হলো শ্রেণিকক্ষে এ বিষয়ের শিখন-শেখানোর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর এ অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসেবে আসনবিন্যাস থেকে শুরু করে এ বিষয়ের শ্রেণিকক্ষের ভৌত সুবিধাসমূহ, সহায়ক সামগ্রী, শ্রেণিকক্ষের শৃঙ্খলা, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আচরণ, নির্দেশনা, শ্রেণিকক্ষে শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি ও কৌশল ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।

গতানুগতিক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার কলাকৌশল থেকে অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার বিশেষ বিশেষত্ব হলো এ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা শিখন-শেখানো কার্যক্রমে শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণকে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে। এ জন্য অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনার কলাকৌশল মূখ্য বিবেচ্য বিষয়।

তাই শ্রেণিকক্ষকে অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষে পরিণত করার পরিকল্পনায় শিক্ষকের বিষয় জ্ঞান থেকে শুরু করে অংশগ্রহমূলক পাঠ পরিকল্পনা, অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি ব্যবহারের দক্ষতা, প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রস্তুতি, অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, কাজে জড়িত রাখা/ব্যাপৃতকরণ, মনস্তাত্ত্বিবক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে উৎসাহিতকরণ, উপকরণ, শিক্ষার্থীদের সক্রিয় করা ও শিখন সহায়ক সামগ্রীর ব্যবহার, অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির আসন ব্যবস্থাপনা, সময় ব্যবস্থাপনা, শ্রেণি নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা, বৈচিত্রময় কৌশল ব্যবহার, একীভূতকরণ প্রক্রিয়া, শ্রেণিতে যোগাযোগ, শিক্ষার্থীদের কাজ পরিবীক্ষণ, শিক্ষকের নির্দেশনা, ফলাবর্তন, শিখন মূল্যায়ন কৌশল ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়।

আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় বিবেচ্য কতিপয় বিষয় সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো:

বিষয় জ্ঞান

শিক্ষকতার জন্য বিষয় জ্ঞানের কোন বিকল্প নেই। বিষয়বস্তুর উপস্থাপনে পদ্ধতি জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োগের জন্যে বিষয় জ্ঞান পূর্বশর্ত। তাই আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ের শ্রেণিতে অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্যে ও সবার আগে চাই বিষয় জ্ঞান।

বিষয় জ্ঞানের ভিত্তিতেই একজন শিক্ষক নির্ধারণ করতে সক্ষম হবেন তিনি কোন কোন পদ্ধতি ও কৌশল ব্যবহার করবেন এবং তা কখন, কীভাবে করবেন। বিষয় জ্ঞান এর ভিত্তিতেই তিনি পরিকল্পনা করবেন কীভাবে শিখন বিষয়কে সমস্যা আকারে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরে তাদেরকে সে সমস্যা সমাধানে ব্যপৃত করা যায় কিংবা শ্রেণির কাজসমূহকে কীভাবে শিক্ষার্থীদের জীবন ও অভিজ্ঞতার সাথে সংশ্লিষ্ট করে সমাধান করতে দেওয়া যায় ইত্যাদি। বিষয় জ্ঞানে দূর্বলতা কিংবা ঘাটতি থাকলে শিখন-শেখানো কাজে যথাযথভাবে অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি ও কৌশল পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করা যায় না ।

অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির দক্ষতার উন্নয়ন

আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষণ-শিখন কাজে অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হলে সবার আগে এ পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষকের সুস্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার এবং এ পদ্ধতি প্রয়োগের দক্ষতা ও কৌশল অর্জন করা প্রয়োজন। অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনায় পারদর্শিতা অর্জনের একটি সহজ উপায় হলো এ পদ্ধতি প্রয়োগে দক্ষ সহকর্মী শিক্ষকদের অধিবেশন পর্যবেক্ষণ করা। আবার এ পদ্ধতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অর্জন ও তা অনুধাবন করে পরিকল্পিত অনুশীলনের মাধ্যমে এ পদ্ধতি প্রয়োগের দক্ষতাসমূহ অর্জন করা যেতে পারে।

অনুশীলন প্রক্রিয়াটি যথাক্রমে পরিকল্পনা প্রণয়ন, অনুশীলন, নানা কৌশলে ফিডব্যাক গ্রহণ, পুনঃপরিকল্পনা প্রণয়ন, পুনঃঅনুশীলন ও পুনঃফিডব্যাক গ্রহণ- এভাবে চক্রাকারে অবর্তিত হতে পারে। মূলত অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি ব্যবহারে শিক্ষকের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমেই এ পদ্ধতির ফলপ্রসূ প্রয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়। দক্ষতার সাথে সাথে এ পদ্ধতির প্রতি শিক্ষক— শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় দৃষ্টিভঙ্গিরও প্রয়োজন।

অর্থাৎ, অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমত একজন শিক্ষকের দৃষ্টিভঙ্গি হতে হবে ইতিবাচক। তাকে সময়ানুবর্তিতার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ জাগ্রত করতে হলে তাকে নিজেকেও শৃঙ্খলার চর্চা করতে হবে। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে না পারলে অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি ও কৌশল ফলপ্রসূভাবে শ্রেণিকক্ষে বাস্তবায়ন করা যায় না।

অংশগ্রহণমূলক পাঠ পরিকল্পনা

অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিবেচ্য দিক হলো অংশগ্রহমূলক পাঠ পরিকল্পনা। কারণ পাঠ পরিকল্পনায় অন্যান্য বিষয়ের সাথে পরিকল্পিতভাবে নির্ধারণ করা হয় পাঠ উপস্থাপনে ব্যবহার্য পদ্ধতি ও কৌশল সম্পর্কে। পাঠ পরিকল্পনায় শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের বিষয়টি ও বিবেচনায় রাখতে হবে।

অংশগ্রহমূলক পদ্ধতিতে পাঠ উপস্থাপনের পূর্বশর্ত হিসেবে পাঠ পরিকল্পনায় অনিবার্যভাবে অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির অবতারণা ও অনুসরণ করা প্রয়োজন। এ পাঠ পরিকল্পনায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করানোর বৈচিত্র্যময় ও উপযোগী কলাকৌশল ও কার্যক্রমের রূপরেখার ইঙ্গিত থাকবে। তাই গতানুগতিক পাঠ পরিকল্পনা থেকে অংশগ্রহমূলক পাঠ পরিকল্পনা আলাদা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।

প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রস্তুতি

অংশগ্রহমূলক পদ্ধতির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে পাঠের বিষয়বস্তু শেখানো হয়। এসব কাজ সম্পাদনের জন্যে কিছু সামগ্রীর প্রয়োজন হয়। তাই অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনায় বিষয়বস্তুর এবং পদ্ধতিগত প্রস্তুতির সাথে সাথে এ পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী/সরঞ্জাম/ উপকরণ পূর্বেই প্রস্তুত রাখতে হয়।

সামগ্রী/সরঞ্জাম বিষয়ক প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি না থাকলে এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন ব্যাহত হবে। তাই শ্রেণিতে অংশগ্রহণমূলক কাজ করানোর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যপত্র, কর্মপত্র, ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব (সম্ভব হলে), অডিও/ভিডিও, টেপ রেকর্ডার, কম্পিউটার, প্রজেক্টর, সাউন্ড সিস্টেম, পোস্টার পেপার, পুশপিন, ভীপ (VIPP) কার্ড, হ্যান্ড আউট, মূল্যায়ন শিট ইত্যাদির সরবরাহপূর্ব থেকেই নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বিশেষভাবে এমন সব উপকরণ শ্রেণিকক্ষে থাকা জরুরি, যা না হলে শোনা দক্ষতা শেখানো ব্যহত হয়। ভাষার বলা, পড়া ও লেখা দক্ষতা প্রায়োগিক বিষয় হলেও শোনা দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট উপকরণ শ্রেণিকক্ষে সরবরাহ করার ব্যবস্থা নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অংশগ্রহণ (Participation) ও কাজে জড়িতকরণ (Engagement) নিশ্চিতকরণ অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ দিক হলো এ ব্যবস্থাপনায় শ্রেণিকক্ষের সকল শ্রেণি ও সামর্থ্যের শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা।

অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির শিক্ষণ-শিখন পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে ‘সবার জন্য শিখন’ নীতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কিছু শিক্ষার্থী শ্রেণিতে শিখনে অংশগ্রহণ করবে আবার কিছু শিক্ষার্থী শিখনের বাইরে থেকে যাবে- তা যথার্থ অংশগ্রহণ এবং কার্যকর শিক্ষণ হিসেবে গণ্য নয়।

এজন্য অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি ও কৌশলসমূহ ব্যবহারের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীকে পাঠে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করানোর দক্ষতা ও যোগ্যতা শিক্ষকের থাকা অনিবার্য। অধিকন্তু, এ ব্যবস্থাপনায় শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের কাজ করার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করতে হবে এবং সাথে কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করার কৌশলও তাদেরকে শেখাতে হবে।

অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষের আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- এখানে সতীর্থ শিখন (Peer Learning) সংঘটিত হয়। কখনো কখনো এ ধরণের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের চেয়ে তাদের সতীর্থদের থেকে বেশি শিখে থাকে। তাই একটি অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের দায়িত্ব হচ্ছে পাঠে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করানোর জন্য তাদের মনস্তত্ত্ব বুঝে সে অনুযায়ী পদ্ধতি- কৌশল ব্যবহার এবং যথাযথ আচরণ করা।

এক্ষেত্রে আচরণ বলতে বিশেষত তাদের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলা, অংশগ্রহণমূলক কাজে তাদেরকে উৎসাহ প্রদান করা, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্রশংসা করা, তারা যাতে বিষয়বস্তুর প্রতি আগ্রহী হয় এমন যোগ্যতা প্রদর্শন করা, তাদের পছন্দকে উৎসাহিত করা, শিখন প্রক্রিয়ায় তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে অনুমোদন দেওয়া, শিখনে তাদেরকে ক্ষমতায়িত করা, তাদের বিকল্প ধারণা বা কাজকে পছন্দ করা, তাদের মাঝে পরস্পর সহযোগিতা করার পরিবেশ সৃষ্টি করা ইত্যাদিকে বুঝায়।

শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পাওয়ার মাধ্যমে এবং সতীর্থকে শিখনে সহায়তা করার মাধ্যমে নিজেরা অনুপ্রাণিত, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও উৎসাহী হয়। অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির শিক্ষণ-শিখন পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় কেবল সাধারণ অর্থে শিখনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করানোই যথেষ্ট নয়। শিক্ষার্থীরা যাতে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে আত্ম-নির্ভরশীল হয়ে নিজেদের প্রচেষ্টায় বিষয়বস্তু শিখতে পারে সে জন্য শিখনে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কাজে জড়িত রাখতে হবে। কখনো কখনো তারা ভুলের মাধ্যমে শিখবে।

নিজেদের প্রচেষ্টায় শিখতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রথম পদক্ষেপেই সবকিছু সঠিকভাবে শিখতে পারবে, এমন নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা সমস্যার সমাধান করতে পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষককে তাদেরকে নির্দেশনা দিতে হবে এবং উৎসাহিত করতে থাকতে হবে। এভাবে বারংবার প্রচেষ্টা ও ভুল সংশোধন নীতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে গভীরভাবে কাজে জড়িত রাখা সহজ হবে এবং তাদের সমস্যা সমাধান দক্ষতার উন্নয়ন ঘটবে।

 

আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা

 

সমস্যা সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ

অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ বাস্তব জীবনকেন্দ্রিক। শ্রেণিকক্ষে অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি প্রয়োগের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সমস্যা সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদেরকে পারদর্শী করে তোলা। বাস্তব জীবনের একটি আবশ্যকীয় দক্ষতা হচ্ছে কোন সমস্যা যথার্থ অনুধাবন বা বোঝার সামর্থ্য এবং তা সমাধান করা।

সমস্যা অনুধাবন ও তা সমাধানের এ দক্ষতা বিকাশের প্রচেষ্টা শ্রেণিকক্ষের শিক্ষণ-শিখন পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান থাকতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের সামনে সমস্যা তুলে ধরতে হবে। মিথষ্ক্রিয়ামূলক যোগাযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাঠ্য বিষয়বস্তুর পর্যালোচনায়, বিশ্লেষণে, সংশ্লেষণে, সচেষ্ট থাকবে। অংশগ্রহণমূলক শিখন ব্যবস্থাপনায় শিক্ষকের কাজ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সামনে পাঠ সংশ্লিষ্ট এ রকম সমস্যা তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের তা সমাধানে দক্ষ করা।

এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিজে সরাসরি সমস্যা সমাধানকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ না হয়ে তিনি নির্দেশকের ভূমিকা পালন করবেন এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করবেন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের সহায়তায় সমস্যা সমাধানে নিয়োজিত হবে। উল্লেখ, সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি একাধিক হতে পারে।

সেক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সর্বোত্তম সমাধান খুঁজে বের করতে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা ও সহায়তা দিতে হবে। এ ধরণের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের ভূমিকা সহায়কের। অর্থাৎ, সমস্যা সমাধান বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তিনি পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়ার পরিবেশ তৈরি করে দিবেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিবেন। সমস্যা সমাধান বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে কিনা, তিনি তা চিহ্নিত করবেন এবং সে জটিলতা নিরসনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ জন্য শ্রেণিকক্ষে অংশগ্রহণমূলক শিখন পরিবেশ তৈরিতে একজন শিক্ষকের যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে।

শিক্ষার্থীদের কাজ পরিবীক্ষণ করা

অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি Learning by doing-তথা কাজের মাধ্যমে শিখনকে গুরুত্ব দেয়। এ পদ্ধতিতে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে দিতে হবে। আবার সে সব কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য শিক্ষককে তা পরিবীক্ষণ করতে হবে। অর্থাৎ, অংশগ্রহণমূলক কাজসমূহ শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে করছে কিনা বা করলেও কতটা করতে পারছে, অথবা নির্দিষ্ট কোন শিক্ষার্থী বা কোন দল কাজ করতে না পারলে তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার করার প্রয়োজনেই শিক্ষককে তা পরিবীক্ষণ করতে হবে।

উপকরণ ব্যবহার

উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রমকে অংশগ্রহণমূলক করা যায়। এক্ষেত্রে পাঠের বিষয়বস্তু এবং এ পদ্ধতির উপযোগী উপকরণ চিহ্নিত করে তা ব্যবহার করতে হবে। পাঠে সক্রিয় অংশগ্রহণ করানোর জন্য বর্তমানে উপকরণ হিসেবে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ল্যাঙ্গুগুয়েজ ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, কম্পিউটার, সাউন্ড সিস্টেম, অডিও, ছবি, স্মার্টবোর্ড, ডকুমেন্ট ক্যামেরাসহ আরও অনেক সফ্টওয়ার ও অ্যাপ ব্যবহার বেশ ফলদায়ক। যথাযথভাবে ও যথা সময়ে এসব উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষক একটি শ্রেণিকক্ষকে অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষে পরিণত করতে পারেন।

আসন ব্যবস্থাপনা

আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে শ্রেণিকক্ষে অংশগ্রহণমূলক শিখন-শেখানোর উপযোগি করে আসন ব্যবস্থার পরিকল্পনা ও বিন্যাস করা প্রয়োজন। শিক্ষক- কেন্দ্রিক আসন বিন্যাসে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিতে সার্বক্ষণিকভাবে শিক্ষক-অভিমূখী থাকে। এজন্য সনাতন পদ্ধতির দীর্ঘ আকারের বেঞ্চ, যা সাধারণত সারি ও কলামভিত্তিক বিন্যাস করে শিক্ষার্থীদের বসতে দেয়া হয়। এ ধরণের আসন দলীয় কাজসহ অন্যান্য অংশ্রহণমূলক কাজ করার অনুকূল নয়।

অংশ্রহণমূলক পদ্ধতির আসন পরিকল্পনা ও আসন বিন্যাসের নীতি-পদ্ধতি এমন হওয়া উচিৎ যাতে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনে সহজেই মুখোমুখি হয়ে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া করতে পারে এবং দলগতভাবে ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বিভিন্ন কাজ করতে পারে। আবার সহায়তাকারী হিসেবে শিক্ষক যাতে সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে যেতে পারেন এবং প্রয়োজনে সহায়তা করতে পারেন সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। এজন্য অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে গ্রুপভিত্তিক বা স্টেশনভিত্তিক বসানোর ব্যবস্থা করা ভালো।

সময় ব্যবস্থাপনা

সময় ব্যবস্থা শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনার নিয়মিত অনুষঙ্গ হলেও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে শিখন-শেখানো কার্যক্রমে অপেক্ষাকৃত বেশি সময়ের দরকার হয়। অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিতে একক কাজ, জোড়ায় কাজ, মাথা খাটানো, দলগত কাজ এবং আরো নানাভাবে কাজ করতে হবে। সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সময়ও শিক্ষার্থীদের দিতে হবে। এ কারণেই এ পদ্ধতিতে সময় ব্যবস্থাপনার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

শৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা

অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো শৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা । কারণ শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া, জোড়ায় কাজ, দলীয় কাজ, দলীয় আলোচনা, বিতর্ক এসব কাজের সময় শ্রেণিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ থাকে।

এক্ষেত্রে কাজ ব্যবস্থাপনার কৌশল ও নীতিমালা, শ্রেণিকক্ষ শৃঙ্খলা রক্ষার সাধারণ নীতিমালা/গ্রাউন্ডরুলস, উপযুক্ত নির্দশনা, প্রয়োজনে লিখিত নির্দেশনা দেয়া এবং শৃঙ্খলা রক্ষার অন্যান্য ইতিবাচক কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। মনে রাখতে হবে— সহায়তাকারী, নির্দেশনা দাতা, পরামর্শদাতা-এসব ভূমিকার সাথে সাথে একজন শিক্ষক শ্রেণিকক্ষের একজন নেতা ও পরিচালকও বটে। শ্রেণিকক্ষ পরিচালিত হবে একাধারে মানবিক সম্পর্ক ও নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে।

নির্দেশনা

অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি হলো শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক পদ্ধতি। অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সক্রিয়তায় শিখন সংঘটিত হয়। শিক্ষককেন্দ্রিক শ্রেণিকক্ষে যেখানে শিক্ষক জ্ঞান বিতরণের ভূমিকায় থাকেন, সেখানে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের ভূমিকা সহায়কের ও নির্দেশনা দাতা তথা পথ প্রদর্শকের (Guide)। এ জন্যে অংশগ্রহণমূলক শ্রেণি পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় নির্দেশনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শ্রেণিকক্ষে শিখন- শেখানো কার্যক্রম পরিচালনার বিভিন্ন পর্বে শিক্ষার্থীদের যথাযথ নির্দেশনাদান শিখনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণকে অর্থবহ করে।

তাই অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর শিখন নিশ্চিত করতে হলে সুস্পষ্ট ও ধারাবাহিকভাবে নির্দেশনা দিতে হবে। কার্যকর নির্দেশনা একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের কর্মতৎপর করে তোলে অন্যদিকে-এর মাধ্যমে প্রত্যাশিত শিখনফল অর্জন সহজ হয়। শিক্ষকের সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করতে পারার দক্ষতা অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিকে কার্যকর করতে সহায়তা করে। যে কোনো শিখন-শেখানো কাজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শিখনের শুরু থেকে সুস্পষ্ট হতে হবে এবং সকল কাজের নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের বোধগম্য হতে হবে।

নির্দেশনা মৌখিক হলে তা অবশ্যই সুস্পষ্ট হতে হবে আবার লিখিত হলে তা সহজ ও সাবলীল ভাষায় হতে হবে। উভয় ধরণের নির্দেশনাই শিক্ষার্থীর জন্য যাতে সহজে বোধগম্য হয় শিক্ষককে সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। আবার শিক্ষার্থীরা নির্দেশনা বুঝতে পেরেছে কিনা বা নির্দেশনা অনুসারে কাজ করছে কিনা, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে শিক্ষণের একটি নাম নির্দেশনা (Instruction)। আর শিক্ষককে বলা হয় নির্দেশনাদাতা (Instructor)।

ছাড়াও বৈচিত্র্যময় অংশগ্রহমূলক কৌশল ব্যবহার, একীভূত শিক্ষানীতি ও পদ্ধতির অনুসরণ, শ্রেণিকক্ষের নানা রকম কাজের মাঝে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা, জোড়ায় কাজ, দলীয় কাজ, মাথা খাটানোসহ অন্যান্য অংশগ্রহমূলক কাজ ব্যবস্থাপনার নিয়মনীতি ও অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার অন্তর্গত ।

অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় বিবেচ্য বিষয়াবলীর মধ্যে জোড়ায় কাজ প্রসঙ্গেই তো পূর্বে সামান্য আলোচনা করা হয়েছে। এ পর্যায়ে মাথা খাটিয়ে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ের শ্রেণিকক্ষে কার্যকর জোড়ায় কাজ পরিচালনার পরিকল্পনায় সম্ভাব্য বিবেচ্যদিকসমূহ সম্পর্কে নিচের ধারণা মানচিত্রে আপনার চিন্তাগুলো পয়েন্ট আকারে লিপিবদ্ধ করুন। এ বিষয়ে আপনার স্পষ্ট ধারণা লাভের সুবিধার্থে একটি উদাহরণ দেয়া হল।

 

আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা

 

ধারণা মানচিত্র: কার্যকর দলীয় কাজ পরিচালনার পরিকল্পনায় সম্ভাব্য বিবেচ্য দিকসমূহ

সর্বোপরি শিখনকে অধিক উপভোগ্য ও আনন্দঘন করতে, উচ্চস্তরে চিন্তন ও বিশ্লেষণী ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে, নতুন শতাব্দীতে শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ করতে, কর্মক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে, কার্যকরী নাগরিক সৃষ্টির দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে, শ্রেণিকক্ষে একটি সহায়তাকারী সম্প্রদায় সৃষ্টি করতে, নেতৃত্বের দক্ষতা অনুশীলনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে, নতুন জ্ঞানের উন্নয়ন ঘটাতে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনেক। বর্তমান বিশ্বের চাহিদা হচ্ছে প্রতিটি শিক্ষার্থী উচ্চস্তরের বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ দক্ষতার মাধ্যমে জটিল সমস্যাসমূহ সমাধান করবে।

বর্তমানে শিখন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদেরকে প্রো-এ্যাকটিভ (Pro- active) তথা অতিসক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে তারা সক্রিয়ভাবে বিষয়বস্তু বিশ্লেষণের পন্থা খুঁজেবের করবে, প্রশ্ন করবে, বিশদ ব্যাখ্যা করবে এবং নিত্য পরিবর্তনশীল পরিবেশ- পরিস্থিতিকে বুঝবে।

আর এ জন্য বিদ্যালয় তথা শ্রেণিকক্ষের ভূমিকা হচ্ছে শিখন-শেখানো কার্যক্রম থেকে শিক্ষার্থীকে উচ্চস্তরের দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা, যা তাদেরকে আরো দ্রুতভাবে শিখন বিষয়ের বিশ্লেষণে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে এবং জটিল বাস্তব বিশ্বের সমস্যা সামাধান করতে সামর্থ্য করে। তাই এ প্রেক্ষাপটে শিক্ষার মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাকল্পে অন্যান্য বিষয়ের ন্যায় মাদরাসার দাখিল স্তরের আরবি ভাষা ও সাহিত্য-এর শিখন-শেখানো কার্যক্রমে ও অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ পরিকল্পনা ও শ্রেণি ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য।

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment