আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-বাগৰ্থিক ভূমিকা
বাগৰ্থিক ভূমিকা
বাগার্থিক ভূমিকা দ্বারা বাক্যে শব্দের অর্থ নির্ধারিত হতে পারে। বাক্যে একটি বিশেষ্য পদ ক্রিয়াপদের সাথে যেরূপ সম্পর্কে আবদ্ধ থাকে তাকেই বাগধিক ভূমিকা বলে । কাজেই এটি হলো প্রথাগতভাবে বাংলায় যাকে আমরা কারক বলে থাকি অনেকটা তাই । বাণর্থিক ভূমিকা অর্থ নিয়ন্ত্রিত, তাই এর যথাযথ আলোচনা বাগর্থবিদ্যার কাজ ।
হাওয়ার্ড জ্যাকসন (১৯৯০: ২৩-৪৫) ক্রিয়াকে তিনভাগে ভাগ করেন অবস্থা, ঘটনা ও কর্ম এবং ভাই তিন ধরনের ক্রিয়ার সাথে বিশেষ্যের সম্পর্ক নির্ধারণ করেন। বিশেষ্যকে তিনি বলেন অংশগ্রহণকারী এবং বাক্যে বিশেষ্যের সাথে ক্রিয়ার সম্পর্ককে তিনি বলেন অংশগ্রহণকারী ভূমিকা।
তিনি হওয়া (be), মনে হওয়া ( seem), থাকা (have), শোনা ( hear), বাচ্চা হওয়া (ache) প্রভৃতি ক্রিয়াকে অবস্থা বলেন। নিশ্বাস নেয়া ( breathe), পড়ে যাওয়া (fall), আগমন করা (arrive) ভাসা (float), ঝিলমিল করা ( shine), মরা (die) প্রভৃতি ক্রিয়াকে ঘটনা বলেন, এবং গান পাওয়া (sing), হাসা (laugh). নিক্ষেপ করা (throw), স্থি করা (decide), উৎসাহ দেয়া ( encourage), ধাকা দেয়া (push), পরিস্কার করা (clean), প্রভৃতি ক্রিয়াকে বলেন কর্ম ।
অবস্থার জন্য জ্যাকসন নিম্নলিখিত অংশগ্রহণকারী ভূমিকা খুঁজে পান
১. প্রাপক প্রাপক বলতে কোন ব্যক্তিকে বোঝায় যার রয়েছে কোন বিশেষ গুণ বা সাময়িক বৈশিষ্ট্য অথবা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা (বুদ্ধিবৃত্তিক বা আবেগাত্মক)। যেমন :
আমি ঘড়ির টিকটিক শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম ।
করিম সাহেবের তিনটি গাড়ি আছে ।
২. প্রভাবিত : প্রভাবিত বলতে কোন বন্ডকে বোঝায় যা একটি ক্ষণস্থায়ী অবস্থায় আছে অথবা কোন ব্যক্তিকে বোঝায়
যে কোন শরীরি সংবেদন অনুভব করছে, অথবা এটি দ্বারা বোঝায় জ্ঞান ভাবাবেগ, দৃষ্টিভঙ্গি, ইন্দ্রিয়ানুভূতি প্রভৃতি যা কোন প্রাপকের অভিজ্ঞতায় ধরা পড়ে। যেমন :
তারেককে খুব হতাশ মনে হলো না।
তার মাথা ধরেছে ।
৩. অবস্থানক অবস্থানক বলতে বোঝায় কোন ব্যাক্তি বা প্রাণীকে যে কোন একটি স্থানে অবস্থান করে । যেমন :
মেয়েটি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
অপরাধী এখন কারাগারে আছে।
৪ গুণ গুণ বলতে কোন বন্ধধর্ম বা সাময়িক অবস্থাকে বোঝায় যা প্রভাবিতের পরিচায়ক অথবা প্রাপকের
বৈশিষ্ট্য। যেমন : তার বৈশিষ্ট্য হলো হিসাব করে কথা বলা ।
যুদ্ধ হলো রক্তপাত ও প্রাণনাশ ।
জ্যাকসন ঘটনার জন্য দুই ধরনের অংশগ্রহণকারী ভূমিকার কথা বলেন :
১. প্রভাবিতঃ এক্ষেত্রের প্রভাবিত বলতে সেই ব্যক্তি বা ঝাকে বোঝাবে যাকে নিয়ে কোন ঘটনা ঘটছে। যেমন আকাশ হতে খসলো তারা । দিলদার গতকাল মৃত্যুবরণ করেছেন ।
২. গুণ: এক্ষেত্রে গুণ বলতে সেই অবস্থাকে বোঝাবে যা কোন ঘটনাত প্রক্রিয়ার ফলে প্রাপ্ত। যেমন :
ধীরে ধীরে সে হয়ে উঠেছে পাকা খেলোয়ার । না খেতে খেতে সে এখন তালপাতার সেপাই ।
জ্যাকসন কর্মের জন্য আট ধরনের অংশগ্রহণকারী ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলো নিম্নরূপ :
১. কর্তামূলক : কর্তামূলক বলতে কোন প্রাণীকে বোঝায় যে কোন ঘটনার সূচনাকারী বা কারণ হিসাবে কাজ করে। কর্তামূলক ভূমিকার সাথে ইচ্ছা ও অভিপ্রায় জড়িত। যেমন
আনু ভাত খাচ্ছে।
বাঘটি হরিণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো ।
২. প্রিভাষক বহিঃপ্রভাবক বলতে কোন বন্ধুকে বোঝায় যা কোন ঘটনার কারণ হিসাবে কাজ করে । বহিঃপ্রভাবক ভূমিকার সাথে ইচ্ছা বা অভিপ্রায়ের যোগ নেই । যেমন :
কালবোশেখী ঝড় ঘরটিকে উড়িয়ে নিল ।
এই জটিল হিসাবটি করেছে কম্পিউটার ।
৩. অবস্থানক অবস্থানক বলতে কোন প্রাণীকে বোঝায় যে কোন স্থানে অবস্থান করতে পারে। যেমন :
তিনি ব্রিফকেস হাতে হোটেলে ঢুকলেন।
মা শিশুটির গালে চুমু খেল।
৪. প্রভাবিত ক্ষেত্রে প্রভাবিত বলতে কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝাবে যা কোন কর্ম দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত
হয়। যেমন :
তিনি আয়েশ করে চা পান করলেন। জিদ করে সে বিড়ালটিকে লাথি মারলো ।
৫. ফলন ফল বলতে কেই বস্তুকে বোঝায় যা কোন কর্মের ফলস্বরাপ প্রাপ্ত। যেমন বাবুচি পোলাও রাখছেন। দিদিমা
নক্সী কাঁথা বুনছেন । সানি ধি বলতে সেই বন্ধ বা যন্ত্রকে বোঝায় যার সাহায্যে কর্ম সম্পাদন করা হয়। যেমন: সে চাৰি দিয়ে তালাটি খুললো। সে লাঠি দিয়ে সাপটি মারলো ।
৭. প্রাপক প্ৰাপক বলতে মানুষ বা অন্য কোন প্রাণীকে বোঝায় যার উপর কোন কর্ম বর্তায় অথবা কর্ম থেকে ফল লাভ করে। যেমন:
বাবা আমাদের কলা কিনে নিলেন । মিন্টু তার বান্ধবীকে উপহার পাঠিয়েছে ।
৮. গুণ গুণ বলতে সেই অবস্থা বা ধর্মকে বোঝায় যা কোন কর্মের প্রভাবিতের উপর আরোপ করা হয় । যেমন :
তিনি আমাদের রক্ষাকর্তা ।
পথচারীদের জন্য ট্রাক হচ্ছে ঘাতক।
জ্যাকসন আরো তিনটি অংশগ্রহণকারী ভূমিকার কথা বলেন ঘাটনিক, স্থানিক ও কালিক ।
পাটনিক : ঘাটনিক বলতে কোন ব্যক্তি বা বন্ধুকে বোঝায় না, বরং বোঝায় কোন ঘটনাকে বা কর্মকে যা ঘটনা বা কর্ম নির্দেশক ক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট। যেমন : আমি তার পেটে ঘুষি মারলাম ।
ইদানিং ধর্ষণ বেড়ে গেছে।
স্থানিক স্থানিক বলতে কোন স্থানকে বোঝায় যার বর্ণনা বাক্যে আবশ্যিক উপাদানরূপে কাজ করে। যেমন : সে মালা
ব্যাগে ভরলো ।
রাঘাটি চলে গেছে হাইকোর্ট পর্যন্ত ।
এখানে হাইকোর্ট ছাড়া প্রথম বাক্যটি এবং ব্যাগে ছাড়া দ্বিতীয় বাক্যটি অসম্পূর্ণ ও অর্থহীন।
কালিক : কালিক বলতে কোন সময়কে বোঝায় যার বর্ণনা বাক্যে আবশ্যিক উপাদারূপে কাজ করে। যেমন ৮ই ফাল্গুন আমাদের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন ।
একবিংশ শতাব্দী হবে রোবটের যুগ।
এখানে ৮ই ফাল্গুন ও একবিংশ শতাব্দী বাদ দিলে বাক্যগুলোর গঠনের সাথে অর্থও স্বর্ণ হয় ।
ফিলমোর (১৯৬৮) বাগধিক ভূমিকা সংক্রান্ত আলোচনাকে বলেছেন কারক ব্যাকরণ।
তাঁর মতে বাগার্থিক ভূমিকা বাক্যের গভীর সংগঠনের বিষয় এবং এটি সকল ভাষার জন্য প্রযোজ্য। ফিলমোর মোট ছয়টি কারক নির্ধারণ করেন – কর্তৃকারক, করণকারক, সম্প্রদানকারক, প্রযোজককারক, কর্মকারক ও অধিকরণ কারক। নীচে
আমরা দেখবো ফিলমোর কিভাবে কারকগুলোর সংজ্ঞা দিয়েছেন। প্রতিটির জন্য আমরা একটি করে ইংরেজী ও বাংলা উদাহরণ দিবো ।
১. কর্তৃকারক: কর্তৃকারক বলতে বোঝায় সেই গলান জিনিসকে বোঝায় যা কোন কার্য সুচিত বা উদ্দীপিত
করে। যেমন :
রমেশ নদীতে সাঁতার কাটছে ।
John opened the door.
২. করণকারক: করণ কারক বলতে সেই অপ্রাণ জিনিসকে বোঝায় যার দ্বারা কোন কার্য সম্পাদিত হয় । যেমন :
সে কুড়াল দিয়ে গাছটি কাটলো। The key opened the door.
৩. সম্প্রদানকারক: সম্প্রদান কারক বলতে সেই প্রান জিনিসকে বোঝায় যে কোন অবস্থা বা কার্যের স্বীকার হয় । যেমন :
ইসমাইল বিশ্বাস করে যে সে একদিন বিখ্যাত হবে । It was apparent to John that he would win.
৪. প্রযোজক কারক : প্রযোজক কারক হলো সেই বন্ধ বা ঘটনা যা কোন কার্য বা অবস্থা থেকে নিঃসৃত হয়। যেমন : তাড়াতাড়ি পোষাক পড়ো।
John dreamed a dream about Marry.
৫. কর্মকারক : কর্মকারক বলতে বোঝায় সেই বন্ধকে যা কোন কর্তার কার্য দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত হয় । যেমন :
সে বই পড়ছে।
John sees the door.
৬. অধিকরণ কারক : অধিকরণ কারক বলতে কোন স্থানকে বোঝায় যেখানে কোন কার্য সম্পাদিত হয় ।
যেমন :
বনে বাঘ আছে।
Chicago is windy.
ফিলমোর দাবি করেন যে বাক্যের প্রতিটি বিশেষ্যপদই কোন না কোন কারক নির্দেশক, তবে কোন পদেই একাধিক কারক প্রযোজ্য হবে না। এবং জ্যাকসনের সাথে ফিলমোরের পার্থক্য এই যে জ্যাকসনের ভূমিকাগুলো
একে অপরকে অধিক্রমন করে, কিন্তু ফিলমোরের কারকগুলো পরস্পরকে অধিক্রমন করে না। একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি পরিস্কার হবে।
মিঃ গিলবার্টো সেগুলোর উপর হাত রাখলেন।
জ্যাকসনের মতে এখানে মিঃ গিলবার্তোর ভূমিকা একইসাথে কর্তৃবাচক ও অবস্থানক, কারণ এখানে মিঃ গিলবাটো, যে কাজের কর্তা, হস্ত স্থাপনের সুবাদে তার অবস্থানও প্রকাশিত হয়েছে। কিছু ফিলমোরের সংজ্ঞা অনুসারে এখানে মিঃ গিলবার্ট শুধুই কাজের কর্তা এজন্য কর্তৃকারক, তার হস্তস্থাপনমূলক অবস্থানটি ধর্তব্যের মধ্যে আসবে
প্লাটি (১৯৭১) ফিলমোরের কারকের ধারণাকে আরো প্রসারিত করেন। তিনি মোট নয়টি কারকের প্রস্তাব করেন।
সংক্ষেপে এগুলো নিম্নরূপ :
১. প্রভাবিত কার্য বা অবস্থা দ্বারা প্রভাবিত সত্তা।
উদাহরণ : Joe broke the vase.
২. কর্তৃ কার্যের প্রণোদক ।
উদাহরণ : John is cating his lunch.
৩. ফলভোগী : কার্য বা অবস্থার ফললাভকারী ।
উদাহরণ : Fred brought Mary a book.
8. প্রযোজক কার্য ও অবস্থা থেকে উৎপন্ন সত্তা।
উদাহরণ : Those slums were built by Marmeduke.
৫. করণ কার্য বা অবস্থার সাথে কারণিকসূত্রে আবদ্ধ শক্তি বা বস্তু ।
উদাহরণ : Jo tickled Flo with a blade of grass.
৬. অধিকরণ কার্য বা অবস্থার স্থান বা অভিমুখ ।
উদাহরণ: Fred sat there. ৭. নিরেপেক্ষ কার্য বা অবস্থা দ্বারা কোনভাবে প্রভাবিত নয় এমন गा
উদাহরণ : The tree is a Eucalyptus cameldulensis.
৮. অংশগ্রাহক কার্য বা অবস্থার সাথে আবেগিকভাবে সম্পৃক্ত প্রণীসত্তা। উদাহরণ : He was liked by all his staff.
৯. উদ্দেশ্য কার্য এ অবস্থার উদ্দেশ্য।
উদাহরণ : Joe went out for some cigarettes,
চমস্কি (১৯৮৬), ব্র্যাডফোর্ড (১৯৮৮) কারককে বলেন যেটা ভূমিকা যা তাদের রাপান্তরমূলক তত্ত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চমস্কি কর্তা, কর্ম ও গন্তব্য এই তিনটি থেটা ভূমিকার কথা বলেন। কিন্তু রাডফোর্ড সেই সংখ্যা বাড়িয়ে আনেন আটটিতে কর্ম, কতা, অভিজ্ঞতালাভকারী ফলভোগী, সাধিব, স্থান, গম্ভব্য ও উৎস্য।
এফ. আর. পামার (১৯৯৪ ৮-১১ ) মনে করেন বাণধিক ভূমিকার একটি বাক্যতাত্ত্বিক তাৎপর্য রয়েছে । তিনি ব্যাকরণিক ও ধারণাগত ভূমিকার মধ্যে পার্থক্য করেন এবং বাক্যে ব্যাকরণিক ভূমিকার গুরুত্ব নিম্ন করেন । তিনি পাঁচটি ব্যাকরণিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন : কর্তা, কর্ম, ভোক্তা, নিমিত্ত ও স্থান । তিনি দেখান যে
কর্তা ও কর্মের অবস্থানের উপর একটি বাক্যের ধরন নির্ভর করে। যেমন যে বাক্যে কর্তা ও কর্ম উভয়ই উপস্থিত থাকে তা হবে সকর্মক থাকা এবং যে বাক্যে শুধুমাত্র একটি উপস্থিত থাকে তা হবে অকর্মক বাক্য ।
মুনির লিমাকে হত্যা করেছে ।
কাদের হাসছে ।
এখানে প্রথমটিতে কর্তা ও কর্ম উভয়ই উপস্থিত, তাই এটি সকর্মক বাক্য, কিছু দ্বিতীয়টি শুধু কর্তা উপস্থিত, কর্ম নেই, তাই এটি অকর্মক বাক্য বাক্যের সকর্মক / অকর্মক হওয়া আবার নির্ভর করে ক্রিয়াবিভাজনের উপর । সকর্মক বাক্য গঠিত হয় সকর্মক ক্রিয় সহযোগে এবং অকর্মক বাকা গঠিত হয় অকর্মক ক্রিয়া সহযোগে তবে একটি ক্রিয়া একই সাথে সকর্মক ও অকর্মক হতে পারে। যেমন:
সকর্মক বাকা
The boy is flying a kite. (ছেলেটি ঘুড়ি উড়াচ্ছে। ) The kite is flying. (পুড়ি উছে। )
