আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত আরবি ভাষা ও সাহিত্য শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা – যা আরবি ভাষা ও সাহিত্য পাঠদানে শ্রেণিকক্ষ পরিচালনা ও শিক্ষকের আত্ম-উন্নয়ন এর অন্তর্ভুক্ত।
অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত আরবি ভাষা ও সাহিত্য শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা
বিশ্বের অন্যতম প্রধান ঘন বসতিপূর্ণ অঞ্চল
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান ঘন বসতিপূর্ণ দেশ। অধিক জনসংখ্যার প্রভাব এদেশের সবকিছুতে লক্ষণীয়ভাবে বিদ্যমান। এমন কি আমাদের প্রাথমিক/এবতেদায়ি ও মাধ্যমিক/দাখিলস্তরের শ্রেণিকক্ষেও এর প্রভাব দেখা যায়। অর্থাৎ অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট কিংবা অন্যান্য কারণে অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানের একটি সাধারণ বাস্তবতা। অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষ শিক্ষকের জন্য বরাবরই একটি চ্যালেঞ্জ। তাই আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এ বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রয়োজনীয় কৌশলগত জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা এ স্তরের শিক্ষকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ইউনিটের পূর্বের অধিবেশনসমূহে যথাক্রমে শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক ধারণা ও অংশগ্রহণমূলক শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনার কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এ অধিবেশনে আমরা অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ের শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষের পরিচয়, বৈশিষ্ট্য, এর চ্যালেঞ্জসমূহ ও তা মোকাবেলার কৌশল সম্পর্কে আলোচনাকরবো।
অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষের পরিচয়
অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষকে কখনো কখনো আমরা বড় শ্রেণিকক্ষ বলে থাকি। বড় শ্রেণিকক্ষ বলতে আক্ষরিক অর্থে শ্রেণিকক্ষের আকার-আকৃতির ধারণা বুঝালেও মূলত বড় শ্রেণিকক্ষ বলতে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিক্ষকেই বোঝানো হয়। এখন প্রশ্ন জাগে কোন ধরণের শ্রেণিকক্ষকে আমরা বড় শ্রেণিকক্ষ কিংবা অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিক্ষক বলবো।
প্রকৃতপক্ষে এ বিষয়টি সুনির্দিষ্ট সংখ্যায় সংখ্যায়িত করে-এর সংজ্ঞা দেয়া অনেকটা কঠিন। কার দেশভেদে এর ধারণা ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন ইউরোপ, আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে একটি সাধারণ ক্লাসে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী থাকে। এমন কি এশিয়া, আফ্রিকার অনেক দেশের শ্রেণিকক্ষেও ৪০ জন শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষ খুব বেশী একটা দেখা যায় না। আমাদের জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এ মাধ্যমিক স্তরে শ্রেণিকক্ষের শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত (৬-৭ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে) ১:৩০ সুপারিশ করা হয়েছে।
যা হোক, আমাদের দেশে মাধ্যমিক/দাখিলস্তরে সাধারণত ৪০ জন শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষকে আদর্শ শ্রেণিকক্ষ ধরা হয়। সুতরাং এ আদর্শের আলোকে ৪০ জনের বেশী শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষ অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষ হিসেবে গণ্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষ ৪০ জনের বেশি হিসেবে তা হয়তো ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষ হিসেবে কল্পনায় আসতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কোথাও কোথাও তা ১০০ জন এর অধিকও কল্পনা করতে হয়। বস্তুত প্রাথমিক/ এবতেদায়ি ও মাধ্যমিক/দাখিলস্তরে এ ধরণের শ্রেণিকক্ষ রীতিমত বিস্ময়ের উদ্রেক করে।
শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রসমূহ
শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনার মৌলিক দু’টি দিক রয়েছে, যেমন- ভৌত ব্যবস্থাপনা ও মানবীয় ব্যবস্থাপনা। ভৌত ব্যবস্থাপনা শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনার বাহ্যিক দিক। আর শ্রেণিকক্ষে শিখনের অনুকূল সামাজিক, মানসিক ও আবেগীয় পরিবেশ সৃষ্টি করা মানবীয় ব্যবস্থাপনার কাজ। শ্রেণিকক্ষের ভৌত ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে-এর প্রত্যাশিত আয়তন, নিরিবিলি ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ, আসনবিন্যাস, শিক্ষার্থীদের বসা ও কাজ করার উপযোগী আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করা, শ্রেণিতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করা, যথাস্থানে বোর্ড স্থাপন, উপকরণ সাজিয়ে রাখা ইত্যাদি বিবেচ্য দিক।
আবার শ্রেণিকক্ষের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার আওতায় শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের নির্দেশনা, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির রেকর্ড, শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর পূর্বে, চলাকালীন এবং পাঠের শেষে শিক্ষার্থীদের করণীয় আচরণ সংক্রান্ত নীতিমালা, অনাকাঙ্খিত আচরণ নিয়ন্ত্রণ, শ্রেণিতে একক, জোড়ায় ও দলীয় কাজসহ বিভিন্ন ধরণের কাজের সময় শিক্ষার্থী কর্তৃক পালনীয় নির্দেশনা এসব অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। ব্যবস্থাপনার আরেকটি ক্ষেত্র হচ্ছে পাঠ সংশ্লিষ্ট শিখন সামগ্রীর ব্যবস্থাপনা।
এ ব্যবস্থাপনার আওতায় পাঠ সংশ্লিষ্ট শিখন সামগ্রী নির্বাচন ও ব্যবহার, উপযুক্ত সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রয়োজনীয় পাঠ সামগ্রী বণ্টন, পাঠ শেষে তা ফেরত আনা ও সংরক্ষণ করা, শিখন-শেখানো কার্যক্রম সংক্রান্ত বিদ্যমান সকল সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। শ্রেণি ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে শিখন-শেখানো কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা।
শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কলাকৌশল নির্ধারণ ও প্রয়োগ, শ্রেণিকক্ষে শিখনের মানসিক, সামাজিক আবেগিক পরিবেশ সৃষ্টি ইত্যাদি এ ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত। উল্লেখ্য যে, আদর্শ শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনার সকল বিষয় ও দিক অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত। অধিকন্তু অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীর শিখন-শেখানো কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনায় কৌশলগত আরো নানা দিক অন্তর্ভুক্ত থাকে। এ অধিবেশনে শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনার গতানুগতিক ও সামগ্রিক দিক নিয়ে আলোকপাত না করে বিশেষত অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীর শ্রেণি ব্যবস্থাপনার বিশেষ কলাকৌশলের প্রতিগুরুত্বারোপ করা হবে ।
অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত আরবি ভাষা ও সাহিত্য শ্রেণিকক্ষের চ্যালেঞ্জ
অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণির চ্যালেঞ্জ বহুমাত্রিক। বিষয় ভেদে কখনো কখনো এ চ্যালেঞ্জ আবার বাড়তি মাত্রা নিয়ে শিক্ষকের সামনে হাজির হয়। অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণির চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে আপনাদের অনেকের অভিজ্ঞতা কিম্বা ধারণা রয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনারপূর্বে আমাদের অভিজ্ঞতা কিংবা ধারণার নিরিখে চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করে নিচের বক্সে সংক্ষিপ্ত সারে লিখি। বস্তুত, অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত আরবি ভাষা ও সাহিত্য শ্রেণিকক্ষের সমস্যাসমূহ কেবল উল্লেখিত ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়।
এছাড়াও শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন, পর্যাপ্ত ফলাবর্তন প্রদান ও শিক্ষার্থীদের ফলাবর্তন গ্রহণ, পছন্দের শিখন পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগ, শ্রেণির কাজ যাচাই, শ্রেণির কাজে বৈচিত্র্যময় কৌশল অবলম্বনের প্রতিকূল পরিবেশ, একটি কক্ষে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীর অবস্থানজনিত সৃষ্ট অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও তা থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লান্তি ও অবসাদ সৃষ্টি, শ্রেণির শেষতম বেঞ্চ পর্যন্ত শিক্ষকের কণ্ঠস্বর পৌঁছানো, কার্যকর গাঠনিক মূল্যায়ন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শ্রেণির সকল কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করা ইত্যাদি অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণির নিত্য-নৈমিত্তিক চ্যালেঞ্জ।
অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত আরবি ভাষা ও সাহিত্য শ্রেণিকক্ষের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা
সুবিধাজনক সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে একটি শ্রেণিকক্ষে শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা ও শ্রেণি ব্যবস্থাপনা অপেক্ষাকৃত সহজ, কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রেণিকক্ষের অভাব, আসবাবপত্রের অভাব, শিক্ষক স্বল্পতা, বাজেট স্বল্পতা এবং আরো নানা কারণে যখন বিদ্যালয়ে এ ধরণের একটি শ্রেণিকক্ষ নিশ্চিত করা যায় না, তখন সে বিদ্যালয় তথা শ্রেণিকক্ষের শিখন-শেখানো কার্যক্রম বন্ধ করে রাখা যায় না।
তাত্ত্বিকভাবে বর্ণিত শ্রেণি ব্যবস্থাপনার নীতি পদ্ধতি সচরাচর আদর্শ শ্রেণিকক্ষের ভিত্তিতেই প্রণীত। কিন্তু আমাদের দেশের শহর ও গ্রামে অনেক মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল/মাদরাসা রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থী সংখ্যা আদর্শ সংখ্যার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি থাকে। কোন কোন মাধ্যমিক স্তরের স্কুল/মাদরাসায় একটি লম্বাবেঞ্চে ঠাসা-ঠাসি করে ৫/৬ জন করে বসিয়ে একটি শ্রেণিকক্ষে ৪০ জনের স্থলে ১৫০ জনেরও বেশী শিক্ষার্থীকে পাঠদান সম্পন্ন করতে হয়। সেখানে তাত্ত্বিকভাবে বর্ণিত শ্রেণি ব্যবস্থাপনার কলাকৌশলও প্রায় অচল হয়ে যায়।
এ ধরণের একটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ, তাদের ব্যক্তিগত শিখন চাহিদাপূরণ, তাদের শিখন স্টাইল মোতাবেক পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগ, অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রয়োজনীয় ফলাবর্তন দেওয়া, শ্রেণিতে কাজ করতে দেওয়া, শিখন মূল্যায়ন, সময় ব্যবস্থাপনা সবই শিক্ষকের জন্য চ্যালেঞ্জ।
