সংস্কৃত ণত্ব-ষত্ব-বিধানম

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় সংস্কৃত ণত্ব-ষত্ব-বিধানম

সংস্কৃত ণত্ব-ষত্ব-বিধানম

 

সংস্কৃত ণত্ব-ষত্ব-বিধানম

 

সংস্কৃত ণত্ব-ষত্ব-বিধানম

যে-সকল বিধান বা নিয়ম অনুযায়ী দন্ত্য নৃ মূর্ধন্য ণ্-তে পরিণত হয়, তাদের ণত্ব-বিধান বলা হয় । প্রধানত নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে দন্ত্য নৃ মূর্ধন্য ণ-তে পরিণত হয় :

এক পদস্থিত ঋ, খৃ, র্, ও মূর্ধন্য ষ্—এই চারবর্ণের পরবর্তী দন্ত্য নৃ মূর্ধন্য ণ্ হয়।

ঋ – তৃণম্, নৃণাম্‌, ঋণম্, তিসৃণাম্‌ ইত্যাদি। ৠ – দাতৃণাম্, পিতৃণাম্, ভ্রাতৃণাম্‌, নেতৃণাম্‌ ইত্যাদি।

র্ – কর্ণঃ, বর্ণঃ, চতুর্ণাম্, বিদীর্ণম্, ইত্যাদি।

ঘ. কৃষ্ণঃ, বিষ্ণুঃ, তৃষ্ণা, সহিষ্ণু ইত্যদি।

স্রষ্টব্য : ফ = ষ্ + ণ

যদি স্বরবর্ণ, ক-বর্গ, প-বর্গ, য, ব্, হ্, বা ( অনুষার)-এর ব্যবধান থাকে তাহলেও ঋ, খৃ, র ও ঘৃ-এর পরস্থিত একপদস্থ দন্ত্য নৃ মূর্ধন্য ণ্ হয়। যেমন-

স্বরবর্ণের ব্যবধান- করণম্ (র্ + অ + ণ)।

ক-বর্গের ব্যবধান- তর্কেণ (র্ + ক্ + এ + ণ)।

প-বর্গের ব্যবধান- দৰ্পেণ (র্ + প্ + এ + 9)।

ঘৃ-এর ব্যবধান – সূর্যেণ (র্ + যৃ + এ + ণ)।

বৃ-এর ব্যবধান- গর্বেণ (র্ + ব্ + এ + ণ)।

হ্-এর ব্যবধান- গ্রহণে (র্ + অ + হ্ + এ + ণ)।

(অনুস্বার)-এর ব্যবধান – বৃংহণম্ (ঋ + 2 + হ্ + অ + ণ)

পরা, পূর্ব ও অপর শব্দের পরস্থিত ‘অহ্ন’ শব্দের দন্ত্য নৃ মূর্ধন্য ণ্ হয়। যেমন-প্রাহঃ পরাহঃ পূর্বাহ্ণঃ, অপরাহঃ।

প্র, পরা পরি ও নির্—এই চারটি উপসর্গের পরবর্তী নম্, নশ্, নী প্রভৃতি ধাতুর দন্ত্য ন মূর্ধন্য ণ্ হয়। যেমন-

নম্-প্রণমতি, পরিণমতি, প্রণামঃ, পরিণামঃ।

নশৃ-প্রণশ্যতি, প্রণাশঃ, পরণিশ্যতি।

নী-প্রণয়তি, প্রণয়ঃ পরিণতি, পরিণয়ঃ ।

দ্রষ্টব্য : . = র্। = ঋতু = হ্+ণ।

ষত্ব বিধান

যে-সকল বিধান বা নিয়ম অনুযায়ী দন্ত্য স্ মূর্ধন্য ষ্-তে পরিবর্তিত হয় তাদের ষত্ব-বিধান বলা হয়। ষ-ত্বর চারটি প্রধান বিধান বা নিয়ম নিম্নে প্রদত্ত হল :

অ, আ ভিন্ন স্বরবর্ণ এবং ক্ ও র্-এদের যে-কোন বর্ণের পরস্থিত প্রত্যয়ের দন্ত্য স্ মূর্ধন্য ষ্ হয়। যেমন-

অ, আ ভিন্ন স্বরবর্ণের পর মুনিষু, সাধুষু, নদীষু ।

ক্-এর পরে-দিক্ষু (ক্ষ = ক + ষ )

র্-এর পরে – চতুর্ষু, গীষু, সর্বেষু ।

ং (অনুস্বার) এবং ঃ (বিসর্গ)-এর ব্যবধান থাকলেও প্রত্যয়ের দন্ত্য স্ মূর্ধন্য ষ্ হয়। যেমন- হবীংষি, ধনুংষি, আয়ুংষু ।

ই-কারান্ত ও উকারান্ত উপসর্গের পর সিচ্, স্থা, সদৃ, সিধ প্রভৃতি ধাতুর দন্ত্য স্ মূর্ধন্য ষ্ হয়। যেমন- ই-কারান্ত উপসর্গের পর- অভিষেকঃ,

 

সংস্কৃত ণত্ব-ষত্ব-বিধানম

 

প্রতিষ্ঠানম্, নিষাদঃ, প্রতিষেধঃ ।

দ্রষ্টব্য : অভিষেকঃ = অভি-সিচ্ + যজ্ঞ।

প্রতিষ্ঠানম্ = প্রতি-স্থা + অনট্। নিষাদঃ = নি-সদৃ + ঘঞ।

প্রতিষেধঃ = প্রতি-সিৰ্‌ + ঘঞ ।

উ-কারান্ত উপসর্গের পর-অনুষ্ঠানম্, অনুষেধতি।

দ্রষ্টব্য : অনুষ্ঠানম্ = অনু-স্থা + অল্ট।

অনুষেধতি = অনু – সিৰ্‌ + লট্‌ তি ।

ট-বর্গের পূর্ববর্তী দন্ত্য স্ মূর্ধন্য ষ হয়। যেমন-কষ্টম্, স্পষ্টঃ, ওষ্ঠঃ, দুষ্টঃ।

প্রশ্নমালা

সঠিক উত্তরটির পাশে ঠিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) তর্কেন/তর্কেণ/তার্কেন/তার্কেল

(খ) অপরত্নঃ/অপরাহ্নঃ/আপরাহ্ঃ/আপরাহ্নঃ।

(গ) অনুস্টানম্/অনুষ্ঠাম/অনুষ্ঠানম্/আনুষ্ঠানম্ ।

(ঘ) পরিণ্যশ্যতি/পরিণশ্যতি/পরিষ্যতি/পরিনস্যতি ।

শুদ্ধ কর :

করনম্, হরিনঃ, পূর্বাহ্নঃ, মধ্যাহ্ঃ, নরেশু, নদীসু, অনুস্টানম্ ।

নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

(ক) এক পদস্থিত ম্-এর পরে কোন্ নৃ হয়?

(খ) ‘তৃণম্’ পদে কেন মূর্ধন্য ণ্ হয়েছে?

(গ) ‘পূর্বাহ্ণ’ পদে কেন মূর্ধন্য ণূ হয়েছে?

(ঘ) ‘প্রণয়ঃ’ পদে কেন মূর্ধন্য ণ হয়েছে?

 

সংস্কৃত ণত্ব-ষত্ব-বিধানম

 

(ঙ) ই-কারান্ত উপসর্গের পর ‘সিচ্’ ধাতুর দন্ত্য স্ কোন্ স হয়?

(চ) ‘কষ্টম্‌’ পদে মূর্ধন্য-ষ হয়েছে কেন?

আরও দেখুন :

 

Leave a Comment