আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ” গিরিদস্ত জাতক “। যা “জাতক” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
গিরিদস্ত জাতক
গিরিদস্ত জাতক
অতীতে বারাণসিযং সামরাজা নাম রজ্জং কারেসি। তদা বোধিসত্তো অমচ্চকূলে নির্বাত্তিতা ব্যপূপতো তস অথধম্মানুসাসকো অহোসি ।
রঞ্জো পন পাওবো নাম মঙ্গলসূাসো তস গিরিদত্তো নাম অসবদো, সো প্পো অহোসি। অসো মুখরজ্জুকে গহেত্বা তং পুরতো পুরতো গচ্ছন্তং দিয়া “মং এস সিথাপেতী’ তি সঞায় তস অনুসিদ্ধন্তো ঘঞ্জো অহোসি। তস খঞ্জাভাবং রক্তকে আরো চেসুং। রঞ্জো বেঙ্গে পেসেসি তে গত্বা অসূস, গচ্ছ, ব্যস, এখা কারণং জানাহী তি, সো গন্তা খঞ্জ অসবশ্বসংসগুগেন তস খঞ্জ ভুতভাবং আত্বা তং অথং অরোচেতা ‘সংসমৃগদোসেন নাম এবং হোতী তি দসসেপ্তো পঠমং গাথং আহ :
দূসিতো গিরিদপ্তেন হবো সামস পাগুবো,
পোরাণং পঞ্চতিং হিতা অসের অনুবিধ্যিতীতি।
অথ নং রাজা ইদানি বয়স কিং কাতংতি পুচ্ছি। বোধিসত্তো সুন্দরং অসূসবরং লভিতা যথা পোৱাণো ভবিস্সতী তি বড়া দুতিযং গাথং আহ।
সচের তনুজো পোসো সিকরাকারকপূপিতো, আননে তং পহেড়া মণ্ডলে পরিবর্তে খিপ্পরে পহতান তসের অনুবিধ্যিতীতি ।
রাজা তথা করোসি। অসো পকতিভাবে পতিঠাসি। রাজা ভিরচ্ছাণম্পি নাম আসমং জানিসতীতি ভুট্ঠচিত্তো বোধিসত্তং মহন্তং যসং অদাসি।
সখা ইমং দেসনং আহরিত্বা জাতকং সমোধানেসি। “তদা গিরিদত্তো দেবদত্তো অহোসি; অসো বিপ সাবকো রাজা আনন্দো, অমচ্চপণ্ডিতো পন অহমেবাতি।”
শব্দার্থ – ১
অমऴকুলে-অমাত্যকূল; অথধম্মানুসাসকো — ঐহিক এবং পারত্রিক হিতোপদেষ্টা; মঙ্গলসূস-রাজকীয় অশ্ব ; অসূসবন্ধো — অশ্ব রক্ষক; গঙ্গো— পোঁড়া; সঞায় মনে করে ; অনুসিদ্ধন্তো— অনুসরণ করে; অরোচেসুং জেনেছিল; সরীরে— দেহে, শরীরে; কথাযিংসু বলে; ব্যস — হে বয়স খঞ্জসবন্ধসংসগুলেন— খপ্পা অশ্বরক্ষক সংস্পর্শে ; দৃসিতো — নষ্ট; অসূস অশ্ব; পোরানং পকতিং-পুরাণং প্রকৃতি; হিত্বা ত্যাগ করে। অনুবিধ্যিতি অনুকরণ করে।
শব্দার্থ – ২
কিং কাতবরং কী করা কর্তব্য; অনুজো পোসো — আপনার অনুরূপ লোক; সিখরাকারকপৃপিতো— অত্যন্ত উচ্চ আননে-মুখে; মণ্ডলে — মণ্ডলাকারে।
শব্দার্থ-৩
তথা— সেরূপ: কারেসি করালেন ভিরানম্পি— নীচ প্রাণীদের আসবং অভিলাষ : তুইঠচিত্রো—
সারাংশ
প্রাচীনকালে শ্যামরাজ নামক এক রাজা বারাণসীতে রাজত্ব করতেন। সে সময় বোধিসত্ত্ব অমাত্যকুলে জন্মগ্রহণ করে তাঁর ধর্মানুশাসক হয়েছিলেন। শ্যামরাজের পাণ্ডব নামে একটি মঞ্চাল অশ্ব ছিল। গিরিদত্ত নামে এক খোঁড়া ব্যক্তি তাঁর সহিসের কাজ করত।
পিরিদন্ত ঘোড়ার মুখের রশি ধরে চলত। ঘোড়া মনে করত, সহিস তাকে তার মত খুঁড়িয়ে হাঁটতে শিক্ষা দিচ্ছে। ঘোড়াও সহিসের মত অনুকরণ করত। শেষে সে ঘোড়াও খোঁড়া হয়ে গেল।
লোকে রাজাকে এ খবর জানাল। রাজা মঙ্গল অশ্বের জন্য বৈদ্য পাঠালেন। বৈদ্য অশ্বের কোন রোগ নির্ণয় করতে পারল না। অবশেষে শ্যামরাজ ধর্মশাসক বোধিসত্ত্বকে এর কারণ নির্ণয়ের জন্য প্রেরণ করলেন। বোধিসত্ত্ব গিয়েই বুঝতে পারলেন, মঙ্গল অশ্ব সহিসের সংসর্গে থেকে এরূপ হয়েছে। সহিসের চলন দেখেই এটা সে শিখেছে।
রাজা পরবর্তী কর্তব্য সম্পর্কে বোধিসত্ত্বকে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি একজন সুস্থ অবিকলাঙ্গ সহিস নিয়োগের কথা বললেন। তাহলে মঙ্গল অশ্ব পূর্ববৎ হয়ে যাবে।
রাজা বোধিসত্ত্বের পরামর্শ অনুযায়ী সহিস নিযুক্ত করলেন। নতুন সহিস কয়েকদিন অশ্বের মুখের রশি ধরে অশ্বকে পরিচালনা করলেন। অশ্ব ধীরে ধীরে খোঁড়াভাব ত্যাগ করল। সে পূর্বের চলনশক্তি ফিরে পেল।
উপদেশঃ
সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎসঙ্গে সর্বনাশ।
অনুশীলনী
(ক)নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১।গিরিদস্ত জাতকটি তোমার নিজের ভাষায় লেখ।
২। মঙ্গল অশ্বের রোগ নির্ণয়ে বোধিসত্ত্বের ভূমিকা আলোচনা কর।
(খ) সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১।গিরিদস্ত কার নাম? সে কী করত?
২। বোধিসত্ত্ব মঙ্গল অশ্বের রোগ নির্ণয়ে কিভাবে সফল হয়েছিলেন?
আরও দেখুনঃ