তদুপরি অনেক ক্ষেত্রে এটি আমাদের দেশের বাস্তবতা। এ বাস্তবতাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আমাদের দেশের শ্রেণিকক্ষের উদাহরণ কেবল আমাদের দেশের শ্রেণিকক্ষের মতই। এমনকি এ বাস্তবতায় অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনার কৌশল নিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া কিংবা উন্নত বিশ্বের অন্য কোন দেশের গবেষণার সুপারিশ আমাদের দেশে সমানভাবে কিছুতেই প্রযোজ্য ও কার্যকর হবে না । অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণির কতিপয় সমস্যা সমাধানে প্রশাসনিক তথা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের সম্পর্ক আছে।
যেমন উপযুক্ত আয়তনের শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করা, উপযুক্ত আসন, আসনবিন্যাসে সারি ও কলাম পদ্ধতির পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের বৃত্তাকার বা ইংরেজি ‘ট’ আকৃতিতে বসানো, কিম্বা এমন কৌশলে আসন বিন্যাস করা যাতে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিতে পারস্পরিক মুখোমুখি হয়ে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে এবং শিক্ষক সহজে প্ৰতিজন শিক্ষার্থীর কাছে গমন করতে পারেন, আসবাবপত্র সরবরাহ করা, আলো বাতাসের ব্যবস্থা করা, প্রমাণ সাইজের বোর্ড সরবরাহ করা, শ্রেণিতে সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা, কম্পিউটার ও মাল্টি-মিডিয়া প্রজেক্টরের ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনীয় শিখন-শেখানো সামগ্রী সরবরাহ করা ইত্যাদি।
এগুলোর ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয় শিক্ষকের খুব বেশি কিছু করার থাকে না। এমনকি দেখা গেছে কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকের যৌথ সম্মতি ব্যতিরেকে উপরোক্ত নিয়মে আসন বিন্যাস করেও তা বলবৎ রাখা যায় না। তবে অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিতে শিখন- শেখানো কার্যক্রম ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য বিষয়ের ব্যবপস্থাপনায় কৌশলগত বিভিন্ন পদক্ষেপ এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কতিপয় কৌশলগত পদক্ষেপ নিম্নরূপ হতে পারে।
কার্যোপযোগী পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও কৌশল প্রয়োগ:
অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক একজন যোদ্ধা। যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের শক্তি সামর্থের বিষয় মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও কৌশল অবলম্বন করে যেমন বিজয় লাভ করতে হয়, তেমনি এ ধরণের শ্রেণিকক্ষের চ্যালেঞ্জসমূহ মাথায় রেখেই সে আলোকে পরিকল্পনা, প্রস্তুতি এবং কলাকৌশল নির্ধারণ করেই শিক্ষককে শ্রেণিতে প্রবেশ করতে হবে।
পরিস্থিতি নির্ভর কৌশল ও বিকল্প কৌশল অবলম্বন। অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত আরবি ভাষা ও সাহিত্য শ্রেণিকক্ষে প্রতিটি ক্ষেত্রেই শিক্ষককে বিভিন্ন ধরণের পরিস্থিতি নির্ভর কৌশল অবলম্বন করে কাজ করতে হবে এবং ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিকল্প পদ্ধতি/কৌশল প্রয়োগ করে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। দু’একটি উদাহরণ দেয়া যাক।
ধরুন, দলীয় কাজের ক্ষেত্রে সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যেখানে আপনি “শিরক থেকে বেঁচে থাকার উপায়সমূহ ব্যাখ্যা কর”— শীর্ষক শিরোনামে ১০ মিনিট সময় দিয়ে একটি দলীয় কাজ প্রদান করতেন, তদস্থলে অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষে এ কাজটির জন্য মাত্র ৩ মিনিট সময় দিয়ে “শিরক থেকে বেঁচে থাকার কেবল ২ টি উপায়”- পয়েন্টাকারে লিখতে বলতে পারেন। দেখা যাবে যে বেশি সংখ্যক দলের অংশগ্রহণের কারণে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই এ বিষয়ে পর্যাপ্ত মূল্যবান ও নতুন নতুন ধারণা উঠে আসবে।
আবার এ ধরণের শ্রেণিকক্ষ যেহেতু আদর্শ দল গঠনের নীতিমালা অনুসরণের অনুকূল নয়, তাই অতি সহজে প্রতিবেঞ্চ ভিত্তিক দল ঘোষণা দিয়ে দলীয় কাজ করাতে পারেন। একইভাবে সময় ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বড় শ্রেণিকক্ষে সকল দলকে তাদের দলীয় কাজ উপস্থাপনের জন্যে না ডেকে দৈব চয়নের মাধ্যমে কেবল ৪/৫ টি দল বা সুবিধাজনক স্বল্প সংখ্যক দলকে একই বিষয়ের পূণরাবৃত্তি ব্যতিত তাদের কাজ উপস্থাপন করতে বলুন। তা হলে দেখবেন অনেক কম সময়ে দলীয় কাজ উপস্থাপন করা সম্ভব হয়ে যাচ্ছে।
এভাবে নির্বাচিত কয়েকটি দলের উপস্থাপন শেষে বাকী দলের নেতাদের আসন থেকেই উপস্থাপিত বিষয়ে তাদের নতুন কোন চিন্তা-ভাবনা বা ধারণা থাকলে তা ব্যক্ত করতে বলুন। বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা যাবে যে কয়েকটি দলের উপস্থাপনের পরে আলোচ্য বিষয়ে বাকী দলগুলোর নতুন অভিমত খুব বেশী একটা আসে না।
আবার অনেকগুলো দল থেকে উপস্থাপনের জন্যে একাধারে দ্রুত ও মানসম্পন্ন করে সম্পাদিত কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলে পরবর্তীতে দেখা যায় দলগুলোর মাঝে এ বিষয়ে প্রতিযোগিতার ইতিবাচক চর্চা শুরু হয়ে যায়- যা দলীয় কাজ থেকে সর্বেচ্চমানের উপকারীতা লাভ ও দলীয় কাজের উদ্দেশ্য অর্জনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সামর্থ্য করে।
আবার বিকল্প কৌশল যেমন দলীয় কাজের অনুকূল পরিস্থিতি না থাকলে তদস্থলে ডেস্কে/বেঞ্চে পাশাপাশি জুটি তৈরি করে জোড়ায় কাজ প্রদান, একই ডেস্কে/বেঞ্চে পাশাপাশি ৪/৫ জন অথবা যতজন একই বেঞ্চে আছে তাদের সমন্বয়ে সহজে দল গঠন করে দলগত কাজ করতে দেওয়া অথবা সামনের বেঞ্চের শিক্ষার্থীদের পিছনের বেঞ্চের মুখোমুখি হয়ে বসতে বলে শ্রেণিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দল গঠন করা, কখনো কখনো মৌখিক আলোচনার পরিবর্তে খাতায় লিখতে দেওয়া ইত্যাদি অধিক সংখক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিতে অবলম্বন করা যেতে পারে।
এভাবে বিভিন্ন বিকল্প কৌশলে একটি শ্রেণিকক্ষে ও শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক ও অংশগ্রহণমূলক অন্যান্য কলাকৌশল প্রয়োগ করা যায়। তাই একজন দক্ষ ও কর্মকুশলী শিক্ষকের কাছে অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষ সব সময় কেবল সমস্যাই নয় বরং কখনো কখনো তা নতুন নতুন কলাকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগী ও দক্ষ করে গড়ে তোলার সুযোগ ও বটে।
নির্দেশনাদানের ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন:
শ্রেণিকক্ষে পাঠ আলোচনা ছাড়া ও শিক্ষককে মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরণের নির্দেশনা দিতে হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষকের নির্দেশনা অবশ্যই সুস্পষ্ট হতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা সহজেই বুঝতে পারে। অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষে নির্দেশনাদানের সময় শিক্ষককে একবারে দীর্ঘ নির্দেশনা না দিয়ে ছোট ছোট বাক্যে দরাজকন্ঠে এবং ধীরে নির্দেশনা দিতে হবে।
তাহলে তা সকল শিক্ষার্থীর বুঝতে সুবিধা হবে। বিশেষ করে এ ধরণের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের কাজ দেওয়ার পূর্বে কাজটি কীভাবে করতে হবে তা কেবল মুখে বুঝিয়ে না দিয়ে পোস্টার/প্রজেক্টর কিংবা অন্য কোন উপায়ে প্রদর্শনের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। এতে যেমন শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা সহজ হবে তেমনি শিক্ষকের কষ্টও লাঘব হবে।
পাঠকে ডিজিটালাইজডকরণ:
বড় শ্রেণিকক্ষ যেসব বিদ্যালয়ের নিত্য-নৈমিত্তিক ও সাধারণ ব্যাপার, সেক্ষেত্রে পাঠের বিষয়বস্তুকে ডিজিটালাইজডকরণ এসব শ্রেণিকক্ষের শিখন ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। এক্ষেত্রে প্রচলিত ডিজিটাল কন্টেন্ট-এর বাইরে ও শিক্ষক যদি আরবি ভাষা ও সাহিত্যের বিষয়সমূহ পরিকল্পিতভাবে একবারে ডিজিটালাইজড করে নেন তাহলে প্রতিদিন এবং সারা বছরের জন্য শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের অনেক শ্রম, কর্মশক্তি (Energy) ও সময় বেঁচে যায়।
উদাহরণস্বরূপ, আরবি ভাষা ও সাহিত্যের পাঠের দলীয় কাজ/জোড়ায় কাজের বিষয়বস্তু/সমস্যা, শিক্ষার্থীদের দলীয় কাজ/জোড়ায় কাজ উপস্থাপনের পরে শিক্ষকের সম্ভাব্য ফলাবর্তন, বাড়ীর কাজ, প্রাসঙ্গিক টীকা-টিপ্পনি অনুশীলনমূলক কাজসমূহ ইত্যাদি যদি একবারে পাওয়ার পয়েন্ট ফাইলে লিখে নেয় তা হলে যতবার বা যত বছর ঐ পাঠগুলো শ্রেণিতে উপস্থাপন করা হবে তত বছর পর্যন্ত এ বিষয়ে শিক্ষকের শ্রম ও সময় লাঘব হবে।
আবার একটি পাঠ থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলো বোর্ডে লিখতে হবে সেগুলো পরিকল্পিতভাবে পাওয়ার পয়েন্ট ফাইলে আগেই লিখে নিয়ে যথাসময়ে প্রদর্শন করা হলে একদিকে এ ধরণের শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীর পক্ষে তা সহজে দেখা সম্ভব হয়, অন্যদিকে এ কাজে শিক্ষকের পরিশ্রম ও সময় সাশ্রয় হয় যা- তিনি পাঠের অন্য পর্বে ব্যবহার করতে পারেন।
শিক্ষার্থীর নাম ধরে ডাকা/দৈব চয়নপূর্ব করোল ধরে ডাকা:
শিক্ষার্থীর নাম জানা এবং নাম ধরে ডাকা কিংবা সবার নাম না জানা থাকলে ও সেক্ষেত্রে দৈবচয়নপূর্বক রোল ধরে ডাকা শ্রেণি ব্যবস্থাপনা কাজে শিক্ষকের জন্য সহায়ক। তাই অন্যান্য উপকারীতা বিবেচনা ছাড়া ও শ্রেণি ব্যবস্থাপনা কৌশলের অংশ হিসেবে শিক্ষক যথাসম্ভব শেণির শিক্ষার্থীদের নাম জেনে তাদের নাম ধরে ডাকবেন। প্রশ্ন হতে পারে অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষে সকল শিক্ষার্থীর নাম জানা কিংবা বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীর নাম জানা এবং নাম ধরে ডাকা কতটুকু সম্ভব হতে পারে। এ ব্যাপারে প্রথম কথা হলো শিক্ষকের সদিচ্ছা থাকলে সবার নাম মনে রাখা সম্ভব না। হলেও অনেক সংখ্যক শিক্ষার্থীর নাম মনে রাখা সম্ভব।
দ্বিতীয়ত মনস্তত্বাত্তিক কৌশল হিসেবে অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষে পরিকল্পিতভাবে অন্তত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্বলিত শিক্ষার্থীগোষ্ঠী যেমন অমনোযোগী শিক্ষার্থী, অনগ্রসর শিক্ষার্থী, সর্বদা পিছনের সাড়িতে বসা শিক্ষার্থী, অতিচঞ্চল শিক্ষার্থী, নানাভাবে শ্রেণি শৃংখলায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারী শিক্ষার্থী- এসব প্রকারের শিক্ষার্থীদের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর নাম জেনে বিশেষ সময়ে তাদেরকে নাম ধরে ডাকলে বাকী শিক্ষার্থীরা ও ধরে নিবে যে হয়তো শিক্ষক তাদের সকলের নামই জানেন- যা তাদেরকে পাঠে অমনোযোগিতা, শ্রেণি শৃংখলায় বিঘ্ন ঘটে এমন সব আচরণ থেকে বিরত থাকতে অনেকটা বাধ্য করে।
এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে অনায়াসেই শিক্ষক বড় শ্রেণিকক্ষের ও বহুসংখ্যক শিক্ষার্থীর নাম জেনে তাদেরকে নামে ডাকতে পারেন। শ্রেণিতে নাম ধরে ডাকার এ কৌশল একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের আনন্দিত করে, অন্যদিকে শ্রেণিকক্ষের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় শিক্ষককে সহায়তা করে।
স্থায়ী হাউস/টিম পদ্ধতি প্রবর্তন:
বড় শ্রেণিকক্ষের শিখন ব্যবস্থাপনায় স্থায়ী হাউস/টিম পদ্ধতি বেশ সহায়ক। হাউস/টিম পদ্ধতি বলতে শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাজের সুবিধার্থে একাধিক টিমে বিভক্ত করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা। উদাহরণস্বরূপ আরবি ভাষা ও সােিত্যর একটি শ্রেণিকক্ষে ১২০ জন শিক্ষার্থী আছে। বেঞ্চে বসার সারি হিসেবে এদেরকে সুবিধাজনক ৪টি স্থায়ী হাউস/টিম বা দলে ভাগ করে নিলেন এবং প্রতিটি দলের একটি নামকরণ করে নিলেন। প্রতিদিনের পাঠের নানা কার্যক্রম পরিচালনায় এ হাউস/টিমকে বিবেচনায় রাখতে পারেন। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে টিমস্পিড তথা দলীয় চেতনা ও শিখনে প্রতিযগিতামূলক স্পৃহা যেমন তৈরি হয়, তেমনি অপেক্ষাকৃত কম সময় ও পরিশ্রমে শ্রেণির অনেক কাজ ব্যবস্থাপনা করা যায়।
এ টিম ব্যবস্থাকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। যেমন শিক্ষক এক টিমের কাজের ফলাবর্তন অন্য টিমকে দিতে বলতে পারেন, আবার কোন প্রশ্নোত্তর পর্ব, কুইজ অধিবেশন চলাকালে এক টিমের প্রশ্নের উত্তর অন্যটিমকে প্রদানের জন্য নির্ধারণ করে দিতে পারেন অথবা যে কোন বিষয়ে এক টিমের সাড়াদান/উত্তরদানে অপারগতায় অন্যটিমকে সুযোগদান ইত্যাদি। এ প্রক্রিয়ায় অপেক্ষাকৃত সুসমভাবে অল্পসময়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর শিখন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায় এবং শ্রেণি শৃংখলা ও বজায় থাকে।
শ্রেণির অগ্রসর শিক্ষার্থীদের কাজে লাগানো:
অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক অগ্রসর শিক্ষার্থীদের নানাভাবে কাজে লাগাতে পারেন। যেমন: অনগ্রসর ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিখন সহায়তাদান, উপস্থাপিত বিষয়ের পুণরালোচনা, অন্যান্য শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তরদান ইত্যাদি। উদাহরণস্বরূপ, কোন কোন শিক্ষার্থী শিক্ষকের কাছে প্রশ্ন করলো, শিক্ষক প্রথমত সরাসরি ঐ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের থেকে সে প্রশ্নের উত্তর আহবান করলেন, দেখা যাবে যে এ ধরণের বড় শ্রেণিকক্ষে কেউ না কেউ সে সব প্রশ্নের অনেকগুলোর যথযযথ কিংবা কাছাকাছি উত্তর হয়তো দিতে পারবে।
এক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উত্তরে প্রয়োজনীয় সংযোজন বিয়োজন করবেন এবং যেসব প্রশ্নের উত্তর কোন শিক্ষার্থী দিতে পারবে না কেবল ঐ সব প্রশ্নের উত্তর শিক্ষক নিজে দিবেন। এ কৌশলে প্রথমত, শিক্ষকের জন্য চাপ কমে যায়; দ্বিতীয়ত, বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়। এছাড়াও এ কৌশলে শিক্ষক শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের শিখন সফলতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারেন ।
কাজ ভিত্তিক শিখন (Activity Based Learning)-এর প্রতি গুরুত্বারোপ:
অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত আরবি ভাষা ও সাহিত্যের শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনার কৌশল হিসেবে বিষয়বস্তুর আলোচনা সংক্ষিপ্ত করে তদস্থলে এ্যাক্টিভিটিবেজড লার্নিং- ং-এর প্রতি গুরুত্বারোপ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে পাঠের বিষয়বস্তুকে সমস্যা আকারে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরে শিক্ষার্থীদেরকে সে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দিয়ে শিক্ষক কেবল সহায়ক (Facilitator) হিসেবে ভূমিকা পালন করলে একদিকে শিক্ষার্থীরা আস্তে আস্তে উচ্চস্তরের চিন্তন ও সমস্যা সমাধান দক্ষতায় পারদর্শী হয়ে উঠবে।
আরও দেখুনঃ