অকর্মক বাকা
সকর্মক ক্রিয়া বাক্যে কর্তা ও কর্মের উপস্থিতি আবশ্যক করে তোলে, কিছু অকর্মক ক্রিয়া বাক্যে কর্তা ও কর্মের একসাথে অবস্থান বাধাগ্রস্ত করে। সেজন্য উপরের ইংরেজী প্রথম বাক্যটিতে কর্তা ও কর্ম উভয়েই তাদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে, কিন্তু দ্বিতীয় বাক্যে কর্তা বাদ পড়েছে ।
ভোক্তা বলতে পামার বুঝিয়েছেন ব্যক্তিবাচক কর্মকে যা ইংরেজীতে to এবং for দ্বারা সুচিত হতে পারে।
যেমন :
The boy gave a book to the girl. ( The boy gave the girl a book.) (The boy bought a book for the girl.) (-The boy bought the girl a book.)
নির্মিত ও স্থান বলতে যথাক্রমে কার্ফাম্পাদনে সাহায্যকারী বস্তু ও যে জিনিসের উপর কার্য সম্পাদিত হয় তাকে বোঝায়। আমরা পামারের ইংরেজী উদাহরণের দিকে তাকিয়ে তাদের ব্যাকরণিক বৈশিষ্ট্য (এখানে preposition -এর সহযোগে) অনুসন্ধান করতে পারি
The woman is writing a letter with a pen
The teacher is writing maths on the blackboard.
বাংলা ভাষায়ও কারকগুলো বিভক্তি দ্বারা চিহ্নিত। সম্প্রদান কারককে উপেক্ষায় করলে বাংলায় আমরা নিম্নলিখিত কারক ও বিভক্তি খুঁজে পাই
কারক
কর্তৃকারক
কর্মকারক
করণ কারক
অপাদান কারক
অধিকরণ কারক
বিভক্তি
কে দ্বারা,
দিয়া,
কর্তৃক থেকে হতে তে
, এয়
অবশ্য এর ব্যতিক্রমও আছে, তাই কারক নির্ণয়ের জন্য এনের ভূমিকা বিনিশ্চায়ক নয়। যেমন প্রতিটি কারকেই শূন্য বিভক্তি বা এ বিভক্তি হতে পারে। নীচে সকল কারকে এ বিভক্তি (প্রথাগতভাবে সপ্তমী বিভক্তি)-র উদাহরণ দেয়া
হে পাগলে কিনা বলে গুরুজনে কর ভক্তি ।
টাকায় কি না হয়।
মেঘে বৃষ্টি হয় ।
জলে কুমির আছে ।
কাজেই দেখা যায় কারক ও বিভক্তি ওয়ান-টু-ওয়ান সম্পর্কে আবদ্ধ নয়। কারক ও বিভক্তির সম্পর্কের এই শিথিলতা থেকে এটি বলা যায় যে বাংলায় কারক যতোটা না ব্যাকরণিকভাবে নির্ধারিত তার চেয়ে বেশি বাগণিকভাবে নির্ধারিত। তাই বিভক্তি যেখানে বিভ্রান্ত করে, সেখানে মীমাংসার জন্য কারকের বাগর্থমূলক সংজ্ঞার শরণাপন্ন হতে হয় ।
কেউ যখন জানে যে, যে কর্ম সম্পাদন করে সে কর্তৃকারক, যার উপর কর্ম বর্তায় সে কর্মকারক, যা দ্বারা কর্ম সম্পাদিত হয় তা করণ কারক, যা হতে কোন কিছুর উৎপত্তি হয় তা অপাদান কারক এবং যেখানে কর্মসম্পাদিক হয় তা অধিকরণ কারক তখন তাকে আর বিভক্তি চিহ্ন হয়রানি করতে পারে না।
আরও দেখুন: