কাওয়ায়েদুল লুগা-এর বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় কাওয়ায়েদুল লুগা-এর বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন – যা অগ্রগতি ও পারদর্শিতার মূল্যায়ন এর অন্তর্ভুক্ত।

কাওয়ায়েদুল লুগা-এর বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন

 

কাওয়ায়েদুল লুগা-এর বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন

 

ভূমিকা

অর্থাৎ যে আল্লাহকে ভালবাসে সে তার নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ভালবাসে, আর যে নবীকে ভালবাসে সে আরবি ভাষাকে ভালবাসে, আর যে আরবি ভাষাকে ভালবাসে সে এলমে নাহুকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে, কেননা এলমে নাহু আরবি শিক্ষার একমাত্র উপায়।

অতএব নির্ভুলভাবে আরবি ভাষা পড়া, বলা ও লিখার যোগ্যতা অর্জন করা gail plc শিক্ষার উদ্দেশ্য। আরবি দ্বিতীয় পত্র বা “এলমে নাহু মূল্যায়ন পদ্ধতি” বিষয়টিকে দু’টি অধ্যায়ে ভাগ করা হলো:

প্রথম অধ্যায় (First Chapter ) – نظري (Theoretical)

দ্বিতীয় অধ্যায় (Second Chapter ) – تطبيقي (Practical)

প্রথম অধ্যায় نظري : (Theorical)

(Correct Direction for Teaching Arabic Grammar)

আরবি ভাষাবিদগণ মনে করেন যে, এলমে নাহু মূল্যায়ন শিক্ষা আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য একটি বিশেষ উপায়। এলহে নাহু মূল্যায়ন-এর সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা একান্ত কর্তব্য :

ক. Curriculum :

১. শুদ্ধ আরবি ভাষায় বলা ও লিখার দক্ষতা অর্জনে সহায়ক পাঠসমূহ মূখ্য উদ্দেশ্য হওয়া আবশ্যক।

২. নাহু শিক্ষাদানের পাঠসমূহ পর্যায়ক্রমে সহজ থেকে কঠিন হওয়া বাঞ্ছনীয়।

৩. নাহু শিক্ষাদানের পাঠসমূহ একটি অপরটির সম্পূরক হওয়া দরকার।

খ. পাঠ্যপুস্তক: Text book

১. পাঠ্য বইটি পূর্ণরূপে Syllabus অনুযায়ী হওয়া আবশ্যক ।

২. পাঠ্য বইটির সম্পাদনা আরবি ভাষাকেন্দ্রিক হওয়া প্রয়োজন ।

৩. অনুশীলনীসমূহ আরবি দ্বিতীয় পত্রের কায়েদা রূপে বর্ণিত হওয়া দরকার ।

৪. পাঠ্য বইয়ের نصوص (Texts) ইসলামিক এবং সামাজিক Culture বিষয় সম্বলিত হওয়া আবশ্যক ।

গ. Technique পদ্ধতি:

সাধারণত এলমে নাহু মূল্যায়নে দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়:

১. Deduction:

এলমে নাহুর যে কোনো চcli (কায়দা) বর্ণনার পর তার উপর উদাহরণ পেশ করাকে الطريقةالقياسية বলে ।

২. Induction:

উদাহরণ পেশ করে তার থেকে قاعدة (কায়দা) বের করাকে الطريقة االسقرائية  বলে।

আরবি ব্যাকরণ মূল্যায়নের জন্য উদাহরণ চয়ন করার পদ্ধতি

১. শিক্ষক নিজেই উদাহরণ চয়ন করে বোর্ডে লিখবেন।
২. শিক্ষক ছাত্রদেরকে নির্দিষ্ট বিষয়ে উদাহরণ তৈরি করার জন্য বলবেন এবং বোর্ডে লিখবেন ।
৩. শিক্ষক ছাত্রদেরকে কিছু কাজের নির্দেশ দিবেন এবং ঐ কাজগুলোকে আরবিতে অনুবাদ করে বোর্ডে লিখবেন ।
৪. শিক্ষক একটি ছোট গল্প অথবা একটি সাহিত্যিক প্যারা বোর্ডের মাধ্যমে ছাত্রদের নিকট পেশ করবেন এবং ছাত্রদের সাথে পরস্পর পর্যালোচনার মাধ্যমে তা থেকে উদাহরণ বের করবেন।

উদাহরণ চয়নের বেলায় লক্ষণীয় বিষয়

১. উদাহরণগুলো সর্বোত্তম চয়ন হিসেবে বিবেচিত হতে হবে।

২. উদাহরণগুলো একই অর্থে না হয়ে বিভিন্ন অর্থে হওয়া দরকার।

৩. উদাহরণগুলো বিষয়বস্তুর সাথে পূর্ণ সামঞ্জস্য থাকা বাঞ্ছনীয়।

৪. উদাহরণগুলো মনগড়া বাক্য দ্বারা গঠিত না হওয়া ।

 

কাওয়ায়েদুল লুগা-এর বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন

 

মূল্যায়নকালে যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা কর্তব্য

১. পেশকৃত উদাহরণসমূহের ব্যাকরণিক আলোচনার পূর্বে ভাবার্থ পর্যালোচনা করা বাঞ্ছনীয় ।

২. এলমে নাহুর মূল্যায়নের সময় কিছু কিছু পাঠ Practical পদ্ধতিতে শিক্ষা দেয়া উচিৎ।

৩. ছাত্রদেরকে تكرار  বারবার পর্যালোচনার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেয়া উচিৎ

৪. ছাত্রদেরকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া উচিৎ।

৫. প্রতিটি পাঠেই মূল্যায়ন অনুশীলনী থাকা অত্যাবশ্যকীয়।

ঘ. Examinations

ইলমে নাহু মূল্যায়ন করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা বাঞ্ছনীয়

১. বাক্য গঠনে এবং সঠিক হারাকাত দানে সহায়ক قاعدة -গুলোর প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা আবশ্যক।

২. পাঠ্য বইয়ের হুবহু বাক্যগুলো পরীক্ষায় চাওয়া উচিৎ নয় ।

৩. মূল বিষয়ের শাখা-প্রশাখা থেকে পরীক্ষা গ্রহণ করা উচিৎ নয়। নির্দিষ্ট পাঠ শিক্ষার্থীরা কতখানি আয়ত্ত করেছে বা যা আয়ত্ত করেছে তা তারা প্রয়োগ করতে পারে কিনা, তার পরীক্ষা করা হয় মূল্যায়ন স্তরে । এই স্তরে শিক্ষার্থীদের নবলব্ধ জ্ঞানের পরিমাপ করা হয়।

৩। Dicussion:

বোর্ডে লিপিবদ্ধকৃত উদাহরণগুলো হতে قاعدة বের করার জন্য ছাত্র শিক্ষক এমনভাবে পর্যালোচনা করবেন । অতপর শিক্ষক ইচ্ছা করলে বর্তমান পাঠের সাথে সম্পর্কিত পূর্ববর্তী কোনো পাঠের উপর প্রশ্ন করে বর্তমান বিষয়টি পরিষ্কার করে তুলে ধরতে পারেন।

৪। Invention:

পর্যালোচনা সমাপ্তির পর শিক্ষক পাঠের সাথে সম্পর্কিত قاعدة  (কায়েদা)-টির আরবি ব্যাকরণবিদগণের পরিভাষা অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা প্রদান করবেন। তারপর উদাহরণগুলো হতে ছাত্রদের মাধ্যমে (কায়েদা)টি বের করে বোর্ডের এক পার্শ্বে লিখবেন। শিক্ষক ইচ্ছা করলে ছাত্রদের দ্বারাও قاعدة (কায়েদা) টি লিখাতে পারেন।

৫। Practice:

বাস্তব প্রয়োগ দু’প্রকার হতে পারে:

ক. Incomplete Practice : প্রতিটি قاعدة (কায়েদা) বের করার পরেই অন্য (কায়েদা) পড়ানোর পূর্বে অনুশীলনী গ্রহণ করাকে التطبيق الجزئي  বলা হয় ।

খ. Incomplete Practice : কোন বিষয়ের সকল (قاعدة) বের করা শেষ হলে সবগুলোর উপর অনুশীলনী গ্রহণ করাকে US]। gubill বলা হয়।

 

 

কাওয়ায়েদুল লুগা-এর বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন

 

আর অনুশীলনী গ্রহণকালে শিক্ষকের জন্য লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো যে, অনুশীলনীগুলো নিম্নলিখিত পন্থায় ধীরে ধীরে সহজ থেকে কঠিন করতে হবে। যেমন:

প্রথমত: শিক্ষক একটি পূর্ণ বাক্য বোর্ডে লিখে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ছাত্রদেরকে প্রশ্ন করবেন এবং বলবেন এ বাক্যের মধ্য হতে فاعل / حال / مبتدأবের কর।

দ্বিতীয়ত: শিক্ষক একটি অসম্পূর্ণ বাক্য পেশ করবেন এবং ছাত্রদেরকে তা পূর্ণ করতে বলবেন।

তৃতীয়ত: শিক্ষক কিছু শব্দ পেশ করে ছাত্রদেরকে একে একটি অর্থবোধক বাক্যে পরিণত করতে বলবেন, যাতে বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট উদাহরণ হয়ে যায়।

চতুর্থত: শিক্ষক ছাত্রদের قاعدة (কায়েদা) অনুযায়ী বাক্য গঠন করতে বলবেন।

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment